ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

সিসিকের দুই অসৎ উপ-সহকারীপ্রকৌশলীর দম্ভের শেষ কোথায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার :

সিলেট মহানগরীর কাজলশাহ্ এলাকা ও উত্তর বাগবাড়ী এলাকায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিকে) কর্মরত দুইজন প্রভাবশালী উপ- সহকারী প্রকৌশলীদের পৃথকভাবে দুটি আলিশান বিল্ডিংয়ের মলিক হয়েছেন ।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিসিকের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী নগরীর কাজলশাহ্ এলাকায় চার শতক জায়গার উপর পাঁচ তলা বিশিষ্ট আধুনিক একটি ভবণ নির্মাণ করে বসবাস করছেন। ভবণের প্রতি তলায় দুইটি করে ইউনিট রয়েছে।

এই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে গত ১লা জুন রোববার বিকাল ৩.৩৩ টার সময় এক প্রতিবেদক তার আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য জানতে ছয় মিনিট মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তার কাছে এ প্রতিবেদক এত সম্পদের খবর জানতে চাইলে বলেন, বিগত ৪/৫ বছর আগে কাজলশাহ্ এলাকায় চার শতক জায়গা ক্রয় করে পাঁচ তলা ভবণ নির্মাণ করেন।

তার ক্রয়কৃত ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০/৬০ লক্ষ টাকা। আর পাঁচ তলা ভবণ নির্মাণ ব্যয় কোটি টাকার উপরে। এর মধ্যে উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, তিনি হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সিলেট শাখা থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে ৯০ লক্ষ টাকার যোগান কোথা থেকে আসলো সেটির সঠিক ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। এছাড়া হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সিলেট শাখা থেকে ঋণ নেওয়া ৬০ লক্ষ টাকার বিপরীতে মাসে কত টাকা কিস্তি দেন এবং কত টাকা মাসিক বেতন প্রশ্ন করলে তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে কাজলশাহ্ এলাকার স্থানীয় একজন বাসিন্দাকে সরেজমিনে এ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দৃষ্টিনন্দন পাঁচ তলা ভবণ নির্মাণের বিষয়টি জানালে ঐ বাসিন্দা বলেন, ঐ বিল্ডিংয়ের বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা হবে। অপর উপ-সহকারী আরেক প্রকৌশলী মহানগরীর উত্তর বাগবাড়ী এলাকার একটি সরকারী ছড়ারপাড় দখলে নিয়ে ৩/৪ শতক ভূমির উপর তিন তলা একটি আলিশান বিল্ডিং নির্মাণ করে বসবাস করছেন। তার এ ভূমি নিয়ে এলাকায় অনেক কানাঘুষা চলছে।

সিসিকের একজন বিশস্থ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাগবাড়ী সাকিনে বাসা বানিয়ে বসবাস করা ঐ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ৫/৬ বছর আগে সিসিকের বিদ্যুৎ শাখায় সড়কবাতি পরিদর্শক/অফিস সহায়ক কর্মচারী পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বদলী হয়ে পানি শাখায় এসে পদোন্নতি পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ বাগিয়ে নেন। প্রশ্ন উঠতেছে যে, বিগত ৫/৬ বছর আগে ঐ উপ- সহকারী প্রকৌশলী সিসিকের বিদ্যুৎ শাখায় কর্মচারী পদে নিযুক্ত হয়ে পরবর্তীতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ লাভ করে পানি শাখায় যান।

তিনি রাতারাতি তিন তলা বিল্ডিংয়ের মালিক হলেন কি করে ? গত ২১মে এ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে মোবাইল ফোনে এক প্রতিবেদক তার আয় বহির্ভূত সম্পত্তির তথ্য জানতে চাইলে বলেন, তিনি সিসিকের একটি শাখায় সড়কবাতি পরিদর্শক ছিলেন বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি পদোন্নতি পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হন। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। কয়েকদিন দফায় দফায় তার কাছে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন ।

গত ২জুন সোমবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজনেস ফাইল পত্রিকার সিলেট ব্যুরো প্রধান বিদ্যারত্ন রায় সিসিকের প্রকৌশলী শাখায় তথ্য জানতে চেয়ে সেখানে গেলে ঐ অসৎ প্রভাবশালী দুইজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ তিন চার জন কর্মকর্তা সংঘটিত হয়ে ঐ সাংবাদিককে ঘিরে ফেলে ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন এবং তাকে অপদস্থ করেন বলে অভিযোগ উঠে।

এ অসৎ দুইজন উপ-প্রকৌশলী এ সাংবাদিককে বলেন, আপনার পরিচিত ঐ ভুয়া সাংবাদিক ফোন দিয়ে আমাদের সম্পদের তথ্য জানতে চেয়েছে কেন ? সে জন্য ঐ ভুয়া সাংবাদিককে সেনাক্যাম্পে ধরিয়ে দেবেন বলে দুজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাসিয়ে দেন সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায়কে। সিসিকের প্রকৌশলী বিভাগে বেআইনীভাবে সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায়কে অপদস্থ হুমকি ধমকি দিলে তিনি তার পত্রিকার পরিচয়পত্র গলায় ঝুলালে প্রকৌশলী দুইজন বলেন, আপনাকে ভুয়া সাংবাদিক বলছি না। বলছি যে সাংবাদিক ফোনে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিতে চাইছে তাকে তারা ভুয়া সাংবাদিক বলেছেন।

দুর্নীতিবাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী দু’জন এও বলেন যে, ঐ ভুয়া সাংবাদিক চাদাবাজ হিসেবে গণ্য করে তাকে শায়েস্তা করবেন। জবাবে সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায় উপ-সহকারী প্রকৌশল দুজনকে বলেন, যে সাংবাদিকের সাথে আপনাদের ফোনে আলাপ হয়েছে, তাকে ভুয়া বললেন কেন ? ঐ সাংবাদিক কিভাবে ভুয়া হলো, আপনি কি যাচাই বাছাই করেছেন কি ? উত্তরে তারা কিছু জানাতে পারেনি।

সিসিকের প্রকৌশলী বিভাগে অপদস্থ ও হুমকির শিকার সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায় উপ-প্রকৌশলীদের বলেন, একজন সাংবাদিক ফোন দিয়ে তথ্য জানতেই পারে। সেজন্য কি ঐ সাংবাদিক চাঁদাবাজ ভুয়া হয়ে গেলো ? আচ্ছা ঠিক আছে, ঐ ভুয়া সাংবাদিক কোন মারফতে চাদা দাবী করলো তার রেকর্ড প্রমাণ কোথায় ? উত্তরে প্রকৌশলী দুজন নিশ্চুপ থাকেন।

অন্যদিকে ঐ অসৎ দুর্নীতিবাজ দুজন প্রকৌশলী ঐ ভুয়া সাংবাদিককে শায়েস্তা করতে মদন মোহন কলেজের একটি ছাত্র সংগঠনের সভাপতিকে খবর দিয়ে দুর্নীতিবাজদের তথ্য জানতে চাওয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লেগে দেন। ছাত্র সংগঠনের ঐ সভাপতি সিসিকের দুর্নীতির খবর নেওয়া সাংবাদিকের নাম্বারে ফোন দিয়ে জরুরী সাক্ষাত করতে চান বলে খবর দিলে পরবর্তীতে ঐ সভাপতি আর সাংবাদিকের কাছে আসেননি। ঐ দুর্নীতিবাজ দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নাম পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিসিকের দুই অসৎ উপ-সহকারীপ্রকৌশলীর দম্ভের শেষ কোথায়

আপডেট সময় : ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :

সিলেট মহানগরীর কাজলশাহ্ এলাকা ও উত্তর বাগবাড়ী এলাকায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিকে) কর্মরত দুইজন প্রভাবশালী উপ- সহকারী প্রকৌশলীদের পৃথকভাবে দুটি আলিশান বিল্ডিংয়ের মলিক হয়েছেন ।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিসিকের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী নগরীর কাজলশাহ্ এলাকায় চার শতক জায়গার উপর পাঁচ তলা বিশিষ্ট আধুনিক একটি ভবণ নির্মাণ করে বসবাস করছেন। ভবণের প্রতি তলায় দুইটি করে ইউনিট রয়েছে।

এই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে গত ১লা জুন রোববার বিকাল ৩.৩৩ টার সময় এক প্রতিবেদক তার আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য জানতে ছয় মিনিট মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তার কাছে এ প্রতিবেদক এত সম্পদের খবর জানতে চাইলে বলেন, বিগত ৪/৫ বছর আগে কাজলশাহ্ এলাকায় চার শতক জায়গা ক্রয় করে পাঁচ তলা ভবণ নির্মাণ করেন।

তার ক্রয়কৃত ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০/৬০ লক্ষ টাকা। আর পাঁচ তলা ভবণ নির্মাণ ব্যয় কোটি টাকার উপরে। এর মধ্যে উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, তিনি হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সিলেট শাখা থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে ৯০ লক্ষ টাকার যোগান কোথা থেকে আসলো সেটির সঠিক ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। এছাড়া হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন সিলেট শাখা থেকে ঋণ নেওয়া ৬০ লক্ষ টাকার বিপরীতে মাসে কত টাকা কিস্তি দেন এবং কত টাকা মাসিক বেতন প্রশ্ন করলে তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

তবে কাজলশাহ্ এলাকার স্থানীয় একজন বাসিন্দাকে সরেজমিনে এ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দৃষ্টিনন্দন পাঁচ তলা ভবণ নির্মাণের বিষয়টি জানালে ঐ বাসিন্দা বলেন, ঐ বিল্ডিংয়ের বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা হবে। অপর উপ-সহকারী আরেক প্রকৌশলী মহানগরীর উত্তর বাগবাড়ী এলাকার একটি সরকারী ছড়ারপাড় দখলে নিয়ে ৩/৪ শতক ভূমির উপর তিন তলা একটি আলিশান বিল্ডিং নির্মাণ করে বসবাস করছেন। তার এ ভূমি নিয়ে এলাকায় অনেক কানাঘুষা চলছে।

