ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান তেলাপোকার উপদ্রব কমাতে যা করবেন এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় রিউমার স্ক্যানার ‘হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ২’জনের সাক্ষী অযত্নে ধুঁকছে পল্লী-কবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর সিলেটে যেভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহ.) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন সিলেটে থেকে প্রত্যাহার হলেন ২ থানার ওসি হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেনা-পুলিশের টহলে পালিয়েছে দালাল চক্র

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ও এসআই শরীফের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও উপ-পরিদর্শক মোঃ শরীফুল ইসলাম শরীফের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

গত ২১শে মার্চ ২০২২ইং মিজানুল হক ডন বাদী মনির হোসেন, নুরুল আলম স্বাক্ষী হয়ে ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ্য রয়েছে সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও উপ-পরিদর্শক শরীফ একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ ভাবে বালি ও পাথর উত্তোলন করে আসছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন দিনে ও রাতের আধারে ধোপাজান নদী থেকে ৩০ থেকে ৪০টি নৌকা বালি ও পাথর ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে, হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ওসি ও এসআই শরীফের এই সিন্ডিকেট চক্রের অন্যতম সহকারী হিসেবে রয়েছে, হুরারকান্দা গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে রমজান আলী, লালপুর গ্রামের মৃত হাজী সোবহানের ছেলে মমিন মিয়া, ভাদেরটেক গ্রামের খায়ের মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া। এই সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ধোপাজান নদী হারাচ্ছে ভারসাম্য ও পরিবেশ হচ্ছে বিনষ্ট। এভাবেই তাদের হাত অনৈতিকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। এতে যেমন নদী ও এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি দেশ ও রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। একই সাথে পুলিশের ও দেশের আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ হিসেবে রয়েছে বালি ও পাথর মহাল। আইনের জটিলতায় বেশ কয়েকবছর ধরে ধোপাজান নদী ইজারাবিহীন রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ জনগন ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের বেচে থাকার সম্বল। নদীর পাড়ে থাকা অসংখ্য খেটে খাওয়া দিন মজুরের চোখে হাহাকারের প্রতিধ্বনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ও এসআই শরীফের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও উপ-পরিদর্শক মোঃ শরীফুল ইসলাম শরীফের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

গত ২১শে মার্চ ২০২২ইং মিজানুল হক ডন বাদী মনির হোসেন, নুরুল আলম স্বাক্ষী হয়ে ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ্য রয়েছে সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও উপ-পরিদর্শক শরীফ একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিলে ধোপাজান চলতি নদীতে অবৈধ ভাবে বালি ও পাথর উত্তোলন করে আসছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন দিনে ও রাতের আধারে ধোপাজান নদী থেকে ৩০ থেকে ৪০টি নৌকা বালি ও পাথর ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে, হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ওসি ও এসআই শরীফের এই সিন্ডিকেট চক্রের অন্যতম সহকারী হিসেবে রয়েছে, হুরারকান্দা গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে রমজান আলী, লালপুর গ্রামের মৃত হাজী সোবহানের ছেলে মমিন মিয়া, ভাদেরটেক গ্রামের খায়ের মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া। এই সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ধোপাজান নদী হারাচ্ছে ভারসাম্য ও পরিবেশ হচ্ছে বিনষ্ট। এভাবেই তাদের হাত অনৈতিকভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। এতে যেমন নদী ও এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি দেশ ও রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। একই সাথে পুলিশের ও দেশের আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ হিসেবে রয়েছে বালি ও পাথর মহাল। আইনের জটিলতায় বেশ কয়েকবছর ধরে ধোপাজান নদী ইজারাবিহীন রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তা হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ জনগন ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের বেচে থাকার সম্বল। নদীর পাড়ে থাকা অসংখ্য খেটে খাওয়া দিন মজুরের চোখে হাহাকারের প্রতিধ্বনি।