ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান তেলাপোকার উপদ্রব কমাতে যা করবেন এক ঘণ্টায় ৩০ বার বিমান হামলা গাজায় রিউমার স্ক্যানার ‘হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় ২’জনের সাক্ষী অযত্নে ধুঁকছে পল্লী-কবি জসীমউদ্দীন জাদুঘর সিলেটে যেভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রহ.) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন সিলেটে থেকে প্রত্যাহার হলেন ২ থানার ওসি হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেনা-পুলিশের টহলে পালিয়েছে দালাল চক্র

গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মেরে ফেললেই হিজবুল্লাহ ভেঙে পড়বে না- খামেনি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি বলেছেন, হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারদের মেরে সংগঠনটিকে শেষ করতে পারবে না ইসরাইল। ইরান-ইরাক যুদ্ধে লড়াই করা সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়া পেজার, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বিস্ফোরণেও লেবাননে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। যদিও এসব বিস্ফোরণের দায় এখনো স্বীকার করেনি ইসরাইল। তবে ঘটনার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত ইঙ্গিত করছে, এসবের পেছনে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে।

এসবের প্রেক্ষিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব শহিদ হয়েছেন। এতে হিজবুল্লাহর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে নিশ্চিত, তবে এর ফলে হিজবুল্লাহ শেষ হয়ে যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক এবং মানবিক শক্তি অনেক দৃঢ়। তাদের নেতৃত্ব, সক্ষমতা এবং শক্তিমত্তা অনেক পোক্ত, কিছু মানুষ শহিদ হলেও এতে তাদের ওপর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই অশান্ত লেবানন সীমান্ত। সেখানে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে তখন থেকেই থেমে থেমে 

লড়াই চলছে। তবে সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিস্ফোরণ এবং তারপর ইসরাইলি হামলায় শত শত মানুষ নিহতের ঘটনায় এখন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে  মধ্যপ্রাচ্যের ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স উল্লেখ্যযোগ্য। তাই ইসরাইল হামাসের সঙ্গে এখন এসব গোষ্ঠীগুলোকেও নিশানা বানাচ্ছে। লেবাননে ইসরাইলের বড় ধরনের সামরিক হামলা তারই প্রমাণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মেরে ফেললেই হিজবুল্লাহ ভেঙে পড়বে না- খামেনি

আপডেট সময় : ০১:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি বলেছেন, হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারদের মেরে সংগঠনটিকে শেষ করতে পারবে না ইসরাইল। ইরান-ইরাক যুদ্ধে লড়াই করা সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়া পেজার, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের বিস্ফোরণেও লেবাননে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। যদিও এসব বিস্ফোরণের দায় এখনো স্বীকার করেনি ইসরাইল। তবে ঘটনার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত ইঙ্গিত করছে, এসবের পেছনে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে।

এসবের প্রেক্ষিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব শহিদ হয়েছেন। এতে হিজবুল্লাহর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে নিশ্চিত, তবে এর ফলে হিজবুল্লাহ শেষ হয়ে যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক এবং মানবিক শক্তি অনেক দৃঢ়। তাদের নেতৃত্ব, সক্ষমতা এবং শক্তিমত্তা অনেক পোক্ত, কিছু মানুষ শহিদ হলেও এতে তাদের ওপর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই অশান্ত লেবানন সীমান্ত। সেখানে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে তখন থেকেই থেমে থেমে 

লড়াই চলছে। তবে সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিস্ফোরণ এবং তারপর ইসরাইলি হামলায় শত শত মানুষ নিহতের ঘটনায় এখন পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে  মধ্যপ্রাচ্যের ইরান-সমর্থিত সামরিক গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স উল্লেখ্যযোগ্য। তাই ইসরাইল হামাসের সঙ্গে এখন এসব গোষ্ঠীগুলোকেও নিশানা বানাচ্ছে। লেবাননে ইসরাইলের বড় ধরনের সামরিক হামলা তারই প্রমাণ।