সিসিকের একজন বিশস্থ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাগবাড়ী সাকিনে বাসা বানিয়ে বসবাস করা ঐ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ৫/৬ বছর আগে সিসিকের বিদ্যুৎ শাখায় সড়কবাতি পরিদর্শক/অফিস সহায়ক কর্মচারী পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বদলী হয়ে পানি শাখায় এসে পদোন্নতি পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ বাগিয়ে নেন। প্রশ্ন উঠতেছে যে, বিগত ৫/৬ বছর আগে ঐ উপ- সহকারী প্রকৌশলী সিসিকের বিদ্যুৎ শাখায় কর্মচারী পদে নিযুক্ত হয়ে পরবর্তীতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ লাভ করে পানি শাখায় যান।

তিনি রাতারাতি তিন তলা বিল্ডিংয়ের মালিক হলেন কি করে ? গত ২১মে এ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কাছে মোবাইল ফোনে এক প্রতিবেদক তার আয় বহির্ভূত সম্পত্তির তথ্য জানতে চাইলে বলেন, তিনি সিসিকের একটি শাখায় সড়কবাতি পরিদর্শক ছিলেন বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি পদোন্নতি পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হন। এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। কয়েকদিন দফায় দফায় তার কাছে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন ।

গত ২জুন সোমবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজনেস ফাইল পত্রিকার সিলেট ব্যুরো প্রধান বিদ্যারত্ন রায় সিসিকের প্রকৌশলী শাখায় তথ্য জানতে চেয়ে সেখানে গেলে ঐ অসৎ প্রভাবশালী দুইজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ তিন চার জন কর্মকর্তা সংঘটিত হয়ে ঐ সাংবাদিককে ঘিরে ফেলে ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন এবং তাকে অপদস্থ করেন বলে অভিযোগ উঠে।

এ অসৎ দুইজন উপ-প্রকৌশলী এ সাংবাদিককে বলেন, আপনার পরিচিত ঐ ভুয়া সাংবাদিক ফোন দিয়ে আমাদের সম্পদের তথ্য জানতে চেয়েছে কেন ? সে জন্য ঐ ভুয়া সাংবাদিককে সেনাক্যাম্পে ধরিয়ে দেবেন বলে দুজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাসিয়ে দেন সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায়কে। সিসিকের প্রকৌশলী বিভাগে বেআইনীভাবে সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায়কে অপদস্থ হুমকি ধমকি দিলে তিনি তার পত্রিকার পরিচয়পত্র গলায় ঝুলালে প্রকৌশলী দুইজন বলেন, আপনাকে ভুয়া সাংবাদিক বলছি না। বলছি যে সাংবাদিক ফোনে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিতে চাইছে তাকে তারা ভুয়া সাংবাদিক বলেছেন।

দুর্নীতিবাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী দু’জন এও বলেন যে, ঐ ভুয়া সাংবাদিক চাদাবাজ হিসেবে গণ্য করে তাকে শায়েস্তা করবেন। জবাবে সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায় উপ-সহকারী প্রকৌশল দুজনকে বলেন, যে সাংবাদিকের সাথে আপনাদের ফোনে আলাপ হয়েছে, তাকে ভুয়া বললেন কেন ? ঐ সাংবাদিক কিভাবে ভুয়া হলো, আপনি কি যাচাই বাছাই করেছেন কি ? উত্তরে তারা কিছু জানাতে পারেনি।

সিসিকের প্রকৌশলী বিভাগে অপদস্থ ও হুমকির শিকার সাংবাদিক বিদ্যারত্ন রায় উপ-প্রকৌশলীদের বলেন, একজন সাংবাদিক ফোন দিয়ে তথ্য জানতেই পারে। সেজন্য কি ঐ সাংবাদিক চাঁদাবাজ ভুয়া হয়ে গেলো ? আচ্ছা ঠিক আছে, ঐ ভুয়া সাংবাদিক কোন মারফতে চাদা দাবী করলো তার রেকর্ড প্রমাণ কোথায় ? উত্তরে প্রকৌশলী দুজন নিশ্চুপ থাকেন।

অন্যদিকে ঐ অসৎ দুর্নীতিবাজ দুজন প্রকৌশলী ঐ ভুয়া সাংবাদিককে শায়েস্তা করতে মদন মোহন কলেজের একটি ছাত্র সংগঠনের সভাপতিকে খবর দিয়ে দুর্নীতিবাজদের তথ্য জানতে চাওয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লেগে দেন। ছাত্র সংগঠনের ঐ সভাপতি সিসিকের দুর্নীতির খবর নেওয়া সাংবাদিকের নাম্বারে ফোন দিয়ে জরুরী সাক্ষাত করতে চান বলে খবর দিলে পরবর্তীতে ঐ সভাপতি আর সাংবাদিকের কাছে আসেননি। ঐ দুর্নীতিবাজ দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নাম পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে।