ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ড. ইউনূস – নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শাহজালালে কতক্ষণ ছিলেন আব্দুল হামিদ হবিগঞ্জে সেনাঅভিযানে আ.লীগ নে তা গ্রেফ তার করোনা বাড়ছে, মাস্ক পরার অনুরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ড.ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চান টিউলিপ দীর্ঘদিন কুরবানির মাংস সংরক্ষণের সহজ উপায় কুরবানির ঈদ: ঝক্কি ছাড়াই ভুঁড়ি পরিষ্কারের দারুণ কৌশল কুরবানিতে মাংস খাওয়ার পর হজমে যে শরবত খাবেন ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

সিলেটে ভুক্তভোগীর অভিযোগ মামলা নিচ্ছে না থানা, ‍ওসি বললেন ‘মিথ্যা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার :

সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জে ডাকাতির অভিযোগ দায়েরের পরও তা রেকর্ড না করা এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের পরিবর্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আয়নুল হক। তিনি পীরনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তবে থানার ওসি বলছেন, অভিযোগটি একেবারেই মিথ্যা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,  গত ৩ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে পূর্ব জামডহর গ্রামের তার মোদি দোকানে হামলা চালায় একদল ডাকাত। তারা তার মুখ ও হাতপা বেঁধে ফেলে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর চড়াও হয়। এসময় তিনি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করলে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেয় ও কিলঘুষি মেরে মারাত্মক আহত করে। তারা তার ক্যাশ বাক্স লুট করে নগদ ৫২ হাজার টাকা ও লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পরে আলতাফ হোসেন নামক এক ব্যক্তি দোকানে ডাকাতদের দেখে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে গ্রামবাসী ছুটে আসেন এবং ট্রিপল নাইনে কল দিলে পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিথ হয়। এরমধ্যে অবশ্য ডাকাতদলও পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, ডাকাত দলে কয়েকজন সদস্য থাকলেও তিনি পীরনগর গ্রামের কদরিছ আলীর দুই ছেলে পাবেল আহমদ ও বাবুল আহমদ এবং মাখন মিয়ার ছেলে নাহিদ ইসলামকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন। তারা তিনজনই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য হিসাবে এলাকায় কুখ্যাত। এ ব্যাপারে ৪ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনো মামলা রেকর্ড করেনি বা কোনো আইনী পদক্ষেপও নেয়নি। যোগাযোগ করলে তারা কখনো ‘দেখছি’ কখনোবা মামলাটি যৌথ বাহিনী দেখছে বলে জবাব দেন ওসি জহিরুল হক।

এই সুযোগে পাবেল, বাবুল ও নাহিদ এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে এবং আয়নুল হক ও তার সাথে সংশ্লিষ্টদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। থানার এসআই সুমনের সাথে পাবেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলেও মনে করছেন তারা। তাই তিনি সিলেটের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দ্রুত তার মামলা রেকর্ড করে আসামিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার  আহ্বানও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পাবেলের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল হক মুন্না সিলেটভিউকে বলেন, বিষয়টি একেবারে মিথ্য। আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরন করে সব কাজ করছি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী থানায় দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটে ভুক্তভোগীর অভিযোগ মামলা নিচ্ছে না থানা, ‍ওসি বললেন ‘মিথ্যা’

আপডেট সময় : ০১:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :

সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জে ডাকাতির অভিযোগ দায়েরের পরও তা রেকর্ড না করা এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের পরিবর্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আয়নুল হক। তিনি পীরনগর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। তবে থানার ওসি বলছেন, অভিযোগটি একেবারেই মিথ্যা।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,  গত ৩ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাতে পূর্ব জামডহর গ্রামের তার মোদি দোকানে হামলা চালায় একদল ডাকাত। তারা তার মুখ ও হাতপা বেঁধে ফেলে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর চড়াও হয়। এসময় তিনি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করলে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেয় ও কিলঘুষি মেরে মারাত্মক আহত করে। তারা তার ক্যাশ বাক্স লুট করে নগদ ৫২ হাজার টাকা ও লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পরে আলতাফ হোসেন নামক এক ব্যক্তি দোকানে ডাকাতদের দেখে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে গ্রামবাসী ছুটে আসেন এবং ট্রিপল নাইনে কল দিলে পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিথ হয়। এরমধ্যে অবশ্য ডাকাতদলও পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, ডাকাত দলে কয়েকজন সদস্য থাকলেও তিনি পীরনগর গ্রামের কদরিছ আলীর দুই ছেলে পাবেল আহমদ ও বাবুল আহমদ এবং মাখন মিয়ার ছেলে নাহিদ ইসলামকে সনাক্ত করতে সক্ষম হন। তারা তিনজনই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য হিসাবে এলাকায় কুখ্যাত। এ ব্যাপারে ৪ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় ডাকাতির অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনো মামলা রেকর্ড করেনি বা কোনো আইনী পদক্ষেপও নেয়নি। যোগাযোগ করলে তারা কখনো ‘দেখছি’ কখনোবা মামলাটি যৌথ বাহিনী দেখছে বলে জবাব দেন ওসি জহিরুল হক।

এই সুযোগে পাবেল, বাবুল ও নাহিদ এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে এবং আয়নুল হক ও তার সাথে সংশ্লিষ্টদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। থানার এসআই সুমনের সাথে পাবেলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলেও মনে করছেন তারা। তাই তিনি সিলেটের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দ্রুত তার মামলা রেকর্ড করে আসামিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার  আহ্বানও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পাবেলের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল হক মুন্না সিলেটভিউকে বলেন, বিষয়টি একেবারে মিথ্য। আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরন করে সব কাজ করছি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী থানায় দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।