ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান তেলাপোকার উপদ্রব কমাতে যা করবেন এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় রিউমার স্ক্যানার ‘হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ২’জনের সাক্ষী অযত্নে ধুঁকছে পল্লী-কবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর সিলেটে যেভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহ.) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন সিলেটে থেকে প্রত্যাহার হলেন ২ থানার ওসি হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেনা-পুলিশের টহলে পালিয়েছে দালাল চক্র

হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করার যে প্রতিজ্ঞা ইসরাইল নিয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব নয়। হামাস কোনো ব্যক্তি বা সরঞ্জাম এবং কোনো অবকাঠামোর তালিকায় নয় যে তা ধ্বংস করা যাবে, বরং এটি একটি ব্র্যান্ডের নাম,একটি ধারণার নাম।ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন লেবানিজ-আমেরিকান গবেষক হুসেন ইবিশ।হামাসকে ধ্বংস করার যে লক্ষ্য তা স্বল্প মেয়াদে অর্জন করা সম্ভব কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের পর গত ২৪ নভেম্বর একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল ও হামাস।চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি দুবার বেড়ে ৭ দিনে গড়ালেও অষ্টম দিনে আবারও শুরু হয় যুদ্ধ।বিশ্ব যখন গাজা উপত্যকায় একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আশা করছিল, এ সময় পুনরায় যুদ্ধের এ দামামা বেজে ওঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার যে লক্ষ্যে এ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা স্বল্প সময়ে অর্জন করা সম্ভব না বলে মনে করছেন গবেষক হুসেন ইবিশ।

তিনি বলেন,ইসরাইল আক্রমণ চালিয়ে নিছক প্রতিশোধ নিতে চাইছে। ‘হামাসকে ধ্বংস করার’লক্ষ্যে যুদ্ধ জয় সম্ভব নয়, কারণ হামাস একটি ব্র্যান্ডের নাম এবং একটি ধারণা; কোনও ব্যক্তি বা সরঞ্জাম এবং অবকাঠামোর তালিকা নয় যেটি হত্যা বা ধ্বংস করা যেতে পারে।ইসরাইল যা-ই করুক না কেন এ সংগঠন টিকে থাকবে।ইবিশ বলেন, সুতরাং, ‘প্রশ্ন হল মূল যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরাইল কী করতে চায় এবং তাদের কাছে এ প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।তারা তা বিবেচনা করছে বলেও মনে হয় না। হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করা এবং টানেল,তাদের সব সরঞ্জাম ও অবকাঠামো ধ্বংস করার আপ্রাণ চেষ্টার বাইরে তারা আর কিছু ভাবছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন,কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছাড়াই এ কাজ করছে ইসরাইল, যেটি যেকোনও যুদ্ধরত শক্তির জন্য একটি বিপর্যয়, কেননা ক্লজউইৎস (প্রুশিয়ান জেনারেল কার্ল ভন ক্লজউইৎজ) বলেছেন, যুদ্ধ হল অন্য উপায়ে রাজনীতি।এ যুদ্ধে হামাসের অবস্থানে নিয়ে ইবিশ বলেন, অন্যদিকে, হামাসের খুব স্পষ্ট একটি লক্ষ্য রয়েছে: সংগঠনটি চায় ইসরাইল গাজায় থাকুক, যাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দখলদার এ বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা একটি বিদ্রোহ গড়ে তুলতে পারে। সংগঠনটিকে এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ রাষ্ট্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চলমান এই যুদ্ধে হামাসের একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কাঠামো রয়েছে।শুধু ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধই নয়, সংগঠনটি বিদ্রোহকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়,যা বিপজ্জনক।কেননা, এর অর্থ দাঁড়ায় গাজার জনগণ এবং সমাজের জন্য একটি তাত্ক্ষণিক ধ্বংসযজ্ঞ-তারা রক্তমাখা শার্ট ফেলে নিজেদের ফিলিস্তিনি জাতীয় আন্দোলনের একমাত্র বৈধ নেতা হিসেবে দাবি করবে। কেননা, গাজায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে তারা একাই প্রতিদিন ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করার যে প্রতিজ্ঞা ইসরাইল নিয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব নয়। হামাস কোনো ব্যক্তি বা সরঞ্জাম এবং কোনো অবকাঠামোর তালিকায় নয় যে তা ধ্বংস করা যাবে, বরং এটি একটি ব্র্যান্ডের নাম,একটি ধারণার নাম।ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন লেবানিজ-আমেরিকান গবেষক হুসেন ইবিশ।হামাসকে ধ্বংস করার যে লক্ষ্য তা স্বল্প মেয়াদে অর্জন করা সম্ভব কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের পর গত ২৪ নভেম্বর একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল ও হামাস।চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি দুবার বেড়ে ৭ দিনে গড়ালেও অষ্টম দিনে আবারও শুরু হয় যুদ্ধ।বিশ্ব যখন গাজা উপত্যকায় একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আশা করছিল, এ সময় পুনরায় যুদ্ধের এ দামামা বেজে ওঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার যে লক্ষ্যে এ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা স্বল্প সময়ে অর্জন করা সম্ভব না বলে মনে করছেন গবেষক হুসেন ইবিশ।

