ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান সিলেটে হ ত্যা মামলায় সাংবাদিকসহ ৩১৮৪ আসামী জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেমুসাসের কর্মসূচি আগামী ২৫জুলাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের বরণ করতে প্রস্তুত সিলেটবাসী প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু

রাজনীতিতে আসব না ঘোষণা দেওয়ার পর স্টেজ শো বেড়েছে : মনির খান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা প্রতিনিধি,

ঈদে ১০টি নতুন গান নিয়ে আসছেন মনির খান। বিষয়টা সবাইকে জানাতে আজ সোমবার ঢাকার বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন শিল্পী। তার আগে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’

প্রশ্ন: কেমন আছেন?

ভালো আছি। গাজীপুরের মাওনায় বাড়ির পাশে বসে আছি।

প্রশ্ন: আজকাল তো কেউ একসঙ্গে ১০টি গান প্রকাশের ঘোষণা দেন না। আপনি কী ভেবে দিলেন?

ইউটিউবে আমার দুটি চ্যানেল আছে। আগে–পরে একটা–দুটো করে গান ছাড়ার পরিকল্পনা আছে। আমি চিন্তা করছি, একেকটা চ্যানেলে মাসে ৩–৪টা করেও যদি গান ছাড়ি, ২ মাসে ১০টা গান মুক্তি পেয়ে যাবে।

প্রশ্ন: গানগুলো সম্পর্কে যদি ধারণা দিতেন।

সব সময় যে ধরনের গান গেয়ে থাকি, এবারের গানগুলোও সে রকম। আমার ট্র্যাকের বাইরে যাইনি। একদম কাছাকাছি থাকছি। এই গানগুলো খুবই মেলোডিয়াস। বেঁচে থাকার মতো গান। গানগুলোর কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন মিল্টন খন্দকার, লিটন শিকদার ও দেবু রায়। তাঁদের মধ্যে মিল্টন খন্দকারের সঙ্গে আমার ৩২ বছরের সম্পর্ক।

প্রশ্ন:এই যে ৩২ বছরের সম্পর্ক, এটা গান তৈরি ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক?

মিল্টন খন্দকারের সঙ্গে মূলত গান দিয়েই পরিচয়। সেই থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি আস্থার একটা জায়গা, দারুণ একটা ভালো লাগার জায়গা। তাঁর জ্ঞান, গুণ, কথা বলা, মেশামেশি, আদর—সবই আমার ক্ষেত্রে সুখকর। দীর্ঘ সংগীতজীবনে অনেকের সঙ্গে কাজ করছি, কিন্তু এই জায়গায় আমার বোঝাবুঝি সবচেয়ে বেশি। এ কারণে গানও বেশ ভালো হয়।

মিল্টন খন্দকার ও মনির খানছবি : মনির খানের সৌজন্যে,

প্রশ্ন:তিন দশকের বেশি গানের অঙ্গনে আছেন।

আসলে আমাদের সবাইকেই স্বীকার করতে হবে—যুগের ও সময়ের পরিবর্তন সব সময় ছিল, এখনো আছে। আগামী দিনেও আসবে। এখন হয়তো ইউটিউব, ফেসবুক চলছে, সামনে অন্য কিছু ঠিকই চলে আসবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের মানাতেই হবে। সেখানে এসেও যে আমরা কাজ করছি, আমাদের কাজ মানুষ পছন্দ করছে, এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে আমি আশ্চর্য হই না এই ভেবে যে আগে তো লং প্লে ছিল; তারপর ক্যাসেট, সিডি, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড; এখন এসেছে ইউটিউব। চোখের সামনে অনেকগুলো পরিবর্তন দেখলাম, এসবে আমি মোটেও আশ্চর্য হই না। সময়ের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন তো হবেই।

প্রশ্ন:পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তো সমস্যা হয়নি?

একদমই না। আমি মনে করি, পরিবর্তনের ব্যাপারটা মানলেই হয়।

স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গাজীপুরে নিজের বাগানবাড়িতে থাকেন মনির খানছবি : মনির খানের সৌজন্যে,

প্রশ্ন:শিল্পীদের তো এখন আয়ের বড় মাধ্যম স্টেজ শো। আপনার কেমন চলছে?

