ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

বাড়ি ভাড়া বাড়ালে কী আইনি পদক্ষেপ নেবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় অনেক বেশি। বেতনের অধিকাংশ টাকা চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। এর মধ্যেই অনেক বাড়ির মালিক অযথা কোনো কারণ ছাড়ায় এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন। ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ ধরনের সমস্যায় আইনি ব্যবস্থা নিলে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন। 

কীভাবে প্রতিকার পাবেন

বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন।বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।

বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী,প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা হতে হবে যুক্তিসঙ্গত।এছাড়া মাসিক ভাড়া নিয়ে কোনো লিখিত চুক্তি না থাকলে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।

যা করবেন

১. মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ না করেন,পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে।

২. একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে।

৩. ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেয়া যাবে।

৪. আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার সুযোগ থাকবে না।

৫. বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেয়া হলো এবং করণীয় কী,সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাড়ানো,অগ্রিম জমা ও কখন বাড়ি ছাড়বেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

৬. আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।

লেখক: অ্যাডভোকেট আবুল হাসান,অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাড়ি ভাড়া বাড়ালে কী আইনি পদক্ষেপ নেবেন

আপডেট সময় : ০১:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় অনেক বেশি। বেতনের অধিকাংশ টাকা চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। এর মধ্যেই অনেক বাড়ির মালিক অযথা কোনো কারণ ছাড়ায় এক বছর বা ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়িয়ে থাকেন। ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ ধরনের সমস্যায় আইনি ব্যবস্থা নিলে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন। 

কীভাবে প্রতিকার পাবেন

বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে আপনাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করলে আপনি বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ বা আরজি দায়ের করতে পারেন।বর্তমানে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ভাড়া নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।এ নিয়ন্ত্রক কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার দরখাস্তের বা আরজির শুনানি গ্রহণ করতে পারবেন।

বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ অনুযায়ী,প্রতি দুই বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়ালেও তা হতে হবে যুক্তিসঙ্গত।এছাড়া মাসিক ভাড়া নিয়ে কোনো লিখিত চুক্তি না থাকলে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে মানি অর্ডারযোগে বাড়িওয়ালার ঠিকানায় ভাড়া প্রেরণ করতে হবে।

যা করবেন

১. মানি অর্ডারযোগে প্রেরণ করা ভাড়ার টাকা বাড়িওয়ালা যদি গ্রহণ না করেন,পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে সিনিয়র সহকারী জজের বরাবর দরখাস্ত এবং একই সঙ্গে ভাড়ার টাকাও জমা দিতে হবে।

২. একজন আইনজীবীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক বরাবর আবেদন করতে হবে।

৩. ভাড়া নিয়ন্ত্রক প্রাথমিকভাবে শুনানির পর যদি সন্তুষ্ট হন যে ভাড়া প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া যাবে, সে ক্ষেত্রে ভাড়ার টাকা প্রতি মাসেই আদালতে জমা দেয়া যাবে।

৪. আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিলে আইনতভাবে ভাড়াটিয়াকে ভাড়াখেলাপি বলার সুযোগ থাকবে না।

৫. বাড়িওয়ালার সঙ্গে লিখিত চুক্তিতে কী কী শর্তে ভাড়া দেয়া হলো এবং করণীয় কী,সেসব নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাড়ানো,অগ্রিম জমা ও কখন বাড়ি ছাড়বেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

৬. আর প্রতি মাসে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ভাড়ার লিখিত রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।

লেখক: অ্যাডভোকেট আবুল হাসান,অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট।