ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ ফেরানোর আহ্বান ৩ প্রভাবশালী দেশের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল বিদেশে বসে আ.লীগের আন্দোলনের ডাক, যা বললেন জান্নাতুন নাঈম বিমসটেক সম্মেলন ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি,লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কিসমিস আটক বাহুবলের মিরপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৫ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ভারতকে হারাতে চায় হামজায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজমিরীগঞ্জে এবার শুরু নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

নাশকতার চার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৯ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন : অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর ভাটারা,ডেমরা,পল্লবী ও কামরাঙ্গীরচর থানার নাশকতার অভিযোগে করা পৃথক ৪ মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৯ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।এরমধ্যে ২০১৮ সালে ভাটারা থানার নাশকতার মামলায় ভাটারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে ৩ বছরের সাজা দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব। সাজার পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন-ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল আজিজ, মোশারফ হোসেন স্বপন ও হেলাল উদ্দিন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভাটারা থানার বিএনপির নেতাকর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করে নাশকতা করে। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ডেমরা থানার মামলায় বিএনপির ২৫ জনের সাজা
২০১২ সালে ডেমরা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৫ জন নেতাকর্মীর সাড়ে ৩ বছর সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৪৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাস, ৩৫৩ ধারায় ২ বছর ৬ মাস ও ৪২৭ ধারায় ৬ মাসের সশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাবুল ভুইয়া, মোশারফ হোসেন ইব্রাহিম, সুমন, আমিনুর রহমান, মো. স্বপন, খোকন, রফিকুল ইসলাম রফিক, রাসেল, তোফাজ্জল হোসেন, মনির হোসেন, কামরুল হাসান বাচ্চু, গোলজার হোসেন, মহল উদ্দিন, নূরে আলম, সাদ্দাম হোসেন, শিপু মিয়া, মো. শাওন, মোশারফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, তৌহিদুল কবির আকাশ, আব্দুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, আশরাফ আলী ওরফে কাউছার, মো. দুলাল ও ফারুক আহমেদ। আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেমরা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করায় এই মামলা দায়ের করে পুলিশ।

পল্লবী থানার মামলায় বিএনপির ৯ জনের সাজা
২০১৩ সালে পল্লবী থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ৯ জনের তিন বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৪৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাস, ৪৩৫ ধারায় ২ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. নুর সালাম, মো. শামীম, সুমন, এসএম আতাউর রহমান, গোলাম ইয়াজদানি, মাওলানা নুরুজ্জামান, এসএম মামুন, নুর মোহাম্মদ গাজী ও রবিউল করিম বাবু। এ ছাড়া বাকি ৩ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামি বাদে বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পল্লবী থানাধীন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করায় এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।

কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ১১ জনের সাজা
কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ কারাদণ্ড দেন। আসামিদের মধ্যে ৬ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।তারা হলেন-মো.বাচ্চু মিয়া,মো.মহিউদ্দিন, মো. আলী আকবর, মো. আলমগীর হোসেন, মো. ওসমান মিয়া, হাজী মো. আব্দুর রশিদ। বাকি ৫ আসামিকে ২ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।তারা হলেন-মো.ইউসুফ,মো.নূর হোসেন, মারুফ, মো. শহিদুল ইসলাম,মো. রফিকুল ইসলাম।মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় এ মামলাটি করা হয়।মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. নুরুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নাশকতার চার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৯ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০১:২৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন : অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর ভাটারা,ডেমরা,পল্লবী ও কামরাঙ্গীরচর থানার নাশকতার অভিযোগে করা পৃথক ৪ মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৯ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।এরমধ্যে ২০১৮ সালে ভাটারা থানার নাশকতার মামলায় ভাটারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে ৩ বছরের সাজা দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব। সাজার পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন-ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল আজিজ, মোশারফ হোসেন স্বপন ও হেলাল উদ্দিন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভাটারা থানার বিএনপির নেতাকর্মীরা বেআইনি সমাবেশ করে নাশকতা করে। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ডেমরা থানার মামলায় বিএনপির ২৫ জনের সাজা
২০১২ সালে ডেমরা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৫ জন নেতাকর্মীর সাড়ে ৩ বছর সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৪৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাস, ৩৫৩ ধারায় ২ বছর ৬ মাস ও ৪২৭ ধারায় ৬ মাসের সশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাবুল ভুইয়া, মোশারফ হোসেন ইব্রাহিম, সুমন, আমিনুর রহমান, মো. স্বপন, খোকন, রফিকুল ইসলাম রফিক, রাসেল, তোফাজ্জল হোসেন, মনির হোসেন, কামরুল হাসান বাচ্চু, গোলজার হোসেন, মহল উদ্দিন, নূরে আলম, সাদ্দাম হোসেন, শিপু মিয়া, মো. শাওন, মোশারফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, তৌহিদুল কবির আকাশ, আব্দুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, আশরাফ আলী ওরফে কাউছার, মো. দুলাল ও ফারুক আহমেদ। আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেমরা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করায় এই মামলা দায়ের করে পুলিশ।

পল্লবী থানার মামলায় বিএনপির ৯ জনের সাজা
২০১৩ সালে পল্লবী থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ৯ জনের তিন বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ১৪৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাস, ৪৩৫ ধারায় ২ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. নুর সালাম, মো. শামীম, সুমন, এসএম আতাউর রহমান, গোলাম ইয়াজদানি, মাওলানা নুরুজ্জামান, এসএম মামুন, নুর মোহাম্মদ গাজী ও রবিউল করিম বাবু। এ ছাড়া বাকি ৩ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্ত আসামি বাদে বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পল্লবী থানাধীন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করায় এ মামলা দায়ের করে পুলিশ।

কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ১১ জনের সাজা
কামরাঙ্গীরচর থানায় করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ কারাদণ্ড দেন। আসামিদের মধ্যে ৬ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।তারা হলেন-মো.বাচ্চু মিয়া,মো.মহিউদ্দিন, মো. আলী আকবর, মো. আলমগীর হোসেন, মো. ওসমান মিয়া, হাজী মো. আব্দুর রশিদ। বাকি ৫ আসামিকে ২ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।তারা হলেন-মো.ইউসুফ,মো.নূর হোসেন, মারুফ, মো. শহিদুল ইসলাম,মো. রফিকুল ইসলাম।মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় এ মামলাটি করা হয়।মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. নুরুল ইসলাম।