আমি বলব, রোজার আগে অনেক স্টেজ শো করেছি, প্রচুর করেছি। ঈদের পরও অনেকগুলো স্টেজ শোর ব্যাপারে কথা হয়েছে। কিছু কনফার্ম করেছি। বাকিগুলোও হয়ে যাবে। করোনার পর থেকে আমি বলতে পারি, কাজ অনেক করছি। আর কোনো দিন রাজনীতিতে আসব না ঘোষণা দেওয়ার পর স্টেজ শো বেড়েছে। আমি শিল্পী তো সবার জন্য, কিন্তু রাজনীতির কারণে একটা পক্ষের ছিলাম। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তো পক্ষ–বিপক্ষ থাকে, যখন একটা পক্ষের ছিলাম, কেউ ‘এ’তে থাকলে ‘বি’ পছন্দ করে না, ‘বি’তে থাকলে ‘এ’ পছন্দ করে না। এ রকম পরিস্থিতি তো বাংলাদেশে দেখা যায়ই, তাই সেটার কিছু বাধা তো ছিলই।

সেখান থেকে যখন ঘোষণা দিয়ে ফিরে এলাম, সবার কাছে আবার তাদের প্রিয় শিল্পী হয়ে উঠলাম। অবাধ সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, শিল্পীদের মধ্যে বহুল জনপ্রিয় বা মানুষের কাছে অসম্ভব পছন্দের কেউ কোনো একটা পক্ষের হয়ে কাজ করলে জনগণ মনে আঘাত পায়। সাধারণ মানুষ একজন শিল্পীকে তাঁর কর্ম দেখে পছন্দ করে। রাজনীতির কারণে তাঁর কর্মের ওপর তখন বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মানুষ ভাবে, ‘এই লোকটাকে হৃদয়ে পুষে রাখি, অথচ এই লোকটা একটা পক্ষে চলে গেল!’ তখন একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। জনগণ একটু কষ্ট পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাজনীতিতে আসব না ঘোষণা দেওয়ার পর স্টেজ শো বেড়েছে : মনির খান

আপডেট সময় : ০৫:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা প্রতিনিধি,

ঈদে ১০টি নতুন গান নিয়ে আসছেন মনির খান। বিষয়টা সবাইকে জানাতে আজ সোমবার ঢাকার বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন শিল্পী। তার আগে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’

প্রশ্ন: কেমন আছেন?

ভালো আছি। গাজীপুরের মাওনায় বাড়ির পাশে বসে আছি।

প্রশ্ন: আজকাল তো কেউ একসঙ্গে ১০টি গান প্রকাশের ঘোষণা দেন না। আপনি কী ভেবে দিলেন?

ইউটিউবে আমার দুটি চ্যানেল আছে। আগে–পরে একটা–দুটো করে গান ছাড়ার পরিকল্পনা আছে। আমি চিন্তা করছি, একেকটা চ্যানেলে মাসে ৩–৪টা করেও যদি গান ছাড়ি, ২ মাসে ১০টা গান মুক্তি পেয়ে যাবে।

প্রশ্ন: গানগুলো সম্পর্কে যদি ধারণা দিতেন।

সব সময় যে ধরনের গান গেয়ে থাকি, এবারের গানগুলোও সে রকম। আমার ট্র্যাকের বাইরে যাইনি। একদম কাছাকাছি থাকছি। এই গানগুলো খুবই মেলোডিয়াস। বেঁচে থাকার মতো গান। গানগুলোর কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন মিল্টন খন্দকার, লিটন শিকদার ও দেবু রায়। তাঁদের মধ্যে মিল্টন খন্দকারের সঙ্গে আমার ৩২ বছরের সম্পর্ক।

প্রশ্ন:এই যে ৩২ বছরের সম্পর্ক, এটা গান তৈরি ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক?

