ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান শাকিবের যে সিনেমায় ‘বুবলী’ হয়েছিলেন অপু বিশ্বাস গাজার মুসলমানদের সমর্থনে বলিউড অভিনেত্রীর পোস্ট আরেকটি এফ-৩৫ ধ্বংস, ইসরাইলের জন্য অন্ধকার পূর্বাভাস ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা স্থাপনায় ইরানের হামলা বিমান দুর্ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু গল টেস্টের প্রথম দিনে দুই সেঞ্চুরি, ভালো পজিশনে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ডব্লিউজিইআইডি ভাইস চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ জরিপের ফল-পথে বেড়ে উঠা শিশুদের ৫৮ শতাংশেরই নেই জন্মসনদ চুনারুঘাট সীমান্তে বিজিবির হাতে ভারতীয় নাগরিক আটক কুলাউড়ায় ৫০০ চক্ষু রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিল ‘এনএসএস’

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজায় ইলন মাস্কের ইন্টারনেট চায় সোশ্যাল মিডিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

 অনলাইন ডেস্ক: অনলাইন সংস্করণ

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজায় ইলন মাস্কের ইন্টারনেট চায় সোশ্যাল মিডিয়া। শুক্রবার রাতভর হামলার মাঝেই গাজার মোবাইল ফোন, টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরই গাজায় ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেটের দাবিতে সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।নিউ আরবপ্যালেস্টাইন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি শুক্রবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরাইলের তীব্র বোমা হামলার ফলে গাজার বহির্বিশ্বের সাথে সংযুক্ত সব আন্তর্জাতিক রুট ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজায় অনবরত ভারী বোমাবর্ষণ চলছে।এরই মধ্যে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের অভাব এর বাসিন্দাদের বাকি বিশ্ব থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করেছে। শুধু বিশ্বের সঙ্গে নয়, একটু দূরে নিজেদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারছেন না বাসিন্দারা। যোগাযোগের অভাবে অপারেশন রুম থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়াও সম্ভব হচ্ছে। গাজার এ করুণ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা গাজায় স্টারলিংক অ্যাক্সেস সরবরাহ করার জন্য ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন। 

বর্তমানে পুরো গাজা উপত্যকা ইন্টারনেট ছাড়াই রয়েছে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না বেসামরিক নাগরিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা গণমাধ্যম এক্সে (আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) #স্টারলিংক ফর গাজা নামে একটি হ্যাশট্যাগ প্রচার শুরু করেছে।এ মাধ্যমটি অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি পোস্ট সংগ্রহ করেছে। প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক একজন দূরদর্শী উদ্যোক্তা।যিনি এক্স এবং স্পেসএক্স উভয়েরই মালিক। স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নক্ষত্রমণ্ডল। ইলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্সের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়।মাস্ক এখনো এই ক্রমবর্ধমান অনুরোধগুলোতে সাড়া দেননি। স্পেসএক্স গাজায় তার পরিষেবা চালু করার জন্য ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা করছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ঐতিহাসিকভাবে কোম্পানিটি যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার জন্য বেশ পরিচিত। 

গাজার মতো একই ঘটনা ঘটেছিল ইউক্রেনেও। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সময়, ইউক্রেনের যোগাযোগব্যবস্থা কেটে দেওয়া হয়। সে সময় সামরিক এবং বেসামরিক বাসিন্দারা স্টারলিংক অ্যাক্সেসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলন মাস্ক ২০২২ সালে ক্রিমিয়ার বন্দর শহর সেভাস্টোপলে তার স্টারলিংক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য ইউক্রেনের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইলন মাস্ক জানান, ‘যদি আমি তাদের অনুরোধে রাজি হতাম, তাহলে স্পেসএক্স স্পষ্টভাবে যুদ্ধ ও সংঘাত বৃদ্ধির একটি ভয়ঙ্কর কাজে জড়িত হতো।কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে অনেকেই আশা করছেন, ইলন মাস্ক গাজার সংকটময় পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি দেবেন।এদিকে, ইসরাইলের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলছে, গাজায় জঘন্য গণহত্যা চালানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে, দখলদারিত্ব, ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে এই কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেওয়ার জন্য দায়ী করেছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজায় ইলন মাস্কের ইন্টারনেট চায় সোশ্যাল মিডিয়া

আপডেট সময় : ০৪:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

 অনলাইন ডেস্ক: অনলাইন সংস্করণ

বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজায় ইলন মাস্কের ইন্টারনেট চায় সোশ্যাল মিডিয়া। শুক্রবার রাতভর হামলার মাঝেই গাজার মোবাইল ফোন, টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরই গাজায় ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেটের দাবিতে সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।নিউ আরবপ্যালেস্টাইন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি শুক্রবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরাইলের তীব্র বোমা হামলার ফলে গাজার বহির্বিশ্বের সাথে সংযুক্ত সব আন্তর্জাতিক রুট ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজায় অনবরত ভারী বোমাবর্ষণ চলছে।এরই মধ্যে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের অভাব এর বাসিন্দাদের বাকি বিশ্ব থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন করেছে। শুধু বিশ্বের সঙ্গে নয়, একটু দূরে নিজেদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারছেন না বাসিন্দারা। যোগাযোগের অভাবে অপারেশন রুম থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়াও সম্ভব হচ্ছে। গাজার এ করুণ পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা গাজায় স্টারলিংক অ্যাক্সেস সরবরাহ করার জন্য ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন। 

বর্তমানে পুরো গাজা উপত্যকা ইন্টারনেট ছাড়াই রয়েছে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না বেসামরিক নাগরিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা গণমাধ্যম এক্সে (আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) #স্টারলিংক ফর গাজা নামে একটি হ্যাশট্যাগ প্রচার শুরু করেছে।এ মাধ্যমটি অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি পোস্ট সংগ্রহ করেছে। প্রযুক্তি বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক একজন দূরদর্শী উদ্যোক্তা।যিনি এক্স এবং স্পেসএক্স উভয়েরই মালিক। স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নক্ষত্রমণ্ডল। ইলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্সের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়।মাস্ক এখনো এই ক্রমবর্ধমান অনুরোধগুলোতে সাড়া দেননি। স্পেসএক্স গাজায় তার পরিষেবা চালু করার জন্য ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা করছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ঐতিহাসিকভাবে কোম্পানিটি যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার জন্য বেশ পরিচিত। 

গাজার মতো একই ঘটনা ঘটেছিল ইউক্রেনেও। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সময়, ইউক্রেনের যোগাযোগব্যবস্থা কেটে দেওয়া হয়। সে সময় সামরিক এবং বেসামরিক বাসিন্দারা স্টারলিংক অ্যাক্সেসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলন মাস্ক ২০২২ সালে ক্রিমিয়ার বন্দর শহর সেভাস্টোপলে তার স্টারলিংক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য ইউক্রেনের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইলন মাস্ক জানান, ‘যদি আমি তাদের অনুরোধে রাজি হতাম, তাহলে স্পেসএক্স স্পষ্টভাবে যুদ্ধ ও সংঘাত বৃদ্ধির একটি ভয়ঙ্কর কাজে জড়িত হতো।কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে অনেকেই আশা করছেন, ইলন মাস্ক গাজার সংকটময় পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি দেবেন।এদিকে, ইসরাইলের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলছে, গাজায় জঘন্য গণহত্যা চালানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে, দখলদারিত্ব, ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে এই কর্মকাণ্ডে সমর্থন দেওয়ার জন্য দায়ী করেছে।