ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে- অস্ত্রসহ আটক বিএনপি নেতার ছেলে এডভোকেট গাফফার ও বাবলুর সুস্থতা কামনায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ভোর রাতে সিলেটে গোয়াইনঘাটে যুবক খু ন বিশ্বনাথে শিশু নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যান’সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা ৫০কোটি টাকার ভারতীয় চিনির চালান আটক বিশ্বনাথে ঘুষ নেওয়ার অভিযােগে এস আই আলীম উদ্দিন ক্লো জ নারকেল তেলের সঙ্গে যা মেশালে কমবে চু ল পড়া প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লতিফেহকে গ্রেফতার করল ইসরাইল অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সমঝোতা চুক্তি

তুলনামূলকভাবে আনোয়ারের চেয়ে বাবুলের ২৫ গুণ বেশি সম্পদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সিটি নির্বাচন ফিরে দেখা

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক,সংস্করণ

সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল মঙ্গলবার। ওইদিন মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেন ১১ জন।এর মধ্যে ৩ জন দলীয় প্রার্থী। বাকি ৮ জন স্বতন্ত্র। এই ১১ প্রার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আলোচনায় রয়েছেন দলীয় তিন প্রার্থী আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান।মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় তিনজনই নিজেদের ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেছেন। সম্পদের দিক দিয়ে নজরুল ইসলাম অন্য ২ প্রার্থীর চেয়ে অনেকগুণ এগিয়ে। আনোয়ারুজ্জামানের স্থাবর-অস্থাবর মিলে ২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মাহমুদুল হাসানের সম্পদও একই পরিমাণ। তবে নজরুল ইসলাম বাবুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। বার্ষিক আয়ের দিক দিয়েও সর্বোচ্চ তিনি। হলফনামা অনুযায়ী বাবুলের বার্ষিক আয় সাড়ে ৬৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে আনোয়ারুজ্জামান ও মাহমুদুল হাসানের বার্ষিক আয় ৩ লাখের মতো। বাবুলের আছে বিএমডব্লিউ, প্রাডো জিপ। বাকি দুজনের কোনো গাড়ি নেই। আনোয়ার ও হাসানের নামে মামলা নেই। বাবুলের বিরুদ্ধে এক মামলা তদন্তাধীন।

নির্বাচন কমিশনে দেওয়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হলফনানা অনুযায়ী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (সম্মান) পাম। আর পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নগদ অর্থ রয়েছে ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ টাকা। বাংলাদেশের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা নেই। স্ত্রীর নামে ৪৭ ভরি স্বর্ণ ইলেকট্রনিক সামগ্রী হিসাবে ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ ও ২টি এসি উল্লেখ করা হয়েছে। আসবাবপত্র হিসেবে ২ সেট সোফা, ৪টি খাট, ১টি টেবিল, ১০টি চেয়ার ও ২টি আলমিরা উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে ৩ বিঘা কৃষিজমি, অকৃষি জমি রয়েছে ২৩ শতক ও একটি বাড়ি রয়েছে। একটি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ১ লাখ, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকা। নিজের কোনো গাড়ি নেই। হলফনামা অনুযায়ী আনোয়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেশের কোনো আদালতে মামলা নেই। কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণও নেই তার।জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের হলফনামা অনুযায়ী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখানো হয়েছে স্বশিক্ষিত। পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নিজের নগদ টাকা রয়েছে ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ১১০ টাকা, স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা। নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে কোনো অর্থ নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। নিজ নামে ১৫ লা

খ টাকার কোম্পানির শেয়ার ও স্ত্রীর নামে ৫ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে। নিজ নামে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৪ টাকা। নিজের স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতু দিয়ে নির্মিত ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার অলঙ্কার আর স্ত্রীর ৩ লাখ টাকার অলঙ্কারের তথ্য হলফনামায় দেওয়া আছে। স্ত্রী ও নিজের নামে ৪ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। এ ছাড়া নিজের নামে একটি বিএমডব্লিউ, ১টি টয়োটা প্রাডো জিপ, ১২টি কাভার্ড ভ্যান ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে সিটি করপোরেশন ও বাইরের বিভিন্ন মৌজায় ১২২.৭৮ শতক ভূমি। এছাড়া ২৩৬০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট, ২০০ বর্গফুটের ভবন, জমিসহ ২৫শ বর্গফুটের টিনশেড বাড়ি, ৫৪ শতাংশ জমির ওপর ১৮শ বর্গফুটের নির্মাণাধীন ভবন। এসব স্থাবর সম্পত্তির মূল্য উল্লেখ করা না হলেও আনুমানিক প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হবে। বার্ষিক আয়ের খাতে উল্লেখ করা আছে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৯ টাকা। যার মধ্যে ব্যবসা থেকে আয় ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৭০ টাকা, কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত পরিচালক ভাতা ৪০ লাখ, ব্যাংক সুদ থেকে প্রাপ্ত ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৯ টাকা, অংশীদারি ফার্ম হতে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা। হলফনামায় দায়দেনার ঘরে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৭ টাকা দেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ৩টি ফৌজদারি মামলা হলেও তা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের দেওয়া হলফনামায় অনুযায়ী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। পেশা ব্যবসা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে উল্লেখ করেছেন নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নিজের নামে দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল ও ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। আর স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নগরীতে যৌথ পৈতৃক বাড়ি ও নগরীর জিন্দাবাজারে একটি দোকানকোঠার কথা উল্লেখ করেছেন। মাহমুদুল হাসানের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যার মধ্যে দোকান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার ও ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

