ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে- অস্ত্রসহ আটক বিএনপি নেতার ছেলে এডভোকেট গাফফার ও বাবলুর সুস্থতা কামনায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ভোর রাতে সিলেটে গোয়াইনঘাটে যুবক খু ন বিশ্বনাথে শিশু নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যান’সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা ৫০কোটি টাকার ভারতীয় চিনির চালান আটক বিশ্বনাথে ঘুষ নেওয়ার অভিযােগে এস আই আলীম উদ্দিন ক্লো জ নারকেল তেলের সঙ্গে যা মেশালে কমবে চু ল পড়া প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লতিফেহকে গ্রেফতার করল ইসরাইল অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সমঝোতা চুক্তি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২৮ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহত গতিতে।বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে।যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার।বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। গত এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে ২১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৩০ কোটি ডলার।

বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে আমদানি ব্যয় হচ্ছে ৬০০ কোটি ডলার।এ হিসাবে তিন মাসের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আমদানি আরও কমালে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমেছে।এদিকে নতুন এলসি খোলা ও আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য দেনাও শোধ করতে হচ্ছে।এসব খাতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে সীমিত আকারে ডলারের জোগান দিচ্ছে।এতে বকেয়া সব বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কিছু বকেয়া থাকছে। সেগুলোর বিপরীতে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে।এতে দেনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। গত বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২১৭ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ২৮ কোটি ডলার।এদিকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করতে হবে নভেম্বরের শুরুতে।তখন রিজার্ভ এক ধাক্কায় আরও কমে যেতে পারে।কেননা নভেম্বরের আগে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হচ্ছে না। নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় হতে পারে। এছাড়া ওই সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু ঋণও ছাড় হতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়তে পারে। আর বছরের শেষদিকে রপ্তানি আয় বাড়ার আশা করা হচ্ছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে

আপডেট সময় : ০৩:৫০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহত গতিতে।বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে।যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার।বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। গত এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে ২১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৩০ কোটি ডলার।

বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে আমদানি ব্যয় হচ্ছে ৬০০ কোটি ডলার।এ হিসাবে তিন মাসের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আমদানি আরও কমালে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমেছে।এদিকে নতুন এলসি খোলা ও আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য দেনাও শোধ করতে হচ্ছে।এসব খাতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে সীমিত আকারে ডলারের জোগান দিচ্ছে।এতে বকেয়া সব বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কিছু বকেয়া থাকছে। সেগুলোর বিপরীতে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে।এতে দেনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। গত বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২১৭ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ২৮ কোটি ডলার।এদিকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করতে হবে নভেম্বরের শুরুতে।তখন রিজার্ভ এক ধাক্কায় আরও কমে যেতে পারে।কেননা নভেম্বরের আগে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হচ্ছে না। নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় হতে পারে। এছাড়া ওই সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু ঋণও ছাড় হতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়তে পারে। আর বছরের শেষদিকে রপ্তানি আয় বাড়ার আশা করা হচ্ছে।