ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

রাজউকের গায়েব হওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

বাসস,অনলাইন সংস্করণ

ভবন নির্মাণের আবেদন সংক্রান্ত মুছে যাওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।এ বিষয়টি হলফনামা আকারে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মঙ্গলবার উপস্থাপন করেন রাজউকের আইনজীবী।এরপর এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিকে আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।পাশাপাশি পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন রেখেছে আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।   আইনজীবী ইমাম হাছান জানান,যত নথি মুছে গিয়েছিল,সব নথি উদ্ধার করা হয়েছে।রাজউক থেকে ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব’ শিরোনামে গত ২৯ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।২ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এরপর এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।পাশাপাশি দুদককে অনুসন্ধান করতে বলেন আদালত। সে অনুসারে মঙ্গলবার রাজউক একটি হলফনামা দেয়।আর দুদক জানায়, তারা তিন সদস্য দিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধান করছে।রাজউকের হলফনামার একটি অংশে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর Malicious Access দ্বারা আক্রান্ত হয়ে রাজউকের কনস্ট্রাকশন পারমিট (সিপি) সিস্টেম শীর্ষক সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিডিসিএসলের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি মুছে যায় এবং সিপি সিস্টেমটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২১ ডিসেম্বর সিস্টেমটি পুনরায় চালু করা হয়।এ বিষয়ে ২২ ডিসেম্বর রাজউক মতিঝিল থানায় জিডি করে। পাশাপাশি ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে বুয়েটের সঙ্গে একটি চুক্তি করে রাজউক। বুয়েটের তদন্ত টিম ২৯ এপ্রিল এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাজউকের গায়েব হওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

বাসস,অনলাইন সংস্করণ

ভবন নির্মাণের আবেদন সংক্রান্ত মুছে যাওয়া ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।এ বিষয়টি হলফনামা আকারে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মঙ্গলবার উপস্থাপন করেন রাজউকের আইনজীবী।এরপর এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিকে আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।পাশাপাশি পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন রেখেছে আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।   আইনজীবী ইমাম হাছান জানান,যত নথি মুছে গিয়েছিল,সব নথি উদ্ধার করা হয়েছে।রাজউক থেকে ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব’ শিরোনামে গত ২৯ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।২ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এরপর এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।পাশাপাশি দুদককে অনুসন্ধান করতে বলেন আদালত। সে অনুসারে মঙ্গলবার রাজউক একটি হলফনামা দেয়।আর দুদক জানায়, তারা তিন সদস্য দিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধান করছে।রাজউকের হলফনামার একটি অংশে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর Malicious Access দ্বারা আক্রান্ত হয়ে রাজউকের কনস্ট্রাকশন পারমিট (সিপি) সিস্টেম শীর্ষক সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিডিসিএসলের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি মুছে যায় এবং সিপি সিস্টেমটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২১ ডিসেম্বর সিস্টেমটি পুনরায় চালু করা হয়।এ বিষয়ে ২২ ডিসেম্বর রাজউক মতিঝিল থানায় জিডি করে। পাশাপাশি ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে বুয়েটের সঙ্গে একটি চুক্তি করে রাজউক। বুয়েটের তদন্ত টিম ২৯ এপ্রিল এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেয়।