ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

কেয়ারটেকার থেকে হাসিনার আত্মীয়, সেই সাবেক হুইপ গ্রে ফ তা র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

৩২ নম্বরের কেয়ারটেকার থেকে শেখ হাসিনার আত্মীয় সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গিনিকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাবেক এই হুইপের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে গাইবান্ধা ও ঢাকায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। তবে গিনি এমপি কোন মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তা জানা যায়নি।

এর আগে, গাইবান্ধার বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং একই আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীরসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে দুটি মামলাও আছে।

সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি। তিনি ও তার ভাই টুটুল নাকি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন।  ৩২ নম্বরের কেয়ারটেকার হওয়ার সুবাদে সান্নিধ্য লাভ করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার। তারপর হঠাৎ বনে যান শেখ হাসিনার আত্মীয়। আত্মীয় পরিচয়ে মাহবুব আরা বেগম গিনি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হন। তার বাড়িতে রান্না করা, পারিবারিক কাজকর্ম করে দেওয়া থেকে শুরু করে পা টিপে দেওয়ার কাজ করতেন বলে শোনা যায়। তার বদলে তিনি পেয়েছেন শত শত কোটি টাকার প্রকল্প ও আওয়ামী লীগের টিকিট।  হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। অবৈধ শতকোটি টাকা নিয়ে এখন কোথায় আছেন তা জানতে চান গাইবান্ধাবাসী। 

মাহবুব আরা বেগম গিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন গাইবান্ধা-২ সদর আসন থেকে। টাকা ছিটিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তারপর উন্নয়নের নামে অর্থ কামাইয়ের নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন। নিজেকে সৎ নির্ভীক দেখিয়ে তার ভাতিজা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব রাজিব ও মৃদুল মোস্তাফি ঝন্টুকে সঙ্গে নেন। তিনি বেশিরভাগ সময় থাকতেন ঢাকায়। আর তার হয়ে কাজ করতেন ভাতিজা ও ঝন্টু। ঝন্টু গিনি এমপির হ্যান্ডব্যাগ বহন করতেন। পেছনে পেছনে থাকতেন। ফরমায়েশ খাটতেন। গাইবান্ধায় এসে তার হাতের ব্যাগটা ধরিয়ে দিতেন মৃদুল মোস্তাফি ঝন্টুর হাতে। আর ভাতিজা যুবলীগ নেতা আহসান হাবীব রাজিবকে দায়িত্ব দেন বিভিন্ন অফিসের কাজ ভাগাভাগি করার জন্য। তার বদৌলতে বেকার রাজিব বনে যান বড় ব্যবসায়ী হিসেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কেয়ারটেকার থেকে হাসিনার আত্মীয়, সেই সাবেক হুইপ গ্রে ফ তা র

আপডেট সময় : ০৫:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

৩২ নম্বরের কেয়ারটেকার থেকে শেখ হাসিনার আত্মীয় সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গিনিকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাবেক এই হুইপের বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে গাইবান্ধা ও ঢাকায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। তবে গিনি এমপি কোন মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তা জানা যায়নি।

এর আগে, গাইবান্ধার বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং একই আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীরসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে দুটি মামলাও আছে।

সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি। তিনি ও তার ভাই টুটুল নাকি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন।  ৩২ নম্বরের কেয়ারটেকার হওয়ার সুবাদে সান্নিধ্য লাভ করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার। তারপর হঠাৎ বনে যান শেখ হাসিনার আত্মীয়। আত্মীয় পরিচয়ে মাহবুব আরা বেগম গিনি শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হন। তার বাড়িতে রান্না করা, পারিবারিক কাজকর্ম করে দেওয়া থেকে শুরু করে পা টিপে দেওয়ার কাজ করতেন বলে শোনা যায়। তার বদলে তিনি পেয়েছেন শত শত কোটি টাকার প্রকল্প ও আওয়ামী লীগের টিকিট।  হয়েছেন আঙুল ফুলে কলাগাছ। অবৈধ শতকোটি টাকা নিয়ে এখন কোথায় আছেন তা জানতে চান গাইবান্ধাবাসী। 

মাহবুব আরা বেগম গিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন গাইবান্ধা-২ সদর আসন থেকে। টাকা ছিটিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তারপর উন্নয়নের নামে অর্থ কামাইয়ের নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন। নিজেকে সৎ নির্ভীক দেখিয়ে তার ভাতিজা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব রাজিব ও মৃদুল মোস্তাফি ঝন্টুকে সঙ্গে নেন। তিনি বেশিরভাগ সময় থাকতেন ঢাকায়। আর তার হয়ে কাজ করতেন ভাতিজা ও ঝন্টু। ঝন্টু গিনি এমপির হ্যান্ডব্যাগ বহন করতেন। পেছনে পেছনে থাকতেন। ফরমায়েশ খাটতেন। গাইবান্ধায় এসে তার হাতের ব্যাগটা ধরিয়ে দিতেন মৃদুল মোস্তাফি ঝন্টুর হাতে। আর ভাতিজা যুবলীগ নেতা আহসান হাবীব রাজিবকে দায়িত্ব দেন বিভিন্ন অফিসের কাজ ভাগাভাগি করার জন্য। তার বদৌলতে বেকার রাজিব বনে যান বড় ব্যবসায়ী হিসেবে।