ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

৪০-জনের নাম খয়রাত করে বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো:প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতার দেওয়া খোলাচিঠি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন,দেশে কতগুলো আইন আছে।সে অনুযায়ী সব চলে।কেউ আইন ভঙ্গ করলে শ্রম আদালত সেটা দেখেন।এ ক্ষেত্রে সরকারপ্রধান হিসেবে আমার তো কিছু করার নেই। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো?তাও বিদেশি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কেন?কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।সেখানে ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রশ্ন করে বলেন,আপনি যখন কাতারে ছিলেন,তখন ৪০ জন বিদেশি নাগরিক একটি বিবৃতি বা আপিল করেছেন,সেটা আপনি পেয়েছেন কি না জানতে চাই।সেটা ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে।এই বিবৃতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য আশা করছি।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,আপনি একটা ভুল করছেন, সেটা ঠিক বিবৃতি নয়।এটা একটা অ্যাডভারটাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন)।৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে,সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে।এর উত্তর কী দেব, জানি না।তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে,সেটা হলো, যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত,তাঁর জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভারটাইজমেন্ট দিতে হবে কেন?তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো?দেশে কতগুলো আইন আছে,সে অনুযায়ী সব চলে এবং চলবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যাঁরা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়,সেটা আলাদা বিভাগ আছে,ট্যাক্স আদায় করে।কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়,শ্রম আদালত আছে, সেটা দেখেন।

এ ক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকারপ্রধান হিসেবে। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো?এর বাইরে আমি আর কী বলব?পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। খালি এটুকু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম,বলেন প্রধানমন্ত্রী।৭ মার্চ রাজনীতি,কূটনীতি,ব্যবসা,শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি পাঠান।সেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে পূর্ণ পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশিত হয়।চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন,আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের নাম ছিল।

চিঠিতে বলা হয়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি,যাঁরা আপনার দেশের জনগণের সাহস ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করে। আমাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী,ব্যবসায়ী,সুশীল সমাজের নেতা ও সমাজসেবক আছেন।বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও সারা বিশ্বে গৃহীত উদ্ভাবনগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত।আপনার দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন,শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৪০-জনের নাম খয়রাত করে বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৩২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতার দেওয়া খোলাচিঠি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন,দেশে কতগুলো আইন আছে।সে অনুযায়ী সব চলে।কেউ আইন ভঙ্গ করলে শ্রম আদালত সেটা দেখেন।এ ক্ষেত্রে সরকারপ্রধান হিসেবে আমার তো কিছু করার নেই। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো?তাও বিদেশি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কেন?কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।সেখানে ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন প্রশ্ন করে বলেন,আপনি যখন কাতারে ছিলেন,তখন ৪০ জন বিদেশি নাগরিক একটি বিবৃতি বা আপিল করেছেন,সেটা আপনি পেয়েছেন কি না জানতে চাই।সেটা ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছে।এই বিবৃতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য আশা করছি।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,আপনি একটা ভুল করছেন, সেটা ঠিক বিবৃতি নয়।এটা একটা অ্যাডভারটাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন)।৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে,সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে।এর উত্তর কী দেব, জানি না।তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে,সেটা হলো, যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত,তাঁর জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভারটাইজমেন্ট দিতে হবে কেন?তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। বিজ্ঞাপন কেন দিতে হলো?দেশে কতগুলো আইন আছে,সে অনুযায়ী সব চলে এবং চলবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যাঁরা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয়,সেটা আলাদা বিভাগ আছে,ট্যাক্স আদায় করে।কেউ যদি এখন এ সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়,শ্রম আদালত আছে, সেটা দেখেন।

এ ক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকারপ্রধান হিসেবে। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো?এর বাইরে আমি আর কী বলব?পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। খালি এটুকু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম,বলেন প্রধানমন্ত্রী।৭ মার্চ রাজনীতি,কূটনীতি,ব্যবসা,শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলাচিঠি পাঠান।সেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে পূর্ণ পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রকাশিত হয়।চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন,আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের নাম ছিল।

চিঠিতে বলা হয়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আপনাকে লিখছি,যাঁরা আপনার দেশের জনগণের সাহস ও উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করে। আমাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী,ব্যবসায়ী,সুশীল সমাজের নেতা ও সমাজসেবক আছেন।বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশে উদ্ভাবিত ও সারা বিশ্বে গৃহীত উদ্ভাবনগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত।আপনার দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা থেকেই আমরা আপনাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের একজন,শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূসের মহান অবদানকে সমর্থন ও স্বীকৃতি দিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে আপনাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখছি।’