সিলেটে ঈদের আনন্দের জনস্রোত

- আপডেট সময় : ০৩:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১২২ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক,
ঈদের আনন্দ বলে কথা।পুরো শহর যেন উৎসবমূখর নগরীতে পরিণত হয়েছে।কানায় কানায় পূর্ণ সবকটি সড়ক, সবগুলো বিপনীবিতান,অভিজাত ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে ফুটপাত।সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।হিসেব-নিকেশের মহাব্যস্ততা।সবজি নয়,মাছ কিংবা মাংসও নয়।হাতে হাতে নতুন কাপড়ের ব্যাগ।এক একটি ব্যাগের ভেতর ঈদের নতুন পোশাক,এক একটি পরিবারের আনন্দ।ধনী-গরিব সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন সেই আনন্দকে রঙিন করতে।গত কয়েক দিন ধরে চলছে সেই ব্যস্ততা।তবে সময় ঘনিয়ে আসায় অর্থাৎ শেষ মুহূর্তে এসে গতকালের চিত্র ছিলো উৎসবের মতো।পথে পথে ছিলো জনস্রোত।তিল ধারণের ঠাই নেই-এমন অবস্থা।নগরীর ভেতর সবকটি বিপনীবিতান প্রচন্ড ব্যস্ত সময় পার করছে। এই ব্যস্ততা গভীর রাত পর্যন্ত চলছে।
প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে পরিবার পরিজন এমনকি কোলের শিশুটি নিয়েও মানুষ দোকানে দোকানে ভিড় করছেন।খুব একটা ঘুরাঘুরি না করে এক দোকান থেকে সব কেনাকাটা সেরে ফেলার চেষ্টা করছেন।এসকল ক্রেতাদের পছন্দের প্রথম তালিকায় থাকে একদামের দোকান।শুধু যে অভিজাত,নামাদামি বিপণীবিতানে বেচাকেনার ধুম পড়েছে তা কিন্তু নয়,সিলেটের প্রাচীন হাসান মার্কেট, কমলাভান্ডার,আড়ংয়ে,হকার্স মার্কেট,মধুবন সুপার মার্কেট,শোকরিয়া,লতিফ সেন্টার, অন্যদিকে ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি, সিটি সেন্টার, আলহামরা শপিং সিটি,কাজী ম্যানশন,মিলেনিয়াম,সিলেট প্লাজা,কাকলী শপিং সিটি-সবখানে, সব দোকানে কম-বেশী বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতাদের আনাগোনা থাকায় অধিকাংশ বিপনীবিতান সেহরীর আগ পর্যন্ত খোলা রাখতে দেখা যাচ্ছে।শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় নিম্আয়ের মানুষেরাও ঘরে বসে নেই।প্রিয় সন্তানের জন্য নতুন জামা কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে তারা ছুটছেন।
ঘুরে ঘুরে সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে কাপড় নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।রিক্সাচালক আলম মিয়া, দিনমজুর হোসেন আলীর সাথে কথা হয় কোর্ট পয়েন্ট এলাকায়।তারা সন্তানদের সাথে নিয়ে কেনাকাটা করছেন। কথা হলে হাসি মুখে বলেন,কম খাই আর বেশী খাই,বাচ্চার জন্য কাপড় তো কিনতে অইবো।তারা বলেন, ‘সন্তানরা সাথে আসতে পেরে খুব খুশি।এই খুশিই আমাদের ঈদ।হাসান মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. আজিজুল করিম জানান, সিলেটের প্রাচীন মার্কেট হিসেবে আমাদের ব্যবসা খারাপ হয়নি।তবে আরো বেশী প্রত্যাশা ছিলো। সেটি না হওয়ার অন্যতম কারণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট।গত তিনদিন ধরে লোডশেডিং কম হলেও সপ্তাহ দশদিন পূর্বে প্রচন্ড লোডশেডিং ছিলো।ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা বিদ্যুৎবিহীন ছিলাম।সেই প্রভাব শুধু হাসান মার্কেটে নয়,সবখানে পড়েছে।