দুলু-আজাদসহ বিএনপির আরও নেতা আটক

- আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গুলশানের বাসা থেকে এবং জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এছাড়াও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোন্নাফ মুকুলসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে এসব নেতাকর্মীদের আটক করা হয় বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, যেহেতু চারদিক থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি উঠেছে, সেই কারণে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় জনমনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়াতে গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্রেফতার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করা হয়। দুলুর ব্যক্তিগত সহকারী রনি জানান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। তবে সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন।বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু শারীরিকভাবে অসুস্থ। কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরেছেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে কেমোথেরাপি দিতে হয়। এছাড়াও নিয়মিত অন্যান্য ওষুধও খেতে হয়। এ অবস্থায় তাকে আটকের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে তার পরিবার।
অপরদিকে, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে তার শেওড়াপাড়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটক করেছে কাফরুল থানা পুলিশ।এদিকে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির জনসমাবেশ। কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান,টং দোকান উচ্ছেদ করে পুলিশ। ফলে চারপাশ এক ধরনের থমথমে নিরবতা।
এই অবস্থায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের অতিরিক্ত উপস্থিতি দেখে কার্যালয় থেকে চলে যান দলটির নেতাকর্মীরা।বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এই অবস্থায় কেউ কেউ পুলিশের হাতে আটক হন। এদের মধ্যে রয়েছে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি (রংপুর বিভাগ) ও রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু এবং রংপুর বিভাগীয় যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মোন্নাফ মুকুল।
তবে বিএনপির এসব দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।পুলিশের কোনো অভিযান ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী বলেন,গুলশান থানা পুলিশের কোনো অভিযান হয়নি। অন্য কেউ কোনো অভিযান পরিচালনা করেছে কিনা এ বিষয়টি আমার জানা নেই।