ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূস শায়েস্তাগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৫টি দোকান পুড়ে চাই কোটি টাকার ক্ষতি চুনারুঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা গোয়াইনঘাটে টাস্কফোর্সের অভিযান: ১৫ টি নৌকা, ১০ টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ জামায়াতে যোগ দেওয়া নেতাকে ব হি ষ্কা র করলো ছাত্রদল সিলেট ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তুষারের খুনি, মূল আসামি পারভেজকে ঢাকা গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার আল-আকসা মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনা ইসরাইলিদের হামাসের হামলায় ইসরাইলের ৬ সেনা হতাহত

১৫ দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশসহ ১৫ দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার। তবে এ চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।শ্রমিক শোষণ বন্ধ এবং শ্রমবাজারে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে— সেটি দূরীকরণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং নেপালের শ্রমিকরা সেখানে প্রতারণার শিকার হওয়ায় এ ঘোষণা এসেছে দেশটির পক্ষ থেকে। খবর রয়টার্সের। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে অসংখ্য শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও নেপালি, তারা মালয়েশিয়ায় আসার পর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।এসব শ্রমিকের কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায় করে মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসেছে একটি অসাধু চক্র। কিন্তু দেশটিতে আসার পর তাদের বলা হয়েছে, যে কাজের জন্য তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে; সে কাজ আপাতত নেই। ফলে অনেক অর্থ খরচ করে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বেকার জীবন কাটাচ্ছেন তারা।

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের শোষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই আবার নতুন সমস্যা হয়ে এসেছে শ্রমবাজারের ভারসাম্যহীনতা। জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়েছে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনেক শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাদের কোনো ধরনের বেতনও দেওয়া হচ্ছে না।

গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।তারা জানান, মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে শ্রমিক বণ্টনের বিষয়টি বর্তমানে অসম। এ কারণে এখন তাদের শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি পর্যালোচনা করতে হবে।এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইল বলেছেন, ‘আমরা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করব। যার মধ্যে থাকবে ফি, খরচ, চুক্তির অবস্থা, স্বাস্থ্যগতসহ অন্যান্য বিষয়।’ 

তিনি জানিয়েছেন, সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোটা পরিবর্তনের সুযোগ দেবে।মালয়েশিয়ায় যেসব বিদেশি শ্রমিক রয়েছে তার ৭০ শতাংশই বাংলাদেশি, নেপালি ও ইন্দোনেশিয়ার। বাকি শ্রমিকরা গেছেন ভারত, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড থেকে।মানবসম্পদমন্ত্রী সিম জানিয়েছেন, শ্রম বিভাগে ৭৫১ বাংলাদেশি অভিযোগ দিয়েছেন, তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৫ দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার

আপডেট সময় : ০৬:১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশসহ ১৫ দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার। তবে এ চুক্তি নতুন করে পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।শ্রমিক শোষণ বন্ধ এবং শ্রমবাজারে যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে— সেটি দূরীকরণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং নেপালের শ্রমিকরা সেখানে প্রতারণার শিকার হওয়ায় এ ঘোষণা এসেছে দেশটির পক্ষ থেকে। খবর রয়টার্সের। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে অসংখ্য শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও নেপালি, তারা মালয়েশিয়ায় আসার পর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।এসব শ্রমিকের কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায় করে মালয়েশিয়ায় নিয়ে এসেছে একটি অসাধু চক্র। কিন্তু দেশটিতে আসার পর তাদের বলা হয়েছে, যে কাজের জন্য তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে; সে কাজ আপাতত নেই। ফলে অনেক অর্থ খরচ করে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বেকার জীবন কাটাচ্ছেন তারা।

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের শোষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই আবার নতুন সমস্যা হয়ে এসেছে শ্রমবাজারের ভারসাম্যহীনতা। জোরপূর্বক কাজ করানোর অভিযোগে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়েছে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনেক শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাদের কোনো ধরনের বেতনও দেওয়া হচ্ছে না।

গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।তারা জানান, মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে শ্রমিক বণ্টনের বিষয়টি বর্তমানে অসম। এ কারণে এখন তাদের শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি পর্যালোচনা করতে হবে।এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইল বলেছেন, ‘আমরা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করব। যার মধ্যে থাকবে ফি, খরচ, চুক্তির অবস্থা, স্বাস্থ্যগতসহ অন্যান্য বিষয়।’ 

তিনি জানিয়েছেন, সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোটা পরিবর্তনের সুযোগ দেবে।মালয়েশিয়ায় যেসব বিদেশি শ্রমিক রয়েছে তার ৭০ শতাংশই বাংলাদেশি, নেপালি ও ইন্দোনেশিয়ার। বাকি শ্রমিকরা গেছেন ভারত, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড থেকে।মানবসম্পদমন্ত্রী সিম জানিয়েছেন, শ্রম বিভাগে ৭৫১ বাংলাদেশি অভিযোগ দিয়েছেন, তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা।