ঢাকা ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

৪র্থ শিল্পবিপ্লবে মানবতা যেন আঘাত না পায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

ডব্লিউইএফ’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক, অনলাইন সংস্করণ:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের (৪আইআর) সরঞ্জামগুলোকে যেন মানবতাকে আঘাত বা ক্ষুণ্ন করে-এমন কাজে ব্যবহার করা না হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যাতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি না করে,এ বিষয়টিও নিশ্চিত করার ওপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, ৪আইআর আমাদের সমাজের মধ্যে আরও বিভাজন তৈরি করবে না। এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার দেশের তরুণদের ৪আইআর ও ভবিষ্যৎ কাজের জন্য তৈরি করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ৪আইআর’কে শুধু অনুসরণ করবে না, বরং প্রকৃতপক্ষে এর নেতৃত্ব দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই ডব্লিউইএফ-এর সঙ্গে অংশীদারত্বে একটি স্বাধীন ৪আইআর কেন্দ্রকে স্বাগত জানাবে। সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৪আইআর-এর জন্য যথাযথ আইন, নীতি ও

প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে পৃথক জাতীয় কর্মকৌশল তৈরি করেছি।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক নেতাদের বিকাশের জন্য আমরা স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিও চালু করেছি। তাই বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘের কাজে আগ্রহী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই গ্লোবাল কমপ্যাক্টে ডিজিটাল ও সীমান্ত প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে। তিনি সাইবার আক্রমণ, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষাব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মহামারির সময়ে দেশব্যাপী ডিজিটাল কাঠামোর সম্পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করেছি। আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে অনলাইনে চালু করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ কমবেশি নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে গেছে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশে বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানিয়েছেন,যাতে তারা ভবিষ্যতে বিশ্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থার কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি। বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অলএর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে বের হওয়ার পরপরই এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত,সমন্বিত এবং সুসংহত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কণ্ঠস্বরগুলোর একটি উচ্চস্তরের ফোরামের এই শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যা অনুভব করি তা হলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামাজিক ন্যায়বিচার এসডিজির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় কেন্দ্রে রাখা দরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচি রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ বা বৃদ্ধ মানুষ,ছাত্রছাত্রী এমনকি কর্মজীবী মা বা স্তন্যদানকারী মা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৪র্থ শিল্পবিপ্লবে মানবতা যেন আঘাত না পায়

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

ডব্লিউইএফ’র অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক, অনলাইন সংস্করণ:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের (৪আইআর) সরঞ্জামগুলোকে যেন মানবতাকে আঘাত বা ক্ষুণ্ন করে-এমন কাজে ব্যবহার করা না হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব যাতে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি না করে,এ বিষয়টিও নিশ্চিত করার ওপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, ৪আইআর আমাদের সমাজের মধ্যে আরও বিভাজন তৈরি করবে না। এই উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে হবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার দেশের তরুণদের ৪আইআর ও ভবিষ্যৎ কাজের জন্য তৈরি করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ৪আইআর’কে শুধু অনুসরণ করবে না, বরং প্রকৃতপক্ষে এর নেতৃত্ব দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই ডব্লিউইএফ-এর সঙ্গে অংশীদারত্বে একটি স্বাধীন ৪আইআর কেন্দ্রকে স্বাগত জানাবে। সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৪আইআর-এর জন্য যথাযথ আইন, নীতি ও

প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে পৃথক জাতীয় কর্মকৌশল তৈরি করেছি।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট গভর্নেন্সের জন্য ভবিষ্যতের রাজনৈতিক নেতাদের বিকাশের জন্য আমরা স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমিও চালু করেছি। তাই বাংলাদেশ একটি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘের কাজে আগ্রহী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই গ্লোবাল কমপ্যাক্টে ডিজিটাল ও সীমান্ত প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা থাকবে। তিনি সাইবার আক্রমণ, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সুরক্ষাব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মহামারির সময়ে দেশব্যাপী ডিজিটাল কাঠামোর সম্পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করেছি। আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে অনলাইনে চালু করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ কমবেশি নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে গেছে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশে বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানিয়েছেন,যাতে তারা ভবিষ্যতে বিশ্বের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থার কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি। বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অলএর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে বের হওয়ার পরপরই এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত,সমন্বিত এবং সুসংহত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কণ্ঠস্বরগুলোর একটি উচ্চস্তরের ফোরামের এই শীর্ষ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যা অনুভব করি তা হলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সামাজিক ন্যায়বিচার এসডিজির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় কেন্দ্রে রাখা দরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচি রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ বা বৃদ্ধ মানুষ,ছাত্রছাত্রী এমনকি কর্মজীবী মা বা স্তন্যদানকারী মা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম রয়েছে।