হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন

- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি,
সালিশ-বিচারক তোতা মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ভিংরাজ মিয়া, সিজিল মিয়া, ফজল মিয়া, জিতু মিয়া ও শাহ আলম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন ইউনুছ মিয়া ও আব্দুল্লাহ মিয়া। এছাড়াও ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি ১৯ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নূরুজ্জামান জানান, ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামের চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ দখল করে টয়লেট নির্মাণ করেন একই গ্রামের শাহআলম। টয়লেটের ময়লাও তিনি রাস্তায় ছেড়ে দেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী কবরস্থানের কিছু অংশ কেটে তিনি নিজের জমির সঙ্গে মিশিয়ে নেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ জানান।
বিষয়টি দেখে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালিশের আয়োজন করেন। কিন্তু তিনি তাও মানেননি। উল্টো রাস্তা দখল করে মাচা বেঁধে চলাচল বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুরব্বি ও সালিশ বিচারক তোতা মিয়াসহ কয়েকজন আইনের দোহাই দিয়ে তাকে রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করেন। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহআলম উত্তেজিত হয়ে তাদের শাসান।
২০১৪ সালের ১ আগস্ট দুপুরে তিনি দলবল নিয়ে তোতা মিয়ার ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পর দিন ২ আগস্ট নিহতের ছেলে আব্দুল কাইয়ূম বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।