ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত-২জনকে যাবজ্জীবন,১জনকে খালাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ৮০ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:

হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে দুইজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।মৃত্যুদ-প্রাপ্ত রুবেল মিয়া, আরজু মিয়ার সাজা কমানো হয়। খালাস পান পলাতক উস্তার মিয়া। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো বলেন,এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পুর্বে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রুবেল মিয়া,আরজু মিয়া এবং উস্তার মিয়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ মৃত্যুদ- দেন সিলেটের দ্রুত বিচার আদালত। 

প্রসঙ্গত, বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮),আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০) ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।৫ দিনের মাথায় ১৭ ফেব্রুয়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি বালুর ছড়ার মাটির নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে,তার দুই চাচাতো ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।আর তাদের প্রতিবেশি ইসমাইল পড়তো সুন্দ্রাটিকি মাদরাসায়।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর মরদেহ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।নিখোঁজের পর মনিরের বাবা আবদাল মিয়া একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পরে মরদেহ উদ্ধার হলে আবদাল মিয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বাহুবল থানায় এই চারজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে।এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া কথিত বন্দুকযুদ্ধে’মারা যান। কারাগারে রয়েছে,হাবিবুর রহমান আরজু (৪০),শাহেদ মিয়া (৩২), আব্দুল আলী বাগাল (৬০),তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া (১৮)।আর উস্তার মিয়া (৪৮),বাবুল মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়া (৩৫) এখনও পলাতক। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত প্রধান আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকা-টি সংঘটিত হয় বলে মামলার তদন্তকালে বিষয়টি ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে।হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ওইদিন মামলার চার্জ গঠন হয়।পরে চলতি বছরের গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত-২জনকে যাবজ্জীবন,১জনকে খালাস

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:

হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে দুইজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।মৃত্যুদ-প্রাপ্ত রুবেল মিয়া, আরজু মিয়ার সাজা কমানো হয়। খালাস পান পলাতক উস্তার মিয়া। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো বলেন,এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। এর পুর্বে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রুবেল মিয়া,আরজু মিয়া এবং উস্তার মিয়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ মৃত্যুদ- দেন সিলেটের দ্রুত বিচার আদালত। 

প্রসঙ্গত, বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮),আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০) ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।৫ দিনের মাথায় ১৭ ফেব্রুয়ারি সুন্দ্রাটিকি গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি বালুর ছড়ার মাটির নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে,তার দুই চাচাতো ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।আর তাদের প্রতিবেশি ইসমাইল পড়তো সুন্দ্রাটিকি মাদরাসায়।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর মরদেহ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।নিখোঁজের পর মনিরের বাবা আবদাল মিয়া একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পরে মরদেহ উদ্ধার হলে আবদাল মিয়া অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই সন্দেহভাজন ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বাহুবল থানায় এই চারজনসহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

পুলিশ গ্রেফতার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে।এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া কথিত বন্দুকযুদ্ধে’মারা যান। কারাগারে রয়েছে,হাবিবুর রহমান আরজু (৪০),শাহেদ মিয়া (৩২), আব্দুল আলী বাগাল (৬০),তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া (১৮)।আর উস্তার মিয়া (৪৮),বাবুল মিয়া (৪৫) ও বিল্লাল মিয়া (৩৫) এখনও পলাতক। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত প্রধান আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকা-টি সংঘটিত হয় বলে মামলার তদন্তকালে বিষয়টি ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে।হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ওইদিন মামলার চার্জ গঠন হয়।পরে চলতি বছরের গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।