ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত জেলরোড থেকে আক্তার হোসেন গ্রেফতার মাহে রামাদ্বান উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে ফুড প্যাক বিতরণ এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক হলেন সিলেটের শিব্বির আহমদ পথশিশুদের নিয়ে ইউনিস্যাবের ঈদ উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন তিন খানকে নিয়ে আসছে সিনেমা আমার বয়স নিয়ে নায়িকার সমস্যা না হলে আপনার কেন সমস্যা: সালমান সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কী হয় শরীরে? মানসিক অবসাদ কাটাতে রাতে যা করবেন গাজীপুরে আইজিপি

ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাখাইনের লাখো মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

লেখা:মিয়ানমার নাউ ও দ্য ইরাবতী,সংস্করণ

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মোখার প্রভাবে রাখাইন রাজ্যে প্রবল বাতাস বইছে। ঝরছে বৃষ্টি। আজ রোববার সকালে মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ বিকেলে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে রাখাইনের লাখো মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়েছে।সিত্তে, কিয়াকপিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও, মুনাং শহরের জন্য ‘লাল’ (রেড) স্তরের দুর্যোগসতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ। ইরাবতীর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্যের সরকার।

রাখাইনভিত্তিক আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র বলেন, গত বুধবার থেকে তাঁরা রাজ্যের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছেন। তাঁরা লোকজনকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। খাদ্যসরবরাহ করছেন। ঘূর্ণিঝড়ের পর লোকজনকে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র।খ্যাতনামা রাখাইন লেখক ওয়াই হিন অংয়ের ভাষ্য, সিত্তে শহরের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছে। এখানে এক লাখের বেশি মানুষ বাস করে।সিত্তে ও তার আশপাশের গ্রামগুলো থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ শহরের পাহাড়ি এলাকার মঠে আশ্রয় নিয়েছে।

ওয়াই হিন অং বলেন, লোকজনের এখন জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ওষুধ ও শৌচাগার দরকার। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে জানান তিনি।স্বেচ্ছাসেবক ইউ আয় অংয়ের ভাষ্য, উপকূলীয় রাথেডাংয়ের গ্রামগুলো থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষ সায়তি পাইন গ্রামের মঠ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।ইউ আয় অং দ্য ইরাবতীকে বলেন, বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য আরাকান আর্মি সতর্ক করেছে।পাউকতাওয়ের এক বাসিন্দা বলেন, বৃদ্ধ ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরাকান আর্মি নৌকা ব্যবহার করছে। তারা খাবারও বিতরণ করছে।মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিত্তের অনেক বাসিন্দা গত দুদিন উঁচু স্থানের দিকে গেছে। তবে আজ সকালে অনেক বাসিন্দাকে শহরে দেখা গেছে।মিয়ানমার এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে তাদের সব ফ্লাইট আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাখাইনের লাখো মানুষ বাড়িঘর ছেড়েছে

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

লেখা:মিয়ানমার নাউ ও দ্য ইরাবতী,সংস্করণ

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মোখার প্রভাবে রাখাইন রাজ্যে প্রবল বাতাস বইছে। ঝরছে বৃষ্টি। আজ রোববার সকালে মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ বিকেলে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের কাছে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে রাখাইনের লাখো মানুষ তাঁদের বাড়িঘর ছেড়েছে।সিত্তে, কিয়াকপিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও, মুনাং শহরের জন্য ‘লাল’ (রেড) স্তরের দুর্যোগসতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ। ইরাবতীর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্যের সরকার।

রাখাইনভিত্তিক আরাকান আর্মির এক মুখপাত্র বলেন, গত বুধবার থেকে তাঁরা রাজ্যের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছেন। তাঁরা লোকজনকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। খাদ্যসরবরাহ করছেন। ঘূর্ণিঝড়ের পর লোকজনকে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র।খ্যাতনামা রাখাইন লেখক ওয়াই হিন অংয়ের ভাষ্য, সিত্তে শহরের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছে। এখানে এক লাখের বেশি মানুষ বাস করে।সিত্তে ও তার আশপাশের গ্রামগুলো থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ শহরের পাহাড়ি এলাকার মঠে আশ্রয় নিয়েছে।

ওয়াই হিন অং বলেন, লোকজনের এখন জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ওষুধ ও শৌচাগার দরকার। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে জানান তিনি।স্বেচ্ছাসেবক ইউ আয় অংয়ের ভাষ্য, উপকূলীয় রাথেডাংয়ের গ্রামগুলো থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষ সায়তি পাইন গ্রামের মঠ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।ইউ আয় অং দ্য ইরাবতীকে বলেন, বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য আরাকান আর্মি সতর্ক করেছে।পাউকতাওয়ের এক বাসিন্দা বলেন, বৃদ্ধ ও শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরাকান আর্মি নৌকা ব্যবহার করছে। তারা খাবারও বিতরণ করছে।মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিত্তের অনেক বাসিন্দা গত দুদিন উঁচু স্থানের দিকে গেছে। তবে আজ সকালে অনেক বাসিন্দাকে শহরে দেখা গেছে।মিয়ানমার এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে তাদের সব ফ্লাইট আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।