নতুন বর্ধিত এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা পুরাতন এলাকার চেয়ে বেশি : সিলেট সিটি নির্বাচনে পুরাতন এলাকার ৩৬টি কাউন্সিলর পদে যে সংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন তার তুলনায় নতুন বর্ধিত এলাকার ২০টি পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। ৪২টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৫৬টি কাউন্সিলর পদে ৩৭৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গড়ে প্রতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬ দশমিক ৭১ জন।

মঙ্গলবার মনোনয়ন দাখিল শেষে নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পুরাতন এলাকার ৩৬টি কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল হয়েছে ১৭২টি। গড়ে প্রতি পদে ৪ দশমিক ৭৭ জন। আর নতুন বর্ধিত এলাকার ২০টি কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল হয়েছে ২০৪টি। গড়ে প্রতি পদে ১০ দশমিক ২ জন। পুরাতন এলাকার চেয়ে নতুন এলাকায় ওয়ার্ড প্রতি মনোনয়ন দাখিলের হার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া মেয়র পদে ১১ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

সিসিক নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (আজ) প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাই। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। পরের দিন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ।এদিকে এবার ২৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের তিনবারের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ। সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এর আগে সাধারণ ওয়ার্ডে কোনো মহিলা প্রার্থী হননি। মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী শাহনাজ নগরীর ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ জাপা প্রার্থীর : সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তারা সরকারদলীয় প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ২৩ মে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কয়েকশ কর্মী নিয়ে শোডাউন করেন; যা নির্বাচনি আচরণবিধির লংঘন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় নিরপেক্ষ নয়। আমি মনে করছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

তুলনামূলকভাবে আনোয়ারের চেয়ে বাবুলের ২৫ গুণ বেশি সম্পদ

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

সিলেট সিটি নির্বাচন ফিরে দেখা

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক,সংস্করণ

সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল মঙ্গলবার। ওইদিন মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেন ১১ জন।এর মধ্যে ৩ জন দলীয় প্রার্থী। বাকি ৮ জন স্বতন্ত্র। এই ১১ প্রার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আলোচনায় রয়েছেন দলীয় তিন প্রার্থী আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল হাসান।মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় তিনজনই নিজেদের ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেছেন। সম্পদের দিক দিয়ে নজরুল ইসলাম অন্য ২ প্রার্থীর চেয়ে অনেকগুণ এগিয়ে। আনোয়ারুজ্জামানের স্থাবর-অস্থাবর মিলে ২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মাহমুদুল হাসানের সম্পদও একই পরিমাণ। তবে নজরুল ইসলাম বাবুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা। বার্ষিক আয়ের দিক দিয়েও সর্বোচ্চ তিনি। হলফনামা অনুযায়ী বাবুলের বার্ষিক আয় সাড়ে ৬৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে আনোয়ারুজ্জামান ও মাহমুদুল হাসানের বার্ষিক আয় ৩ লাখের মতো। বাবুলের আছে বিএমডব্লিউ, প্রাডো জিপ। বাকি দুজনের কোনো গাড়ি নেই। আনোয়ার ও হাসানের নামে মামলা নেই। বাবুলের বিরুদ্ধে এক মামলা তদন্তাধীন।

