ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান তেলাপোকার উপদ্রব কমাতে যা করবেন এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় রিউমার স্ক্যানার ‘হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ২’জনের সাক্ষী অযত্নে ধুঁকছে পল্লী-কবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর সিলেটে যেভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহ.) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন সিলেটে থেকে প্রত্যাহার হলেন ২ থানার ওসি হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেনা-পুলিশের টহলে পালিয়েছে দালাল চক্র

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যেসব শর্ত আছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক :অনলাইন সংস্করণ

সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা বন্ধের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। ফলে অন্তত চার দিনের জন্য গাজাবাসী ইসরাইলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাওয়ার কথা।বুধবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদনের এ খবর জানা গেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাসকে সম্মত করতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

এর পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইল সরকারও। এসব বিবৃতি থেকে যুদ্ধবিরতির কয়েকটি শর্তের কথা জানা গেছে।বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় সব এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে যেকোনো ধরনের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সামরিক যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

চিকিৎসা উপকরণ, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে শত শত ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এসব ট্রাককে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে।হামাস জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চার দিনের জন্য ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। উত্তর গাজায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখা হবে।

সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায় গাজার যেকোনো এলাকা থেকে যে কাউকে আটক করা কিংবা কারও ওপর হামলা না করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে ইসরাইল- এমনটাই জানিয়েছে হামাস।অন্যদিকে ইসরাইল সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে (নারী ও শিশু) আগামী চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের নিরাপদে ইসরাইলে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। কেননা ইসরাইল সরকার সব জিম্মিকে মুক্ত করার বিষয়ে দায়বদ্ধ।

এছাড়া জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে। অতিরিক্ত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতিতে একটি করে অতিরিক্ত দিন যোগ করা হবে বলেও জানিয়েছে ইসরাইল সরকার।তবে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলেও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইসরাইল সরকার। এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল সরকার, দেশের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। সব জিম্মিকে দেশে ফেরানো, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং গাজা থেকে ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে আর কোনো হুমকি নেই- এমনটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। ইসরাইল জানায়, ওই হামলায় প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ। আর ২৪০ জনের মতো মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।এর পরপরই গাজায় পালটা হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় ফিলিস্তিনে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এর বেশিরভাগই শিশু ও নারী। উদ্বাস্তু হয়েছে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ গাজায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যেসব শর্ত আছে

আপডেট সময় : ০৪:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :অনলাইন সংস্করণ

সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা বন্ধের এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। ফলে অন্তত চার দিনের জন্য গাজাবাসী ইসরাইলি বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাওয়ার কথা।বুধবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুমোদনের এ খবর জানা গেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাসকে সম্মত করতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

এর পরপরই হামাসের পক্ষ থেকে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইল সরকারও। এসব বিবৃতি থেকে যুদ্ধবিরতির কয়েকটি শর্তের কথা জানা গেছে।বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় সব এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে যেকোনো ধরনের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সামরিক যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

চিকিৎসা উপকরণ, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে শত শত ট্রাক সীমান্ত পেরিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এসব ট্রাককে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে।হামাস জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চার দিনের জন্য ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। উত্তর গাজায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ড্রোন ওড়ানো বন্ধ রাখা হবে।

সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা অবস্থায় গাজার যেকোনো এলাকা থেকে যে কাউকে আটক করা কিংবা কারও ওপর হামলা না করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে ইসরাইল- এমনটাই জানিয়েছে হামাস।অন্যদিকে ইসরাইল সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ৫০ জনের মতো জিম্মিকে (নারী ও শিশু) আগামী চার দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের নিরাপদে ইসরাইলে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। কেননা ইসরাইল সরকার সব জিম্মিকে মুক্ত করার বিষয়ে দায়বদ্ধ।

এছাড়া জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে। অতিরিক্ত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতিতে একটি করে অতিরিক্ত দিন যোগ করা হবে বলেও জানিয়েছে ইসরাইল সরকার।তবে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলেও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইসরাইল সরকার। এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইল সরকার, দেশের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। সব জিম্মিকে দেশে ফেরানো, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং গাজা থেকে ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন করে আর কোনো হুমকি নেই- এমনটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। ইসরাইল জানায়, ওই হামলায় প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ। আর ২৪০ জনের মতো মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।এর পরপরই গাজায় পালটা হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চলা হামলায় ফিলিস্তিনে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এর বেশিরভাগই শিশু ও নারী। উদ্বাস্তু হয়েছে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ গাজায় চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।