মিল্টন খন্দকারের সঙ্গে মূলত গান দিয়েই পরিচয়। সেই থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি আস্থার একটা জায়গা, দারুণ একটা ভালো লাগার জায়গা। তাঁর জ্ঞান, গুণ, কথা বলা, মেশামেশি, আদর—সবই আমার ক্ষেত্রে সুখকর। দীর্ঘ সংগীতজীবনে অনেকের সঙ্গে কাজ করছি, কিন্তু এই জায়গায় আমার বোঝাবুঝি সবচেয়ে বেশি। এ কারণে গানও বেশ ভালো হয়।

মিল্টন খন্দকার ও মনির খানছবি : মনির খানের সৌজন্যে,

প্রশ্ন:তিন দশকের বেশি গানের অঙ্গনে আছেন।

আসলে আমাদের সবাইকেই স্বীকার করতে হবে—যুগের ও সময়ের পরিবর্তন সব সময় ছিল, এখনো আছে। আগামী দিনেও আসবে। এখন হয়তো ইউটিউব, ফেসবুক চলছে, সামনে অন্য কিছু ঠিকই চলে আসবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের মানাতেই হবে। সেখানে এসেও যে আমরা কাজ করছি, আমাদের কাজ মানুষ পছন্দ করছে, এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে আমি আশ্চর্য হই না এই ভেবে যে আগে তো লং প্লে ছিল; তারপর ক্যাসেট, সিডি, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড; এখন এসেছে ইউটিউব। চোখের সামনে অনেকগুলো পরিবর্তন দেখলাম, এসবে আমি মোটেও আশ্চর্য হই না। সময়ের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন তো হবেই।

প্রশ্ন:পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তো সমস্যা হয়নি?

একদমই না। আমি মনে করি, পরিবর্তনের ব্যাপারটা মানলেই হয়।

স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গাজীপুরে নিজের বাগানবাড়িতে থাকেন মনির খানছবি : মনির খানের সৌজন্যে,

প্রশ্ন:শিল্পীদের তো এখন আয়ের বড় মাধ্যম স্টেজ শো। আপনার কেমন চলছে?

আমি বলব, রোজার আগে অনেক স্টেজ শো করেছি, প্রচুর করেছি। ঈদের পরও অনেকগুলো স্টেজ শোর ব্যাপারে কথা হয়েছে। কিছু কনফার্ম করেছি। বাকিগুলোও হয়ে যাবে। করোনার পর থেকে আমি বলতে পারি, কাজ অনেক করছি। আর কোনো দিন রাজনীতিতে আসব না ঘোষণা দেওয়ার পর স্টেজ শো বেড়েছে। আমি শিল্পী তো সবার জন্য, কিন্তু রাজনীতির কারণে একটা পক্ষের ছিলাম। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তো পক্ষ–বিপক্ষ থাকে, যখন একটা পক্ষের ছিলাম, কেউ ‘এ’তে থাকলে ‘বি’ পছন্দ করে না, ‘বি’তে থাকলে ‘এ’ পছন্দ করে না। এ রকম পরিস্থিতি তো বাংলাদেশে দেখা যায়ই, তাই সেটার কিছু বাধা তো ছিলই।

সেখান থেকে যখন ঘোষণা দিয়ে ফিরে এলাম, সবার কাছে আবার তাদের প্রিয় শিল্পী হয়ে উঠলাম। অবাধ সুযোগ তৈরি হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, শিল্পীদের মধ্যে বহুল জনপ্রিয় বা মানুষের কাছে অসম্ভব পছন্দের কেউ কোনো একটা পক্ষের হয়ে কাজ করলে জনগণ মনে আঘাত পায়। সাধারণ মানুষ একজন শিল্পীকে তাঁর কর্ম দেখে পছন্দ করে। রাজনীতির কারণে তাঁর কর্মের ওপর তখন বিতর্কের সৃষ্টি হয়। মানুষ ভাবে, ‘এই লোকটাকে হৃদয়ে পুষে রাখি, অথচ এই লোকটা একটা পক্ষে চলে গেল!’ তখন একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। জনগণ একটু কষ্ট পায়।