ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান তেলাপোকার উপদ্রব কমাতে যা করবেন এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় রিউমার স্ক্যানার ‘হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ২’জনের সাক্ষী অযত্নে ধুঁকছে পল্লী-কবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর সিলেটে যেভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহ.) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন সিলেটে থেকে প্রত্যাহার হলেন ২ থানার ওসি হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেনা-পুলিশের টহলে পালিয়েছে দালাল চক্র

সাভারে বাকিতে সেবন করা নেশার টাকা সংগ্রহে চুরি, গ্রেপ্তার ১১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

সাভার প্রতিনিধি:
মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বাকিতে মাদক সেবন করতেন সংঘবদ্ধ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে এই বাকিতে নেওয়া মাদকের টাকা পরিশোধ করতে তৈরি করে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। তারা কেবল মাদকের টাকা সংগ্রহ করতেই এমন চক্র তৈরি করেছেন। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। চক্রের ৮ সদস্যসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্ ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফী।

গ্রেপ্তার বাকিতে মাদক সেবনকারীরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার নুরাইনপুর মাদবরবাড়ি গ্রামের সবুজের ছেলে মোঃ সোহেল (৩০), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে রিপন ওরফে চান্দি রিপন (৪০)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া মোঃ হাসেম ড্রাইভার (৩৫), মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০) বাকিতে মাদক সেবন করে সেই টাকা পরিশোধ করতে স্বর্ণালংকার চুরি করতেন। অন্যদিকে চোরাই স্বর্ণালঙ্কারের বিনিময়ে মাদকদ্রব্য হেরোইন বিক্রয়ের সক্রিয় গ্রেপ্তার সদস্যরা হলেন মোঃ স্বপন (৪৮), আঞ্জু বেগম (৩৫), মোঃ রাজা মিয়া (৪০) ও নাসিমা বেগম (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্ ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, আমরা একটি ব্যতিক্রমী চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। যারা চুরি করা স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে মাদক ক্রয় করে সেবন করতো। চক্রটি বাকিতে মাদক ক্রয় করে সেবন করতো। তারা লাখ লাখ টাকার মাদক বাকিতে সেবন করতো। অনেক সময় চুরি করা স্বর্ণালংকার দিয়ে তা পরিশোধ করও অগ্রিম হিসাবে রাখতো মাদক সেবীরা। আমরা একটি চুরির মামলা তদন্ত করতে এই চক্রের সন্ধান পাই। ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদেরও গ্রেপ্তার করেছে। একই সাথে গ্রেফতার ৪ আসামীদের কাছ থেকে ১০ (দশ) ভরি চোরাই স্বর্ণালঙ্কার এবং চোরাই স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয়ের মোট ২৮ হাজার ৫০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সাভারে বাকিতে সেবন করা নেশার টাকা সংগ্রহে চুরি, গ্রেপ্তার ১১

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

সাভার প্রতিনিধি:
মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বাকিতে মাদক সেবন করতেন সংঘবদ্ধ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে এই বাকিতে নেওয়া মাদকের টাকা পরিশোধ করতে তৈরি করে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। তারা কেবল মাদকের টাকা সংগ্রহ করতেই এমন চক্র তৈরি করেছেন। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। চক্রের ৮ সদস্যসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে সাভার মডেল থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্ ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফী।

গ্রেপ্তার বাকিতে মাদক সেবনকারীরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার নুরাইনপুর মাদবরবাড়ি গ্রামের সবুজের ছেলে মোঃ সোহেল (৩০), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে রিপন ওরফে চান্দি রিপন (৪০)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া মোঃ হাসেম ড্রাইভার (৩৫), মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০) বাকিতে মাদক সেবন করে সেই টাকা পরিশোধ করতে স্বর্ণালংকার চুরি করতেন। অন্যদিকে চোরাই স্বর্ণালঙ্কারের বিনিময়ে মাদকদ্রব্য হেরোইন বিক্রয়ের সক্রিয় গ্রেপ্তার সদস্যরা হলেন মোঃ স্বপন (৪৮), আঞ্জু বেগম (৩৫), মোঃ রাজা মিয়া (৪০) ও নাসিমা বেগম (৩৫)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্ ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, আমরা একটি ব্যতিক্রমী চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। যারা চুরি করা স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে মাদক ক্রয় করে সেবন করতো। চক্রটি বাকিতে মাদক ক্রয় করে সেবন করতো। তারা লাখ লাখ টাকার মাদক বাকিতে সেবন করতো। অনেক সময় চুরি করা স্বর্ণালংকার দিয়ে তা পরিশোধ করও অগ্রিম হিসাবে রাখতো মাদক সেবীরা। আমরা একটি চুরির মামলা তদন্ত করতে এই চক্রের সন্ধান পাই। ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদেরও গ্রেপ্তার করেছে। একই সাথে গ্রেফতার ৪ আসামীদের কাছ থেকে ১০ (দশ) ভরি চোরাই স্বর্ণালঙ্কার এবং চোরাই স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয়ের মোট ২৮ হাজার ৫০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।