বিশ্বনাথে ইয়াবাসহ ৪জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ

- আপডেট সময় : ০৪:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :
সিলেটের বিশ্বনাথে ইয়াবা’সহ ৪জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন স্থানীয় জনতা।
বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ২.১৫ মিনিটের দিকে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দূর্য্যাকাপন গ্রামে ঘটনাটি সংগঠিত হয়। ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ৪ জনকে স্থানীয় জনতা আটক করলেও আরোও ২ জন পালিয়ে গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে আটককৃত ও পালিয়ে যাওয়া ৬ জন ব্যক্তিই দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন।
ইয়াবা’সহ আটককৃতরা হলেন- বিশ্বনাথ পৌর শহরের ছত্রিশ গ্রামের মরম আলীর পুত্র নূরুল আমিন (২০), একই গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের পুত্র নাছির উদ্দিন (২৬), ছুরাব আলীর পুত্র ফারুক আহমদ (২৬), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর থানার চিনাকান্দি গ্রামের লিটন মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (২৪)।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ারা হলেন- বিশ্বনাথ পৌর শহরের দূর্য্যাকাপন গ্রামের আকলুছ আলীর পুত্র ফটিক মিয়া (৪০) ও একই গ্রামের সৈরত উল্লাহ’র পুত্র চন্দন আলী (৪৫)।
এঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই পান্না লাল দেব বাদী হয়ে উপরোক্ত ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ইং সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর সারণী ১০(ক)/৪১ ধারার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০১ (তাং ০২.০৪.২৫ইং)।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়কালে পৌর শহরের দূর্য্যাকাপন জামে মসজিদের সামন হতে ইয়াবা’সহ ৪ জনকে স্থানীয় জনতা আটক করে থানা পুলিশ খবর দেন। মাদক’সহ ৪ জন আটকের সংবাদ পেয়ে বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ২.১৫ মিনিটের দিকে থানা পুলিশের একটি দল পলাতক ফটিক মিয়ার বাড়ির সামনে উপস্থিত হন। এসময় স্থানীয় জনতা ইয়াবা’সহ আটককৃত ৪ জন ও একটি নীল রংয়ের পলিথিনে মুড়ানো ৫ (পাঁচ) পিস গোলাপী রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। থানা পুলিশও আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত আলামত স্বাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকা মুলে জব্দ করে আটককৃত ৪ জনকে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ৪ জন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে করে নিজেদের এলাকার বিক্রি করার জন্য তার পলাতক ফটিক ও চন্দনের কাছ থেকে জব্দকৃত ইয়াবা তার ক্রয় করেছে।
স্থানীয় জনতা ইয়াবা’সহ ৪ জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-র্চাজ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।