ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস ৫ খাবারে কিডনি থাকবে সুস্থ দুবাইয়ে ঐশ্বর্য-সালমান-সানিয়া-শাহরুখদের বিলাসবহুল আবাসন, দাম কত? দুই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে মুশফিক নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবীগঞ্জ নবীগঞ্জে থামছেনা টিলা কাটা হবিগঞ্জ রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নার্সকে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতী সুনামগঞ্জে তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ইউএন অভিযান দ্বীপের শেষ বিদায়ে অশ্রুধারা

সুনামগঞ্জে তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ইউএন অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে গত এক মাসে কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক। তার নেতৃত্বে পরিচালিত এসব অভিযানে ২৬ দিনের মধ্যে ৫৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৮টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, হাওরাঞ্চলের নদী ও খাল থেকে চুরাই করে  অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।  এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাহিরপুরে যোগদানের পর থেকেই ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক অভিযান জোরদার করেন।তিনি রাতে বজ্রপাত কে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাওর ও নদীতে বালু খেকুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। 

তিনি যে কোন অভিযোগ পেলেই সকল কর্মব্যাস্ততা ফেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন—নদী, খাল কিংবা হাওর। কোনো প্রভাবশালী চক্রের চাপ বা হুমকি তার অভিযান থামাতে পারেনি। স্থানীয়দের ভাষায়, ‘ইউএনও মানিক আসার পর নদী, হাওর বাঁচানোর লড়াই নতুন গতি পেয়েছে।’

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে  বালু উত্তোলন প্রতিরোধে ৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মাঠে কাজ করছেন, তবে তাহিরপুর এলাকায় ইউএনও মানিকের সক্রিয় অবস্থান বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। তার নেতৃত্বে একাধিক স্পট চেকিং, নৌ–অভিযান ও রাতের অভিযানের ফলে নদীর পাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম না বলা শর্তে বলেন, আগে রাতে চুড়াই করে কিছু অসাধু ব্যাক্তি বালু তুলতো । এখন ইউএনও স্যারের সাড়াশি অভিযানের  কারণে কেউ আর বালু তুলতে সাহস পায় না।

এ বিষয়ে ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, হাওরের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। অবৈধভাবে নদী বা খাল ভরাট কিংবা বালু তোলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যেখানে অভিযোগ পাব, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।নদীর পাড় থেকে কেউ অবৈধভাবে এক চিমটি বালু উত্তলন করলে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুনামগঞ্জে তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ইউএন অভিযান

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে গত এক মাসে কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক। তার নেতৃত্বে পরিচালিত এসব অভিযানে ২৬ দিনের মধ্যে ৫৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৮টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, হাওরাঞ্চলের নদী ও খাল থেকে চুরাই করে  অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।  এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাহিরপুরে যোগদানের পর থেকেই ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক অভিযান জোরদার করেন।তিনি রাতে বজ্রপাত কে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাওর ও নদীতে বালু খেকুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। 

তিনি যে কোন অভিযোগ পেলেই সকল কর্মব্যাস্ততা ফেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছেন—নদী, খাল কিংবা হাওর। কোনো প্রভাবশালী চক্রের চাপ বা হুমকি তার অভিযান থামাতে পারেনি। স্থানীয়দের ভাষায়, ‘ইউএনও মানিক আসার পর নদী, হাওর বাঁচানোর লড়াই নতুন গতি পেয়েছে।’

জানা যায়, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে  বালু উত্তোলন প্রতিরোধে ৮ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত মাঠে কাজ করছেন, তবে তাহিরপুর এলাকায় ইউএনও মানিকের সক্রিয় অবস্থান বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। তার নেতৃত্বে একাধিক স্পট চেকিং, নৌ–অভিযান ও রাতের অভিযানের ফলে নদীর পাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম না বলা শর্তে বলেন, আগে রাতে চুড়াই করে কিছু অসাধু ব্যাক্তি বালু তুলতো । এখন ইউএনও স্যারের সাড়াশি অভিযানের  কারণে কেউ আর বালু তুলতে সাহস পায় না।

এ বিষয়ে ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক বলেন, হাওরের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। অবৈধভাবে নদী বা খাল ভরাট কিংবা বালু তোলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যেখানে অভিযোগ পাব, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।নদীর পাড় থেকে কেউ অবৈধভাবে এক চিমটি বালু উত্তলন করলে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।