ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

১৫ বছরে এমপি আবু জাহিরের-৯ গুণ,স্ত্রীর-২৬ গুণ সম্পদ বেড়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ(লাখাই)প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। ১৫ বছরে তার আয় ও সম্পদ মিলে বেড়েছে ৯ গুণ। আর তার স্ত্রীর আয় ও সম্পদ মিলে বেড়েছে সাড়ে ২৬ গুণ। একমাত্র ছেলে হয়েছে আড়াই কোটি টাকার মালিক।তার এসব তথ্য নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া ২০০৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেন, নিজের বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৯০ টাকা। নগদ টাকা, ২৬ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অস্থাবর সম্পত্তি ৩৬ লাখ ২ হাজার ৮০৪ টাকার এবং কৃষি, অকৃষি, আবাসিক/বাণিজ্যিক দালানসহ স্থাবর সম্পত্তি ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার।সব মিলিয়ে ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৯৪ টাকার সম্পদ ছিল। আর স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি সোনা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৮ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ টাকার অস্থাবর এবং স্থাবর সম্পত্তি ১৪ শতাংশ ভূমি। সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৪ টাকার সম্পত্তি। তবে সন্তানদের কোনো সম্পদ নেই।

২০২৩ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলফনামায় দেওয়া তথ্যে জানা যায়, নিজের বাৎসরিক আয় হয় ৩৭ লাখ ১৬ হাজার ৯১৬ টাকা। যা আইন পেশা, পরামর্শক ও সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ও কৃষি খাত থেকে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয় আইন পেশা, পরামর্শক ও সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা থেকে। এ খাতে তার বছরে আয় হয় ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৬ টাকা।৩১ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অস্থাবর সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৫৯ টাকা। কৃষি জমি, হবিগঞ্জ ও ঢাকায় বাড়ি, দোকান ভিটা, অকৃষি জমিসহ ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি আছে।

মোট সম্পত্তি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৭২১ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে আয় ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৭৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১০০ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তি কৃষি, অকৃষি জমি ১ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর মোট সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯ টাকা।ছেলের কৃষি, ব্যবসা ও বিভিন্ন খাত থেকে আয় ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৫৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১০৮ ভরি সোনা ও ইলেকট্রিক পণ্য ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তি কৃষি ও অকৃষি জমি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা। তার নামে মোট সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ১৫৯ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৫ বছরে এমপি আবু জাহিরের-৯ গুণ,স্ত্রীর-২৬ গুণ সম্পদ বেড়েছে

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জ(লাখাই)প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। ১৫ বছরে তার আয় ও সম্পদ মিলে বেড়েছে ৯ গুণ। আর তার স্ত্রীর আয় ও সম্পদ মিলে বেড়েছে সাড়ে ২৬ গুণ। একমাত্র ছেলে হয়েছে আড়াই কোটি টাকার মালিক।তার এসব তথ্য নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া ২০০৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেন, নিজের বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৯০ টাকা। নগদ টাকা, ২৬ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অস্থাবর সম্পত্তি ৩৬ লাখ ২ হাজার ৮০৪ টাকার এবং কৃষি, অকৃষি, আবাসিক/বাণিজ্যিক দালানসহ স্থাবর সম্পত্তি ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার।সব মিলিয়ে ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫৯৪ টাকার সম্পদ ছিল। আর স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি সোনা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৮ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ টাকার অস্থাবর এবং স্থাবর সম্পত্তি ১৪ শতাংশ ভূমি। সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৪ টাকার সম্পত্তি। তবে সন্তানদের কোনো সম্পদ নেই।

২০২৩ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলফনামায় দেওয়া তথ্যে জানা যায়, নিজের বাৎসরিক আয় হয় ৩৭ লাখ ১৬ হাজার ৯১৬ টাকা। যা আইন পেশা, পরামর্শক ও সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ও কৃষি খাত থেকে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয় আইন পেশা, পরামর্শক ও সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা থেকে। এ খাতে তার বছরে আয় হয় ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৬ টাকা।৩১ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অস্থাবর সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৫৯ টাকা। কৃষি জমি, হবিগঞ্জ ও ঢাকায় বাড়ি, দোকান ভিটা, অকৃষি জমিসহ ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৬ টাকার স্থাবর সম্পত্তি আছে।

মোট সম্পত্তি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৭২১ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে আয় ৬৭ লাখ ৮ হাজার ৭৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১০০ ভরি সোনা, গাড়ি, আসবাবপত্রসহ ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তি কৃষি, অকৃষি জমি ১ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর মোট সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯ টাকা।ছেলের কৃষি, ব্যবসা ও বিভিন্ন খাত থেকে আয় ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৫৯ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ১০৮ ভরি সোনা ও ইলেকট্রিক পণ্য ৬৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তি কৃষি ও অকৃষি জমি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা। তার নামে মোট সম্পত্তি আছে ২ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ১৫৯ টাকা।