ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান তেলাপোকার উপদ্রব কমাতে যা করবেন এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় রিউমার স্ক্যানার ‘হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ২’জনের সাক্ষী অযত্নে ধুঁকছে পল্লী-কবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর সিলেটে যেভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহ.) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন সিলেটে থেকে প্রত্যাহার হলেন ২ থানার ওসি হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেনা-পুলিশের টহলে পালিয়েছে দালাল চক্র

কানপুরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে যা করছে ভারতীয় পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক :

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়ানোর কথা কানপুরে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচকে ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে। ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা কানপুর টেস্টে ঝামেলা পাকানোর হুমকি দিয়ে রেখেছে। তাই এই টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচ ঘিরে কানপুর শহর এখন উত্তপ্ত। ইতিমধ্যে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দু মহাসভা। এদিকে বুকিং থাকার পরও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের রুম না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানপুরের হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে। পরে বাংলাদেশ থেকে ম্যাচ দেখতে যাওয়া দর্শক এবং সাংবাদিকদের অনেককেই কানপুরের মুসলিম মালিকানাধীন হোটেলে ঠাঁই নিতে হয়েছে।

গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের নেটে বাংলাদেশ দল কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় অনুশীলন করেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মাঠ এবং হোটেল ছাড়া অন্য কোথাও না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি রাজেশ শ্রীবাস্তব নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বলেন, ‘তিন ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন–যেটি মাঠ, পিচ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি দুটি মাধ্যমে প্যাভিলিয়ন এ স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর্ডনই তিন-চারটি ভাগে বিভক্ত। কাজ করছে ১ হাজার পুলিশ, ক্যামেরা রয়েছে ১০০–এর মতো।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিসিসিআইয়ের (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) ওপরই আস্থা রাখছি। আমরা চিন্তিত নই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কানপুরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে যা করছে ভারতীয় পুলিশ

আপডেট সময় : ০১:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক :

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়ানোর কথা কানপুরে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচকে ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে। ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা কানপুর টেস্টে ঝামেলা পাকানোর হুমকি দিয়ে রেখেছে। তাই এই টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচ ঘিরে কানপুর শহর এখন উত্তপ্ত। ইতিমধ্যে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দু মহাসভা। এদিকে বুকিং থাকার পরও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের রুম না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানপুরের হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে। পরে বাংলাদেশ থেকে ম্যাচ দেখতে যাওয়া দর্শক এবং সাংবাদিকদের অনেককেই কানপুরের মুসলিম মালিকানাধীন হোটেলে ঠাঁই নিতে হয়েছে।

গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের নেটে বাংলাদেশ দল কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় অনুশীলন করেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মাঠ এবং হোটেল ছাড়া অন্য কোথাও না যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি রাজেশ শ্রীবাস্তব নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বলেন, ‘তিন ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি হচ্ছে আইসোলেশন কর্ডন–যেটি মাঠ, পিচ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে। বাকি দুটি মাধ্যমে প্যাভিলিয়ন এ স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি কর্ডনই তিন-চারটি ভাগে বিভক্ত। কাজ করছে ১ হাজার পুলিশ, ক্যামেরা রয়েছে ১০০–এর মতো।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিসিসিআইয়ের (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) ওপরই আস্থা রাখছি। আমরা চিন্তিত নই।’