ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত জেলরোড থেকে আক্তার হোসেন গ্রেফতার মাহে রামাদ্বান উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে ফুড প্যাক বিতরণ এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক হলেন সিলেটের শিব্বির আহমদ পথশিশুদের নিয়ে ইউনিস্যাবের ঈদ উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন তিন খানকে নিয়ে আসছে সিনেমা আমার বয়স নিয়ে নায়িকার সমস্যা না হলে আপনার কেন সমস্যা: সালমান সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কী হয় শরীরে? মানসিক অবসাদ কাটাতে রাতে যা করবেন গাজীপুরে আইজিপি

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে : বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন ছিল না। সেটি প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা পর্ব। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই কিন্তু পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিতে প্রেরণা জুগিয়েছে। আজ বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। জনগণের ভোটাধিকার নেই। তাই বিএনপির যে একদফার আন্দোলন তা চলবে।আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নে যা করেছেন তা বলে শেষ হবে না। তিনি দেশের কৃষির উন্নয়নে খাল খনন কর্মসূচি করেছেন। শিক্ষার উন্নয়নে অসংখ্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ছোট দেশ হয়েও তিনি নিজের পায়ের ওপর দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি আমাদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। তার শাসনামলে যে নির্বাচন হয়েছিল সেখানে সকল দল অংশ নিয়েছিল।দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে। আমরা পাকিস্তানিদের বলেছিলাম তোমাদের বৈষম্যের শাসন মানি না। সেদিন বাঙালি তাদের ব্যালটের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বুঝিয়ে দিয়েছিল তোমাদের চায় না। ফলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের ভরাডুবি হয়েছিল।
 

গয়েশ্বর বলেন, আজও যদি হিসাব করেন যারা স্বাধীনতা রক্ষার দাবিদার তাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে লক্ষাধিক শহিদ মিনার উপহার দিয়েছেন।বিএনপির নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা কটূক্তি করছে বলে অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, যখন খুশি মামলা দিচ্ছে। বিচারকরা কোনো যাচাই-বাছাই করেন না।তিনি বলেন, কারাগারে নেওয়ার পর তো নেতাকর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে বাণিজ্য করে। জামিনের পরও মুক্তি নিয়ে সময় ক্ষেপন করা হয়। এই কাগজ তো ওই কাগজ। এই অফিসার তো ওই অফিসার। আবার বাইরের খাবার নিতে দেয় না। কিন্তু কিছু টাকা দিবেন বাইরের খাবার নেওয়া যাবে। আসলে অত্যাচারের শেষ কোথায়? একটা মানুষকে অত্যাচার করতে করতে কবরে না যাওয়া পর্যন্ত ওরা থামে না।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই আওয়ামী লীগ আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে একতরফা ডামি নির্বাচন করেছে ৭ জানুয়ারি। এই সরকার সবচেয়ে ভয় পায় বিএনপিকে। যার নেত্রী খালেদা জিয়া। আমাদের আন্দোলন কিন্তু চলমান। আমরা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। জনগণ তাতে সাড়া দিয়েছে। ফলে আমরা সফল হয়েছি।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে : বিএনপি

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন ছিল না। সেটি প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা পর্ব। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই কিন্তু পরবর্তীতে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিতে প্রেরণা জুগিয়েছে। আজ বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। জনগণের ভোটাধিকার নেই। তাই বিএনপির যে একদফার আন্দোলন তা চলবে।আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নে যা করেছেন তা বলে শেষ হবে না। তিনি দেশের কৃষির উন্নয়নে খাল খনন কর্মসূচি করেছেন। শিক্ষার উন্নয়নে অসংখ্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ছোট দেশ হয়েও তিনি নিজের পায়ের ওপর দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি আমাদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। তার শাসনামলে যে নির্বাচন হয়েছিল সেখানে সকল দল অংশ নিয়েছিল।দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে। আমরা পাকিস্তানিদের বলেছিলাম তোমাদের বৈষম্যের শাসন মানি না। সেদিন বাঙালি তাদের ব্যালটের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বুঝিয়ে দিয়েছিল তোমাদের চায় না। ফলে পাকিস্তান মুসলিম লীগ সরকারের ভরাডুবি হয়েছিল।
 

গয়েশ্বর বলেন, আজও যদি হিসাব করেন যারা স্বাধীনতা রক্ষার দাবিদার তাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে লক্ষাধিক শহিদ মিনার উপহার দিয়েছেন।বিএনপির নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা কটূক্তি করছে বলে অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, যখন খুশি মামলা দিচ্ছে। বিচারকরা কোনো যাচাই-বাছাই করেন না।তিনি বলেন, কারাগারে নেওয়ার পর তো নেতাকর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে বাণিজ্য করে। জামিনের পরও মুক্তি নিয়ে সময় ক্ষেপন করা হয়। এই কাগজ তো ওই কাগজ। এই অফিসার তো ওই অফিসার। আবার বাইরের খাবার নিতে দেয় না। কিন্তু কিছু টাকা দিবেন বাইরের খাবার নেওয়া যাবে। আসলে অত্যাচারের শেষ কোথায়? একটা মানুষকে অত্যাচার করতে করতে কবরে না যাওয়া পর্যন্ত ওরা থামে না।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই আওয়ামী লীগ আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে একতরফা ডামি নির্বাচন করেছে ৭ জানুয়ারি। এই সরকার সবচেয়ে ভয় পায় বিএনপিকে। যার নেত্রী খালেদা জিয়া। আমাদের আন্দোলন কিন্তু চলমান। আমরা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। জনগণ তাতে সাড়া দিয়েছে। ফলে আমরা সফল হয়েছি।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক প্রমুখ।