নির্বাচন কমিশনে দেওয়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হলফনানা অনুযায়ী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (সম্মান) পাম। আর পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নগদ অর্থ রয়েছে ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৪৮ টাকা। বাংলাদেশের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা নেই। স্ত্রীর নামে ৪৭ ভরি স্বর্ণ ইলেকট্রনিক সামগ্রী হিসাবে ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ ও ২টি এসি উল্লেখ করা হয়েছে। আসবাবপত্র হিসেবে ২ সেট সোফা, ৪টি খাট, ১টি টেবিল, ১০টি চেয়ার ও ২টি আলমিরা উল্লেখ করেছেন। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে ৩ বিঘা কৃষিজমি, অকৃষি জমি রয়েছে ২৩ শতক ও একটি বাড়ি রয়েছে। একটি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ১ লাখ, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকা। নিজের কোনো গাড়ি নেই। হলফনামা অনুযায়ী আনোয়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেশের কোনো আদালতে মামলা নেই। কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণও নেই তার।জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের হলফনামা অনুযায়ী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখানো হয়েছে স্বশিক্ষিত। পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নিজের নগদ টাকা রয়েছে ৫২ লাখ ৮৯ হাজার ১১০ টাকা, স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা। নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে কোনো অর্থ নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। নিজ নামে ১৫ লা

খ টাকার কোম্পানির শেয়ার ও স্ত্রীর নামে ৫ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে। নিজ নামে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৪ টাকা। নিজের স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতু দিয়ে নির্মিত ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার অলঙ্কার আর স্ত্রীর ৩ লাখ টাকার অলঙ্কারের তথ্য হলফনামায় দেওয়া আছে। স্ত্রী ও নিজের নামে ৪ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। এ ছাড়া নিজের নামে একটি বিএমডব্লিউ, ১টি টয়োটা প্রাডো জিপ, ১২টি কাভার্ড ভ্যান ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে সিটি করপোরেশন ও বাইরের বিভিন্ন মৌজায় ১২২.৭৮ শতক ভূমি। এছাড়া ২৩৬০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট, ২০০ বর্গফুটের ভবন, জমিসহ ২৫শ বর্গফুটের টিনশেড বাড়ি, ৫৪ শতাংশ জমির ওপর ১৮শ বর্গফুটের নির্মাণাধীন ভবন। এসব স্থাবর সম্পত্তির মূল্য উল্লেখ করা না হলেও আনুমানিক প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হবে। বার্ষিক আয়ের খাতে উল্লেখ করা আছে ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৯ টাকা। যার মধ্যে ব্যবসা থেকে আয় ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৭০ টাকা, কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত পরিচালক ভাতা ৪০ লাখ, ব্যাংক সুদ থেকে প্রাপ্ত ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৯ টাকা, অংশীদারি ফার্ম হতে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা। হলফনামায় দায়দেনার ঘরে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৭ টাকা দেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ৩টি ফৌজদারি মামলা হলেও তা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের দেওয়া হলফনামায় অনুযায়ী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। পেশা ব্যবসা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে উল্লেখ করেছেন নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নিজের নামে দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল ও ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র। আর স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নগরীতে যৌথ পৈতৃক বাড়ি ও নগরীর জিন্দাবাজারে একটি দোকানকোঠার কথা উল্লেখ করেছেন। মাহমুদুল হাসানের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যার মধ্যে দোকান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার ও ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

নতুন বর্ধিত এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা পুরাতন এলাকার চেয়ে বেশি : সিলেট সিটি নির্বাচনে পুরাতন এলাকার ৩৬টি কাউন্সিলর পদে যে সংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন তার তুলনায় নতুন বর্ধিত এলাকার ২০টি পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। ৪২টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৫৬টি কাউন্সিলর পদে ৩৭৬ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গড়ে প্রতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৬ দশমিক ৭১ জন।

মঙ্গলবার মনোনয়ন দাখিল শেষে নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পুরাতন এলাকার ৩৬টি কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল হয়েছে ১৭২টি। গড়ে প্রতি পদে ৪ দশমিক ৭৭ জন। আর নতুন বর্ধিত এলাকার ২০টি কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল হয়েছে ২০৪টি। গড়ে প্রতি পদে ১০ দশমিক ২ জন। পুরাতন এলাকার চেয়ে নতুন এলাকায় ওয়ার্ড প্রতি মনোনয়ন দাখিলের হার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া মেয়র পদে ১১ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

সিসিক নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (আজ) প্রার্থীদের মনোনয়ন বাছাই। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। পরের দিন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ।এদিকে এবার ২৫নং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের তিনবারের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ। সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এর আগে সাধারণ ওয়ার্ডে কোনো মহিলা প্রার্থী হননি। মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী শাহনাজ নগরীর ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ জাপা প্রার্থীর : সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তারা সরকারদলীয় প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ২৩ মে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা কয়েকশ কর্মী নিয়ে শোডাউন করেন; যা নির্বাচনি আচরণবিধির লংঘন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় নিরপেক্ষ নয়। আমি মনে করছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।