ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

কাঁদছে সিলেট, রাজনৈতিক দল, ইসলামি সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বস্থরের মানুষের মিছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার :

সকাল দশটা। হাতে প্ল্যাকার্ড আর পড়নে অ্যাপ্রন, দলে দলে বিভিন্ন নার্সিং শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেন বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শত থেকে হাজারো উপস্থিতি। যোহরের নামাজের পর রাজনৈতিক দল, ইসলামি সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বস্থরের মানুষও মিছিল সহকারে জড়ো হন।


ততক্ষনে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য। অনেকের চোখে অশ্রু। কারো কারো চোখে মুখে রাগ আর ক্ষোভ। সবার মুখে একটাই দাবি দ্রুত বন্ধ হোক ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বরোচিত ইসরায়েলি গণহত্যা।

সোমবার এই চিত্রই ছিলো সিলেট মহানগরীর সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহনকারীরা বলেন, এতো লাশ। লাশের স্তূপ দেখলে নিজেকে ঠিক রাখা যায় না। চোখে পানি চলে আসে। বুক তরতর করে কেঁপে ওঠে। মনে হয় আমিও গাজায় চলে যাই। আমার অসহায়, নিরীহ ও নিপীড়িত মুসলিম ভাই-বোনদের সঙ্গে শহীদ হয়ে যাই। মন কাঁদে কিন্তু আমরা নিরুপায়!

সোমবার সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই মানববন্ধন করে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভে পাক ভিউ মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সিলেটভিউকে বলেন, মুসলিম প্রধান দেশের নেতা হিসেবে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত। ইসরায়েল একটি অভিশপ্ত দেশ, যারা নিরীহ মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।

বাদ যোহর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিলাশ বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামীয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এছাড়াও ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করে। বিকেলে বিক্ষোভ করে সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামী।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লীগের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

এদিকে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দবি করে সিলেটে কেএফসি রেস্টুরেন্টের পর বাটার শোরুম ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনার পর রেস্টুরেন্ট ও বাটার শোরুম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিকাল ৩টায় সিলেট মহানগরের মিরবক্সটুলা অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও ৪টার দিকে দরগাগেইট এলাকা পরে ৫টার দিকে জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত বাটার শোরুমে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী ইসরায়েলি কোন প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এ দেশে। এই কেএফসি রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান বাটার শোরুমে থাকবে এটি মেনে নেওয়া যায় না। ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ষা করতে বাংলাদেশের কোটি কোটি জনতা প্রস্তুত রয়েছে। চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কোতোয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কাঁদছে সিলেট, রাজনৈতিক দল, ইসলামি সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বস্থরের মানুষের মিছিল

আপডেট সময় : ০৭:২৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :

সকাল দশটা। হাতে প্ল্যাকার্ড আর পড়নে অ্যাপ্রন, দলে দলে বিভিন্ন নার্সিং শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেন বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শত থেকে হাজারো উপস্থিতি। যোহরের নামাজের পর রাজনৈতিক দল, ইসলামি সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বস্থরের মানুষও মিছিল সহকারে জড়ো হন।


ততক্ষনে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য। অনেকের চোখে অশ্রু। কারো কারো চোখে মুখে রাগ আর ক্ষোভ। সবার মুখে একটাই দাবি দ্রুত বন্ধ হোক ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বরোচিত ইসরায়েলি গণহত্যা।

সোমবার এই চিত্রই ছিলো সিলেট মহানগরীর সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহনকারীরা বলেন, এতো লাশ। লাশের স্তূপ দেখলে নিজেকে ঠিক রাখা যায় না। চোখে পানি চলে আসে। বুক তরতর করে কেঁপে ওঠে। মনে হয় আমিও গাজায় চলে যাই। আমার অসহায়, নিরীহ ও নিপীড়িত মুসলিম ভাই-বোনদের সঙ্গে শহীদ হয়ে যাই। মন কাঁদে কিন্তু আমরা নিরুপায়!

সোমবার সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই মানববন্ধন করে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভে পাক ভিউ মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সিলেটভিউকে বলেন, মুসলিম প্রধান দেশের নেতা হিসেবে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানানো উচিত। ইসরায়েল একটি অভিশপ্ত দেশ, যারা নিরীহ মুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।

বাদ যোহর নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিলাশ বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামীয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এছাড়াও ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করে। বিকেলে বিক্ষোভ করে সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামী।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লীগের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

এদিকে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দবি করে সিলেটে কেএফসি রেস্টুরেন্টের পর বাটার শোরুম ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনার পর রেস্টুরেন্ট ও বাটার শোরুম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিকাল ৩টায় সিলেট মহানগরের মিরবক্সটুলা অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও ৪টার দিকে দরগাগেইট এলাকা পরে ৫টার দিকে জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত বাটার শোরুমে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী ইসরায়েলি কোন প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এ দেশে। এই কেএফসি রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান বাটার শোরুমে থাকবে এটি মেনে নেওয়া যায় না। ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ষা করতে বাংলাদেশের কোটি কোটি জনতা প্রস্তুত রয়েছে। চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

কোতোয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।