ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত জেলরোড থেকে আক্তার হোসেন গ্রেফতার মাহে রামাদ্বান উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে ফুড প্যাক বিতরণ এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক হলেন সিলেটের শিব্বির আহমদ পথশিশুদের নিয়ে ইউনিস্যাবের ঈদ উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন তিন খানকে নিয়ে আসছে সিনেমা আমার বয়স নিয়ে নায়িকার সমস্যা না হলে আপনার কেন সমস্যা: সালমান সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কী হয় শরীরে? মানসিক অবসাদ কাটাতে রাতে যা করবেন গাজীপুরে আইজিপি

কর্মী হত্যাকান্ড,কাউন্সিলর নিপু জেলহাজতে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন :

সিলেটে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার সকালে নিপু সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কিউ. এম নাছির উদদীন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে। নিপু এতদিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন বলে জানান তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আরিফ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। নিহত আরিফ নগরীর টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। আরিফের বাবা ফটিক মিয়া অটোরিকশা চালান, তবে অসুস্থ থাকায় এখন বেকার। মা আঁখি বেগম বালুচর এলাকার রাজা মিয়ার কলোনিতে বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ করে বর্তমানে সংসার চালাচ্ছেন। আরিফ হত্যাকান্ডে ১৫-২০ জন অংশ নেয়। নিহত আরিফের মায়ের দাবি হত্যাকান্ডে কাউন্সিলর নিপু সরাসরি অংশ নেন।

এদিকে, আরিফ হত্যার পর ২২ নভেম্বর আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৫ জনকে। মামলার আগে ও পরে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা অধরা ছিলেন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কর্মী হত্যাকান্ড,কাউন্সিলর নিপু জেলহাজতে

আপডেট সময় : ০৫:২৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন :

সিলেটে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার সকালে নিপু সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কিউ. এম নাছির উদদীন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে। নিপু এতদিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন বলে জানান তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আরিফ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। নিহত আরিফ নগরীর টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। আরিফের বাবা ফটিক মিয়া অটোরিকশা চালান, তবে অসুস্থ থাকায় এখন বেকার। মা আঁখি বেগম বালুচর এলাকার রাজা মিয়ার কলোনিতে বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ করে বর্তমানে সংসার চালাচ্ছেন। আরিফ হত্যাকান্ডে ১৫-২০ জন অংশ নেয়। নিহত আরিফের মায়ের দাবি হত্যাকান্ডে কাউন্সিলর নিপু সরাসরি অংশ নেন।

এদিকে, আরিফ হত্যার পর ২২ নভেম্বর আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৫ জনকে। মামলার আগে ও পরে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা অধরা ছিলেন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান।