ওমিক্রন ও ডেল্টা মোকাবিলায় ১১ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন এসেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০১:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩ ৮১ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন, অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ওমিক্রন ও ডেল্টা ভাইরাস মোকাবিলায় সম্প্রতি আরও ১১ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন হাতে এসেছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ১১ লাখ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে।শিগগিরই আরও ২০ লাখ বাইভেলেন্ট ভ্যাকসিন দেবে বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।এই ভ্যাকসিনগুলো বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পথ পরিক্রমায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদম্যযাত্রায় জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩” উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশের ৫১টি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। এ সেবায় আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। চিকিৎসকরাও খুশি মনে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এজন্য এই সেবার আরও পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও ১০০ হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠালগ্নের কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,২ মে ১৯৭১ সালের তৎকালীন কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রথম যাত্রা শুরু হয় আজকের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।এ কারণেই ২ মে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে গিয়ে তিনি জানান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন্মলগ্ন থেকে ৫২ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬০ হাজার বেড, ৪৫ হাজার নার্স, ৩৩ হাজার চিকিৎসক রয়েছে। এছাড়া সারা দেশে ১৮ হাজার ক্লিনিক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক।
জাহিদ মালেক বলেন, সব ওষুধ বর্তমানে দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট করা হয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে গত ৫২ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্জন বলে শেষ করা যাবে না।স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।