ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ড. ইউনূস – নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শাহজালালে কতক্ষণ ছিলেন আব্দুল হামিদ হবিগঞ্জে সেনাঅভিযানে আ.লীগ নে তা গ্রেফ তার করোনা বাড়ছে, মাস্ক পরার অনুরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ড.ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চান টিউলিপ দীর্ঘদিন কুরবানির মাংস সংরক্ষণের সহজ উপায় কুরবানির ঈদ: ঝক্কি ছাড়াই ভুঁড়ি পরিষ্কারের দারুণ কৌশল কুরবানিতে মাংস খাওয়ার পর হজমে যে শরবত খাবেন ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

আল-শিফায় ৩৭ দিন থেকে বন্দি ডাক্তাররা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ডেস্ক: অনলাইন সংস্করণ

দিনের আলো ফুটলেই আমরা বলি আজকের দিনটা অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত। কিন্তু পরবর্তী দিনটি আরও বেশি ভয়ংকর রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আসে। পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।বিভীষিকাময় গাজার হাসপাতালের অবস্থা দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে।সব থেকে বড় হাসপাতাল আল-শিফা। নিরাপত্তা নেই সেখানেও।হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে চলছে ইসরাইলের পাশবিক বোমা হামলা। ইতোমধ্যে আইসিইউ বিভাগ থেকে শুরু করে সার্জিক্যাল বিল্ডিংয়ে বোমা হামলা করেছে। কিন্তু বাইরে বেরোনোর সুযোগ নেই।হাসপাতাল থেকে বের হলেই পড়তে হবে ইসরাইলের গুলির থাবায়।আল-শিফায় ৩৭ দিন থেকে বন্দি রয়েছেন ডাক্তাররাও। 

এখনো শতাধিক চিকিৎসক রয়েছেন। যারা পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে পারছেন না।হাসপাতালে যেটুকু সম্বল আছে তা দিয়েই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। হতাশা আর ভয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ডাক্তার ও উদ্বাস্তুরা।হাসপাতালে প্রচুর রোগী ও উদ্বাস্তু রয়েছেন। কিন্তু তারা ভবনের বাইরে যেতে পারছেন না।কেউ হাসপাতালের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে গুলি করে হত্যা অথবা গ্রেফতার করা হচ্ছে।খাবার,পানি,বিদ্যুৎ, অক্সিজেন কিছুই নেই হাসপাতালে।যেটুকু খাবার আছে সেটুকুই একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন। 

ডাক্তাররা মেঝেতে, প্রসারিত হলওয়েতে রোগীদের চিকিৎসা করছেন। সেখানে পর্যাপ্ত পরিচালনা বা পুনরুদ্ধার কক্ষ নেই।চিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। দাফনের জায়গা নেই।আল-শিফার মর্গেও আর জায়গা নেই।মূল ভবনের বাইরে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য একটি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।হিমায়িত মুরগি সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছে বেশকিছু মরদেহ। 

একদিকে জীবিতদের উপচে পড়া ভিড়,আরেক দিকে লাশের স্তূপ।সব দিকেই হাহাকার।না পারছে কেউ বাইরে যেতে,না পারছে ভেতরে থাকতে।একেবারেই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জীবন।ভেঙে পড়েছে হাসপাতালের অবকাঠামো।সম্প্রতি আইসিইউতে থাকা দুই নবজাতকেরও মৃত্যু হয়েছে।ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।এখন হাসপাতালের সবাই শুধু মুক্তির অপেক্ষায়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আল-শিফায় ৩৭ দিন থেকে বন্দি ডাক্তাররা

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ডেস্ক: অনলাইন সংস্করণ

দিনের আলো ফুটলেই আমরা বলি আজকের দিনটা অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত। কিন্তু পরবর্তী দিনটি আরও বেশি ভয়ংকর রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আসে। পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।বিভীষিকাময় গাজার হাসপাতালের অবস্থা দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে।সব থেকে বড় হাসপাতাল আল-শিফা। নিরাপত্তা নেই সেখানেও।হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে চলছে ইসরাইলের পাশবিক বোমা হামলা। ইতোমধ্যে আইসিইউ বিভাগ থেকে শুরু করে সার্জিক্যাল বিল্ডিংয়ে বোমা হামলা করেছে। কিন্তু বাইরে বেরোনোর সুযোগ নেই।হাসপাতাল থেকে বের হলেই পড়তে হবে ইসরাইলের গুলির থাবায়।আল-শিফায় ৩৭ দিন থেকে বন্দি রয়েছেন ডাক্তাররাও। 

এখনো শতাধিক চিকিৎসক রয়েছেন। যারা পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে পারছেন না।হাসপাতালে যেটুকু সম্বল আছে তা দিয়েই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। হতাশা আর ভয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ডাক্তার ও উদ্বাস্তুরা।হাসপাতালে প্রচুর রোগী ও উদ্বাস্তু রয়েছেন। কিন্তু তারা ভবনের বাইরে যেতে পারছেন না।কেউ হাসপাতালের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে গুলি করে হত্যা অথবা গ্রেফতার করা হচ্ছে।খাবার,পানি,বিদ্যুৎ, অক্সিজেন কিছুই নেই হাসপাতালে।যেটুকু খাবার আছে সেটুকুই একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন। 

ডাক্তাররা মেঝেতে, প্রসারিত হলওয়েতে রোগীদের চিকিৎসা করছেন। সেখানে পর্যাপ্ত পরিচালনা বা পুনরুদ্ধার কক্ষ নেই।চিকিৎসার অভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। দাফনের জায়গা নেই।আল-শিফার মর্গেও আর জায়গা নেই।মূল ভবনের বাইরে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য একটি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।হিমায়িত মুরগি সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছে বেশকিছু মরদেহ। 

একদিকে জীবিতদের উপচে পড়া ভিড়,আরেক দিকে লাশের স্তূপ।সব দিকেই হাহাকার।না পারছে কেউ বাইরে যেতে,না পারছে ভেতরে থাকতে।একেবারেই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জীবন।ভেঙে পড়েছে হাসপাতালের অবকাঠামো।সম্প্রতি আইসিইউতে থাকা দুই নবজাতকেরও মৃত্যু হয়েছে।ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।এখন হাসপাতালের সবাই শুধু মুক্তির অপেক্ষায়।