ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান শাকিবের যে সিনেমায় ‘বুবলী’ হয়েছিলেন অপু বিশ্বাস গাজার মুসলমানদের সমর্থনে বলিউড অভিনেত্রীর পোস্ট আরেকটি এফ-৩৫ ধ্বংস, ইসরাইলের জন্য অন্ধকার পূর্বাভাস ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা স্থাপনায় ইরানের হামলা বিমান দুর্ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু গল টেস্টের প্রথম দিনে দুই সেঞ্চুরি, ভালো পজিশনে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ডব্লিউজিইআইডি ভাইস চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ জরিপের ফল-পথে বেড়ে উঠা শিশুদের ৫৮ শতাংশেরই নেই জন্মসনদ চুনারুঘাট সীমান্তে বিজিবির হাতে ভারতীয় নাগরিক আটক কুলাউড়ায় ৫০০ চক্ষু রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিল ‘এনএসএস’

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যুক্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও যৌথভাবে সাহায্যের আহ্বান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ সরকার এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যুক্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও যৌথভাবে সাহায্য চেয়েছে।রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার জেনেভায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও এবং দেশি-বিদেশি এনজিও প্রতিনিধি যৌথভাবে এই আহ্বান জানান।রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্যও এই সহায়তা কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী মিলে ১৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জন্য এই সহায়তা কাজে লাগবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বৈদেশিক সহায়তা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে সরকার ও সাহায্য সংস্থাগুলো দাতাদের কাছে প্রতি বছর সহায়তার জন্যে বাজেট প্রণয়ন করে আবেদন করলেও ৭২ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি সহায়তা পাওয়া গেছে। তবে ২০২২ সালে প্রাপ্ত সহায়তা কমে ৬২ শতাংশে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনা বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ,তুরস্কে ভূমিকম্প, আফগানিস্তান যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা কমে যাচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গাদের ত্রাণে কাটছাঁট করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কর্মকাণ্ডের যৌথ পরিকল্পনা বা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বাস্তবায়নে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশি মিলিয়ে ১৪ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার জন্যে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে মোট ১১৬টি সংস্থা, যার প্রায় অর্ধেক হচ্ছে বাংলাদেশি। এসব সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য, বাসস্থান, সুপেয় পানি, সুরক্ষা, শিক্ষা, জীবিকার সুযোগ ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা।বাংলাদেশ সরকারের নীতি মোতাবেক, বিদেশি সহায়তার ২০ শতাংশ অবশ্যই স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যয় করতে হবে। অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ ব্যয় হবে রোহিঙ্গাদের জন্য। অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ইতোমধ্যে ক্যাম্পে সব রোহিঙ্গার জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা কমাতে বাধ্য হয়েছে।  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যুক্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও যৌথভাবে সাহায্যের আহ্বান

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তায় যুক্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও যৌথভাবে সাহায্য চেয়েছে।রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার জেনেভায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও এবং দেশি-বিদেশি এনজিও প্রতিনিধি যৌথভাবে এই আহ্বান জানান।রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্যও এই সহায়তা কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী মিলে ১৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষের জন্য এই সহায়তা কাজে লাগবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বৈদেশিক সহায়তা দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে সরকার ও সাহায্য সংস্থাগুলো দাতাদের কাছে প্রতি বছর সহায়তার জন্যে বাজেট প্রণয়ন করে আবেদন করলেও ৭২ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি সহায়তা পাওয়া গেছে। তবে ২০২২ সালে প্রাপ্ত সহায়তা কমে ৬২ শতাংশে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনা বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ,তুরস্কে ভূমিকম্প, আফগানিস্তান যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা কমে যাচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গাদের ত্রাণে কাটছাঁট করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কর্মকাণ্ডের যৌথ পরিকল্পনা বা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান বাস্তবায়নে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশি মিলিয়ে ১৪ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার জন্যে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবে মোট ১১৬টি সংস্থা, যার প্রায় অর্ধেক হচ্ছে বাংলাদেশি। এসব সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য, বাসস্থান, সুপেয় পানি, সুরক্ষা, শিক্ষা, জীবিকার সুযোগ ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা।বাংলাদেশ সরকারের নীতি মোতাবেক, বিদেশি সহায়তার ২০ শতাংশ অবশ্যই স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যয় করতে হবে। অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ ব্যয় হবে রোহিঙ্গাদের জন্য। অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ইতোমধ্যে ক্যাম্পে সব রোহিঙ্গার জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা কমাতে বাধ্য হয়েছে।