সংস্কার কাজ শুরুদুই মাসের জন্য বন্ধ হলো কিনব্রিজ

- আপডেট সময় : ০৩:৫৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
দুই প্রান্তে টানিয়ে দেয়া হয়েছে নোটিশ
ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:
কিনব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।কয়েকদফা পেছানোর পর গতকাল বুধবার সকাল থেকে কিনব্রিজ দিয়ে সকল ধরনর যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।ইতোমধ্যে সেতু বন্ধের ঘোষণা দিয়ে কিনব্রিজের দুই পাশে নোটিশ টানিয়েছে রেলওয়ের সেতু বিভাগ।সিলেটের পরিচিতির অংশ হয়ে ওঠা কিনব্রিজ নির্মিত হয় ব্রিটিশ আমলে। টানা দুই বছর নির্মাণকাজ শেষে ১৯৩৬ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল।তৎকালীন আসাম প্রদেশের গভর্নর মাইকেল কিনের নামে এই সেতুর নামকরণ হয় কিনব্রিজ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সূত্রে জানা গেছে,জরাজীর্ণ কিনব্রিজ সংস্কারের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পায় সওজ সিলেট অফিস।ওই বছরেরই জুনে বরাদ্দের টাকা রেলওয়ের সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।সিলেট নগরীর মাঝামাঝি এলাকার এই সেতুটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও এটি সংস্কার করবে রেলওয়ের সেতু বিভাগ।আর সেতুটি দেখভাল করে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।এদিকে,২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়লে দুই দিকে লোহার বেষ্টনী দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে সিটি কর্পোরেশন। তবে নাগরিকদের প্রতিবাদের মুখে ৫২ দিন পর যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন,কিনব্রিজ সিলেট তথা দেশের একটি ঐতিহ্য। সিলেটের পরিচয়বহনকারী স্থাপত্য এটি। তাই এটি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে যান চলাচল বন্ধ করে ফুটওভার ব্রিজে (পদচারী সেতু) রূপান্তর করার জন্য একটি প্রস্তাব আমরা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সওজকে দিয়েছিলাম।তিনি বলেন,নাগরিকদের দাবির মুখে হালকা যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ঝুঁকি বিবেচনায় ভারিযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।ঘোষণা দিয়েও সংস্কার কাজ শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে রেলওয়ের সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) জীষাণ দত্ত বলেন,সংস্কার কাজ শুরুর জন্য আমরা প্রস্তুত।সব মালামাল কিনব্রিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।গতকাল বুধবার সকাল থেকে এই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শুরু হয়েছে সংস্কার কাজ। আশাকরি দুই মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।