ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

জীবন দিব, ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না- মমতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

 অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে এবার গর্জে উঠলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনায় হাবড়ার সভা থেকে সিএএ ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে কোনো স্পষ্টতা নেই। পুরোপুরি ভাঁওতাবাজি। ২০১৯ সালেও করেছিল আসামে সিএএ-এনআরসি। ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ গিয়েছিল। তার মধ্যে ১৩ লাখ হিন্দু বাঙালি। বহু মানুষ আত্মহত্যা করেছিল। এখন যাদের দরখাস্ত করতে বলা হয়েছে তারা যেই দরখাস্ত করবেন তারা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। তাহলে আপনাদের সম্পত্তির কী হবে, চাকরি-বাকরির কী হবে? সবটাই বেআইনি ডিক্লেয়ার হয়ে যাবে।

এটা হলো বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা। মমতা এদিন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বহাল তবিয়তে পশ্চিমবঙ্গে থাকুন। কেউ গায়ে হাত দিলে আমরা বুঝে নেব।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন সিএএ এনআরসি’র সঙ্গে কানেকটেড। আপনাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে চলে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন। হাজার বার ভাববেন।’

শুধু তাই নয়, খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতার বার্তা, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে থাকতে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। কোনো এনআরসি করতে দেব না। কোনো বঞ্চনা-লাঞ্ছনা করতে দেব না। এর জন্য আমার যদি জীবন যায় আমি জীবন দেব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অধিকার কাড়তে দেব না। আমি সব রাজ্যকে বলব, আপনারা তৈরি হন।’মমতা আরও একবার বিজেপিকে মনে করিয়ে দেন, ‘ইউনাইটেড নেশনে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বৈধ কারণ ছাড়া রাষ্ট্রহীন না হয়ে পড়ে। এমনকি শরণার্থীরাও যদি পাশের জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নেয় তাদেরও কিন্তু মানবিকতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দিতে রাষ্ট্র বাধ্য থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জীবন দিব, ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না- মমতা

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

 অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ প্রসঙ্গে এবার গর্জে উঠলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনায় হাবড়ার সভা থেকে সিএএ ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে কোনো স্পষ্টতা নেই। পুরোপুরি ভাঁওতাবাজি। ২০১৯ সালেও করেছিল আসামে সিএএ-এনআরসি। ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ গিয়েছিল। তার মধ্যে ১৩ লাখ হিন্দু বাঙালি। বহু মানুষ আত্মহত্যা করেছিল। এখন যাদের দরখাস্ত করতে বলা হয়েছে তারা যেই দরখাস্ত করবেন তারা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। তাহলে আপনাদের সম্পত্তির কী হবে, চাকরি-বাকরির কী হবে? সবটাই বেআইনি ডিক্লেয়ার হয়ে যাবে।

এটা হলো বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা। মমতা এদিন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বহাল তবিয়তে পশ্চিমবঙ্গে থাকুন। কেউ গায়ে হাত দিলে আমরা বুঝে নেব।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন সিএএ এনআরসি’র সঙ্গে কানেকটেড। আপনাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে চলে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন। হাজার বার ভাববেন।’

শুধু তাই নয়, খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতার বার্তা, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে থাকতে ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। কোনো এনআরসি করতে দেব না। কোনো বঞ্চনা-লাঞ্ছনা করতে দেব না। এর জন্য আমার যদি জীবন যায় আমি জীবন দেব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অধিকার কাড়তে দেব না। আমি সব রাজ্যকে বলব, আপনারা তৈরি হন।’মমতা আরও একবার বিজেপিকে মনে করিয়ে দেন, ‘ইউনাইটেড নেশনে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বৈধ কারণ ছাড়া রাষ্ট্রহীন না হয়ে পড়ে। এমনকি শরণার্থীরাও যদি পাশের জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নেয় তাদেরও কিন্তু মানবিকতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দিতে রাষ্ট্র বাধ্য থাকে।