ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ ফেরানোর আহ্বান ৩ প্রভাবশালী দেশের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল বিদেশে বসে আ.লীগের আন্দোলনের ডাক, যা বললেন জান্নাতুন নাঈম বিমসটেক সম্মেলন ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি,লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কিসমিস আটক বাহুবলের মিরপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৫ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ভারতকে হারাতে চায় হামজায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজমিরীগঞ্জে এবার শুরু নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কমাবেন যেভাবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

এখনকার শিশুদের চোখ বেশির ভাগ সময়ই পর্দায় আটকে থাকে।কখনো সেটা টেলিভিশনের পর্দা, কখনো মুঠোফোন বা ল্যাপটপ। এসব স্মার্টযন্ত্র ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে শিশুরা একসময় পর্দায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী।নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু। স্মার্টফোন ছাড়া তার আর চলেই না। সন্তান যেন স্মার্টফোনের নেশায় না ডুবে যায়,সে জন্য মেনে চলুন এই বিষয়গুলো—

শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে শুরু থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্তান খেতে না চাইলে বা কোনো কাজ না করতে চাইলে হুটহাট স্মার্টফোন দিয়ে বসবেন না।বরং তাদের আপনি সময় দিন,বুঝিয়ে বলে কাজটি করানোর চেষ্টা করুন। 

কথা বলুন
নিজেদের ব্যস্ততার কারণে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দেবেন না।যত ব্যস্ততাই থাকুক,সময় করে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন,গল্প করুন।এতে যেমন আপনার সঙ্গে সন্তানের হৃদ্যতা বাড়বে,তেমনই ভালো সময়ও কাটবে।

স্মার্টফোন রাখুন নাগালেই বাইরে  
শিশুদের নাগালের মধ্যে স্মার্টফোন রাখবেন না। অনেক সময় আপনার সাহায্য ছাড়াই শিশুটি স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করবে। এভাবেই একসময় তাঁর আসক্তিতে পরিণত হবে।

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়
অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান।এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই,তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।একবার উপহার হিসেবে স্মার্টযন্ত্র পেলে পরবর্তী সময়ে যেকোনো কাজের জন্যই উপহার হিসেবে এমন যন্ত্র প্রত্যাশা করবে। সে ক্ষেত্রে উপহার মনের মতো না হলে শিশুটি হতাশাগ্রস্ত হতে পারে।

সময় বেঁধে দিন
এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়।দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত।কার্টুন দেখা,গেম খেলা—শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।

উদাহরণ তৈরি করুন
শিশুরা তার মা-বাবাসহ আশপাশের মানুষের কাছ থেকে শেখে।মা-বাবার স্মার্টফোন আসক্তি থেকে সন্তানের মধ্যেও সেই আসক্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে।তাই সন্তানের সামনে প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কমাবেন যেভাবে

আপডেট সময় : ০৬:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

এখনকার শিশুদের চোখ বেশির ভাগ সময়ই পর্দায় আটকে থাকে।কখনো সেটা টেলিভিশনের পর্দা, কখনো মুঠোফোন বা ল্যাপটপ। এসব স্মার্টযন্ত্র ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে শিশুরা একসময় পর্দায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী।নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু। স্মার্টফোন ছাড়া তার আর চলেই না। সন্তান যেন স্মার্টফোনের নেশায় না ডুবে যায়,সে জন্য মেনে চলুন এই বিষয়গুলো—

শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে শুরু থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্তান খেতে না চাইলে বা কোনো কাজ না করতে চাইলে হুটহাট স্মার্টফোন দিয়ে বসবেন না।বরং তাদের আপনি সময় দিন,বুঝিয়ে বলে কাজটি করানোর চেষ্টা করুন। 

কথা বলুন
নিজেদের ব্যস্ততার কারণে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দেবেন না।যত ব্যস্ততাই থাকুক,সময় করে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন,গল্প করুন।এতে যেমন আপনার সঙ্গে সন্তানের হৃদ্যতা বাড়বে,তেমনই ভালো সময়ও কাটবে।

স্মার্টফোন রাখুন নাগালেই বাইরে  
শিশুদের নাগালের মধ্যে স্মার্টফোন রাখবেন না। অনেক সময় আপনার সাহায্য ছাড়াই শিশুটি স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করবে। এভাবেই একসময় তাঁর আসক্তিতে পরিণত হবে।

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়
অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান।এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই,তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।একবার উপহার হিসেবে স্মার্টযন্ত্র পেলে পরবর্তী সময়ে যেকোনো কাজের জন্যই উপহার হিসেবে এমন যন্ত্র প্রত্যাশা করবে। সে ক্ষেত্রে উপহার মনের মতো না হলে শিশুটি হতাশাগ্রস্ত হতে পারে।

সময় বেঁধে দিন
এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়।দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত।কার্টুন দেখা,গেম খেলা—শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।

উদাহরণ তৈরি করুন
শিশুরা তার মা-বাবাসহ আশপাশের মানুষের কাছ থেকে শেখে।মা-বাবার স্মার্টফোন আসক্তি থেকে সন্তানের মধ্যেও সেই আসক্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে।তাই সন্তানের সামনে প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না।