ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

সিলেটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

তীব্র শীতে কাবু নগরের জনজীবন। একই সঙ্গে সিলেটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

গত বৃহস্পতিবারের সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বনিম্ন। এ তাপমাত্রা সিলেটের অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এমন অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, মূলত কুয়াশার কারণে দেশে তীব্র শীতের এলাকা বাড়ছে। একসময় জানুয়ারিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও সিলেট বিভাগে মূলত তীব্র শীতের অনুভূতি থাকত। উপকূলীয় জেলাগুলোতে শীত পড়ত কম। কারণ, সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। ফলে হিমালয় পেরিয়ে আসা শীতের শুষ্ক বাতাস উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত তীব্র শীত থাকছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, তা মূলত কুয়াশার কারণে ঘটছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে শীত নামে মূলত হিমালয় পেরিয়ে পঞ্চগড় দিয়ে শীতল বাতাস আসার কারণে। একইভাবে সিলেটে মেঘালয় থেকে আসা শীতল বাতাস প্রবেশ করে তাপমাত্রা কমায়। বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালের পর থেকে জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কুয়াশা বেড়ে যেতে দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার বড় অংশজুড়ে মাসের বেশির ভাগ সময় ওই কুয়াশা দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও তীব্র শীতের অনুভূতি থাকছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট নগরীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে আগামী কয়েকদিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার কারণে সিলেটে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে। তবে রাতের দিকে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস

আপডেট সময় : ০১:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

তীব্র শীতে কাবু নগরের জনজীবন। একই সঙ্গে সিলেটে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

গত বৃহস্পতিবারের সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরের সর্বনিম্ন। এ তাপমাত্রা সিলেটের অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এমন অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, মূলত কুয়াশার কারণে দেশে তীব্র শীতের এলাকা বাড়ছে। একসময় জানুয়ারিতে দেশের উত্তরাঞ্চল ও সিলেট বিভাগে মূলত তীব্র শীতের অনুভূতি থাকত। উপকূলীয় জেলাগুলোতে শীত পড়ত কম। কারণ, সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। ফলে হিমালয় পেরিয়ে আসা শীতের শুষ্ক বাতাস উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু হয়ে মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত তীব্র শীত থাকছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, তা মূলত কুয়াশার কারণে ঘটছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে শীত নামে মূলত হিমালয় পেরিয়ে পঞ্চগড় দিয়ে শীতল বাতাস আসার কারণে। একইভাবে সিলেটে মেঘালয় থেকে আসা শীতল বাতাস প্রবেশ করে তাপমাত্রা কমায়। বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালের পর থেকে জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কুয়াশা বেড়ে যেতে দেখা যায়। দক্ষিণ এশিয়ার বড় অংশজুড়ে মাসের বেশির ভাগ সময় ওই কুয়াশা দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও তীব্র শীতের অনুভূতি থাকছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট নগরীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে আগামী কয়েকদিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কুয়াশার কারণে সিলেটে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে। তবে রাতের দিকে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।