শখের বসে শুরু, এখন পুরোদস্তুর উদ্যোক্তা শাহরিন

- আপডেট সময় : ০৬:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক,
পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বসেই অনলাইনে দেশজুড়ে ব্যবসা করছেন অনেক তরুণ। ঈদ সামনে রেখে তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে কাটছে তাদের কারও কারও সময়। পড়ুন তেমনই একজনের কথা।

সাজিয়া শাহরিনছবি: সংগৃহীত,
হাতে টাকা ছিল না। তাই দোকান থেকে চুক্তিতে একটা পাঞ্জাবি নিয়েছিলেন। ২০০ টাকা দিয়ে রং ও কেমিক্যাল কিনে তাতে নিজেই ছবি আঁকেন সাজিয়া শাহরিন। সেটা সবাই এত পছন্দ করে যে এক দিনেই পাঞ্জাবিটা বিক্রি হয়ে যায়। এভাবেই চলেছে কয়েক মাস। সেখান থেকে যা মুনাফা হতো, সবটাই রং ও কেমিক্যাল কেনার কাজে ব্যবহার হতো। সেই জায়গা থেকে এখন মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকার মতো আয় হচ্ছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থীর।
২০২১ সালে অনলাইনে ‘শাহরিনস ইয়ার্ড’ নামের পেজটি শুরু করেন তিনি। এখানে এখন শাড়ি, কুর্তি, থ্রি–পিসসহ শাহরিনের হাতে রং করা ব্যাগও পাওয়া যায়। পাশাপাশি সেলাইয়ের কাজও করেন তিনি। স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা চলার কারণে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নিতে পারেননি। পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে করা যায়, এমন কিছু পণ্যের ওপর রং করেছেন। সঙ্গে দিয়েছেন ১০ থেকে ২০ শতাংশ ছাড়। তাতেই ইতিমধ্যে ঈদের বাজারে প্রায় ৬০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন তিনি।
শুরুটা শখের বসে হলেও এখন শাহরিনের আয়রোজগারের উৎস এই উদ্যোগ। নিজের পাশাপাশি আরও দুজন মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন তিনি। পদার্থবিজ্ঞানের মতো একটি বিষয়ে পড়াশোনা করে ব্যবসা সামলানো সহজ নয়। শাহরিন বলেন, ‘পড়ালেখার চাপ তো আছেই। তবু পড়াশোনার খরচ আর নিজের হাতখরচ জোগানোর স্বার্থেই ব্যবসাটাকে আমার গুরুত্ব দিতে হয়।’ তাঁর এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ পেয়েছেন মা ও বড় বোনের কাছ থেকে।শাহরিন বলেন, ‘আমার প্রত্যেকটা কাজের ডিজাইন, কম্পোজিশন, রং পুরোপুরি আমার নিজের চিন্তাভাবনা থেকে করা। আমি প্রতিদিনই সৃজনশীলতার চর্চা করি। অন্যদের চেয়ে আলাদা একটা কিছু দাঁড় করানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করি। একজন গ্রাহক যেন আবার আমার কাছে ফিরে আসেন, সে জন্য সেরা রং আর কাপড়টাই ব্যবহার করতে চেষ্টা করি।