পাহাড় কাটা,টিলা ধস ও মৃত্যু নিয়ে বিশিষ্ট জনের উদ্বেগ ও বিবৃতি

- আপডেট সময় : ০৩:২৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ ৮০ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদক:
সিলেটে একের পর এক টিলা ধস ও এতে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ১২ বিশিষ্ট জন। টিলা ধসের কারণ হিসেবে তারা কর্তনকে দায়ী করছেন।এ অবস্থায় টিলা-পাহাড় কর্তন ঠেকাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এ ১৩ জন।
বিবৃতিদাতারা হলেন-বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার,সুজন সিলেট ও সিলেট হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস নেটওয়ার্ক’র সভাপতি ফারুক মাহমুদ মাহমুদ চৌধুরী,সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম,ব্লাস্ট সিলেট ইউনিটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী,আইডিয়া’র নির্বাহী পরিচালক নজমুল হক,সনাক সিলেটের সভাপতি সমিক শহিদ জাহান,মনিপুরি সাহিত্য সংসদের সভাপতি এ কে শেরাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড.তাহমিনা ইসলাম,জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সিলেট বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরীন আক্তার,একডো’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ,উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক ।
বিবৃতিতে তারা বলেন- গত ৬ ও ৭ অক্টোবর বিভাগের সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায় টিলা ধসের কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এদিন মধ্যরাতে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের খাদিম চা বাগানে টিলা ধসে মাটি চাপা পড়ে ১ টি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।পরদিন ভোরে জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুলে দুটি টিলার ধসের কারণে তিনটি বাড়ি চাপা পড়ে। এছাড়া ৬ অক্টোবর হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামে টিলা ধসে তিনটি ঘর চাপা পড়ে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়- ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, টিলা-পাহাড় কাটা দিন দিন বেড়েই চলছে। অবৈধভাবে টিলার/পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে যেমন পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তেমনি ভূমির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে ভূমি ধসে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে অতিবর্ষণের সময় জেলার সদর ও জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসের ঘটনায় এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হবিগঞ্জে নবীগঞ্জে ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ২০২২ সালে অতিবর্ষণের সময় টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন নিহত হন। টিলা ধসের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এলাকাসমুহ পরিদর্শন করে দেখা গেছে- ধসে যাওয়া টিলাগুলো কেটে মাটি অপসারণ করা হয়েছে এবং কর্তনকৃত অংশে বসতঘর নির্মাণ করে লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন।’
বিবৃতিতে উল্লেখ- মহানগর এলাকাসহ সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে টিলা কাটা রোধে বেলা’র দায়েরকৃত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১ মার্চ উচ্চ আদালত পাহাড়-টিলা কাটা রোধ করে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং টিলার পাদদেশে বসবাসকারী দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।কিন্তু অদ্যবধি এ ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। টিলা কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে টিলা ধস ও মৃত্যু থামানো যাবে না। তাই জরুরিভিত্তিতে টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা,টিলা কাটা বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উচ্চ আদালতের নিদের্শনা সম্বলিত সাইনবোর্ড সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে লাগানো এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।