ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহত গতিতে।বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে।যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার।বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। গত এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে ২১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৩০ কোটি ডলার।

বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে আমদানি ব্যয় হচ্ছে ৬০০ কোটি ডলার।এ হিসাবে তিন মাসের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আমদানি আরও কমালে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমেছে।এদিকে নতুন এলসি খোলা ও আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য দেনাও শোধ করতে হচ্ছে।এসব খাতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে সীমিত আকারে ডলারের জোগান দিচ্ছে।এতে বকেয়া সব বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কিছু বকেয়া থাকছে। সেগুলোর বিপরীতে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে।এতে দেনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। গত বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২১৭ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ২৮ কোটি ডলার।এদিকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করতে হবে নভেম্বরের শুরুতে।তখন রিজার্ভ এক ধাক্কায় আরও কমে যেতে পারে।কেননা নভেম্বরের আগে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হচ্ছে না। নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় হতে পারে। এছাড়া ওই সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু ঋণও ছাড় হতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়তে পারে। আর বছরের শেষদিকে রপ্তানি আয় বাড়ার আশা করা হচ্ছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে

আপডেট সময় : ০৩:৫০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে অব্যাহত গতিতে।বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় এ খাতে ঘাটতি হচ্ছে। এ ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে।যে কারণে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৭ কোটি ডলার।বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে। গত এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১৯২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে ২১ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৩০ কোটি ডলার।

বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে আমদানি ব্যয় হচ্ছে ৬০০ কোটি ডলার।এ হিসাবে তিন মাসের জন্য লাগবে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আমদানি আরও কমালে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।সূত্র জানায়, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় বাজারে ডলারের প্রবাহ কমেছে।এদিকে নতুন এলসি খোলা ও আগের এলসির দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য দেনাও শোধ করতে হচ্ছে।এসব খাতে ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে চাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে সীমিত আকারে ডলারের জোগান দিচ্ছে।এতে বকেয়া সব বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কিছু বকেয়া থাকছে। সেগুলোর বিপরীতে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে।এতে দেনা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। গত বুধবার দিনের শুরুতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ২১৭ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৪ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ২৮ কোটি ডলার।এদিকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করতে হবে নভেম্বরের শুরুতে।তখন রিজার্ভ এক ধাক্কায় আরও কমে যেতে পারে।কেননা নভেম্বরের আগে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হচ্ছে না। নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৪৮ কোটি ডলার ছাড় হতে পারে। এছাড়া ওই সময়ে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু ঋণও ছাড় হতে পারে। তখন রিজার্ভ কিছুটা বাড়তে পারে। আর বছরের শেষদিকে রপ্তানি আয় বাড়ার আশা করা হচ্ছে।