তিনি বলেন,ইসরাইল আক্রমণ চালিয়ে নিছক প্রতিশোধ নিতে চাইছে। ‘হামাসকে ধ্বংস করার’লক্ষ্যে যুদ্ধ জয় সম্ভব নয়, কারণ হামাস একটি ব্র্যান্ডের নাম এবং একটি ধারণা; কোনও ব্যক্তি বা সরঞ্জাম এবং অবকাঠামোর তালিকা নয় যেটি হত্যা বা ধ্বংস করা যেতে পারে।ইসরাইল যা-ই করুক না কেন এ সংগঠন টিকে থাকবে।ইবিশ বলেন, সুতরাং, ‘প্রশ্ন হল মূল যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরাইল কী করতে চায় এবং তাদের কাছে এ প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।তারা তা বিবেচনা করছে বলেও মনে হয় না। হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করা এবং টানেল,তাদের সব সরঞ্জাম ও অবকাঠামো ধ্বংস করার আপ্রাণ চেষ্টার বাইরে তারা আর কিছু ভাবছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না।

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন,কোনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছাড়াই এ কাজ করছে ইসরাইল, যেটি যেকোনও যুদ্ধরত শক্তির জন্য একটি বিপর্যয়, কেননা ক্লজউইৎস (প্রুশিয়ান জেনারেল কার্ল ভন ক্লজউইৎজ) বলেছেন, যুদ্ধ হল অন্য উপায়ে রাজনীতি।এ যুদ্ধে হামাসের অবস্থানে নিয়ে ইবিশ বলেন, অন্যদিকে, হামাসের খুব স্পষ্ট একটি লক্ষ্য রয়েছে: সংগঠনটি চায় ইসরাইল গাজায় থাকুক, যাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দখলদার এ বাহিনীর বিরুদ্ধে তারা একটি বিদ্রোহ গড়ে তুলতে পারে। সংগঠনটিকে এখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ রাষ্ট্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চলমান এই যুদ্ধে হামাসের একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কাঠামো রয়েছে।শুধু ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধই নয়, সংগঠনটি বিদ্রোহকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়,যা বিপজ্জনক।কেননা, এর অর্থ দাঁড়ায় গাজার জনগণ এবং সমাজের জন্য একটি তাত্ক্ষণিক ধ্বংসযজ্ঞ-তারা রক্তমাখা শার্ট ফেলে নিজেদের ফিলিস্তিনি জাতীয় আন্দোলনের একমাত্র বৈধ নেতা হিসেবে দাবি করবে। কেননা, গাজায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে তারা একাই প্রতিদিন ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।