ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে- অস্ত্রসহ আটক বিএনপি নেতার ছেলে এডভোকেট গাফফার ও বাবলুর সুস্থতা কামনায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ভোর রাতে সিলেটে গোয়াইনঘাটে যুবক খু ন বিশ্বনাথে শিশু নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যান’সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা ৫০কোটি টাকার ভারতীয় চিনির চালান আটক বিশ্বনাথে ঘুষ নেওয়ার অভিযােগে এস আই আলীম উদ্দিন ক্লো জ নারকেল তেলের সঙ্গে যা মেশালে কমবে চু ল পড়া প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লতিফেহকে গ্রেফতার করল ইসরাইল অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সমঝোতা চুক্তি

৩৪ বছরের কর্মজীবনে ৭১ বার বদলি!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

চাকরিজীবনে বদলি একটা স্বাভাবিক ঘটনা। দুই-চার বছর কিংবা তারও বেশি সময় পরপরই বেশিরভাগ বদলির ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এক মাসেই তিনবার বদলি এবং ৩৪ বছরের চাকরিজীবনে ৭১ বার বদলির ঘটনা বিরল। অবাক হলেও সত্য, এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতে প্রদীপ কাসনি নামের এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে।তিনি অবসর নেওয়ার আগে শেষ ৬ মাস বেতনই পাননি। তবে যত দিন চাকরি করেছেন, সততার জন্যই পরিচিত হয়েছেন।

১৯৮০ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করে অফিসার হয়েছিলেন প্রদীপ। ১৯৮৪ সালে হরিয়ানা সরকারের কাজে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি আইএএস হন।কর্মজীবনে বার বার বদলি হয়েছেন প্রদীপ। তাকে এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছিল যে দপ্তরের আদতে কোনো অস্তিত্বই ছিল না। সেখানে বসার জন্য চেয়ার পর্যন্ত ছিল না। আটকে দেওয়া হয়েছিল তার বেতন, ভাতা। এজন্য মামলাও করেছিলেন প্রদীপ।

২০১৭ সালে প্রদীপের পোস্টিং হয়েছিল হরিয়ানার ল্যান্ড ইউজ বোর্ডের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে। বদলির পরেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, কিছু একটা গণ্ডগোল রয়েছে। প্রদীপ দেখেন, ওই বোর্ডে না রয়েছে কোনো নথি, না কোনো ফাইল। এমনকি কোনো কর্মীও ছিলেন না। এর পরেই সন্দেহ হয় প্রদীপের।

তিনি আরটিআই করেন। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘ দিন আগেই ওই বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তার পরেও কেন তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই নিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (সিএটি)-এ আবেদন করেন প্রদীপ। সেই নিয়ে মামলা চলে।সেই মামলা অবসরের পরেও চালিয়েছিলেন প্রদীপ। তার স্ত্রী নীলম কাসনিও সরকারি কর্মী ছিলেন।

প্রদীপ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেই বদলি হয়েছিলেন তিনবার। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, হরিয়ানার সরকার আশ্বাস দিয়েছিল দুই বছরের আগে আমলাদের বদলি করা হবে না। আমলারা নিজেদের কাজের জন্য নিজেরাই দায়ী থাকবেন। কর্তব্যচ্যুত হলে পদক্ষেপ করা হবে। তার পরেও কোনো আমলাকে বদলির প্রয়োজন হলে কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির প্রস্তাবে বদলি করা হবে।প্রদীপ প্রশ্ন তুলছিলেন, এসব পদক্ষেপ ছাড়াই তবে কেন তাকে বার বার বদলি করা হয়েছিল? কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৩৪ বছরের কর্মজীবনে ৭১ বার বদলি!

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

চাকরিজীবনে বদলি একটা স্বাভাবিক ঘটনা। দুই-চার বছর কিংবা তারও বেশি সময় পরপরই বেশিরভাগ বদলির ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এক মাসেই তিনবার বদলি এবং ৩৪ বছরের চাকরিজীবনে ৭১ বার বদলির ঘটনা বিরল। অবাক হলেও সত্য, এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতে প্রদীপ কাসনি নামের এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে।তিনি অবসর নেওয়ার আগে শেষ ৬ মাস বেতনই পাননি। তবে যত দিন চাকরি করেছেন, সততার জন্যই পরিচিত হয়েছেন।

১৯৮০ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করে অফিসার হয়েছিলেন প্রদীপ। ১৯৮৪ সালে হরিয়ানা সরকারের কাজে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি আইএএস হন।কর্মজীবনে বার বার বদলি হয়েছেন প্রদীপ। তাকে এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছিল যে দপ্তরের আদতে কোনো অস্তিত্বই ছিল না। সেখানে বসার জন্য চেয়ার পর্যন্ত ছিল না। আটকে দেওয়া হয়েছিল তার বেতন, ভাতা। এজন্য মামলাও করেছিলেন প্রদীপ।

২০১৭ সালে প্রদীপের পোস্টিং হয়েছিল হরিয়ানার ল্যান্ড ইউজ বোর্ডের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে। বদলির পরেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, কিছু একটা গণ্ডগোল রয়েছে। প্রদীপ দেখেন, ওই বোর্ডে না রয়েছে কোনো নথি, না কোনো ফাইল। এমনকি কোনো কর্মীও ছিলেন না। এর পরেই সন্দেহ হয় প্রদীপের।

তিনি আরটিআই করেন। তাতে দেখা যায়, দীর্ঘ দিন আগেই ওই বোর্ড প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তার পরেও কেন তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই নিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (সিএটি)-এ আবেদন করেন প্রদীপ। সেই নিয়ে মামলা চলে।সেই মামলা অবসরের পরেও চালিয়েছিলেন প্রদীপ। তার স্ত্রী নীলম কাসনিও সরকারি কর্মী ছিলেন।

প্রদীপ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেই বদলি হয়েছিলেন তিনবার। একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, হরিয়ানার সরকার আশ্বাস দিয়েছিল দুই বছরের আগে আমলাদের বদলি করা হবে না। আমলারা নিজেদের কাজের জন্য নিজেরাই দায়ী থাকবেন। কর্তব্যচ্যুত হলে পদক্ষেপ করা হবে। তার পরেও কোনো আমলাকে বদলির প্রয়োজন হলে কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির প্রস্তাবে বদলি করা হবে।প্রদীপ প্রশ্ন তুলছিলেন, এসব পদক্ষেপ ছাড়াই তবে কেন তাকে বার বার বদলি করা হয়েছিল? কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।