ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তত ২৩ ধরনের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। ফোর্সেস গোল–২০২৩–এর আলোকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা বা সংযোজন করা হয়েছে।আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে। তবে কোন সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮–২০২৩ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এর মধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাংক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আরমার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), তুরস্কের মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ওয়েপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়াম ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আরমার্ড রিকভারি ভেহিকেল (এআরভি) ফর ট্যাংক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।

নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে আট ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এর মধ্যে আছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও সরঞ্জাম, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি), কানাডার ভি–স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম এবং সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ।বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চার ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের এমকে–৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮-২০২৩ সময়কালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি ও অর্জনগুলো সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়া রাজস্ব বাজেটের আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পূর্ত কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের স্থিরচিত্র উপস্থাপন করা হয়।কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন, মো. মহিববুর রহমান ও নাহিদ ইজাহার খান বৈঠকে অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তত ২৩ ধরনের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। ফোর্সেস গোল–২০২৩–এর আলোকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা বা সংযোজন করা হয়েছে।আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে। তবে কোন সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং এর পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮–২০২৩ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এর মধ্যে আছে চীনের লাইট ট্যাংক, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আরমার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি), তুরস্কের মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ওয়েপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়াম ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি অটোমেটিক গ্রেনেড লঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আরমার্ড রিকভারি ভেহিকেল (এআরভি) ফর ট্যাংক এবং চীনের সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম।

নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে আট ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এর মধ্যে আছে খুলনা শিপইয়ার্ড ও চীনের তৈরি পেট্রল ক্র্যাফট (পিসি), চীনের ফ্রিগেট, চীনের বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও সরঞ্জাম, নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি), কানাডার ভি–স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম এবং সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ।বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চার ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। এর মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের এমকে–৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮-২০২৩ সময়কালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি ও অর্জনগুলো সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়া রাজস্ব বাজেটের আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পূর্ত কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের স্থিরচিত্র উপস্থাপন করা হয়।কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন, মো. মহিববুর রহমান ও নাহিদ ইজাহার খান বৈঠকে অংশ নেন।