ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান শাকিবের যে সিনেমায় ‘বুবলী’ হয়েছিলেন অপু বিশ্বাস গাজার মুসলমানদের সমর্থনে বলিউড অভিনেত্রীর পোস্ট আরেকটি এফ-৩৫ ধ্বংস, ইসরাইলের জন্য অন্ধকার পূর্বাভাস ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা স্থাপনায় ইরানের হামলা বিমান দুর্ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু গল টেস্টের প্রথম দিনে দুই সেঞ্চুরি, ভালো পজিশনে বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ডব্লিউজিইআইডি ভাইস চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ জরিপের ফল-পথে বেড়ে উঠা শিশুদের ৫৮ শতাংশেরই নেই জন্মসনদ চুনারুঘাট সীমান্তে বিজিবির হাতে ভারতীয় নাগরিক আটক কুলাউড়ায় ৫০০ চক্ষু রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিল ‘এনএসএস’

বড় ভাইকে বাঁচাতে ছোট ভাইয়ের কিডনি দান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন,

মাধবপুর (হবিগঞ্জ)থেকে : হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছোট ভাই তার নিজের একটি কিডনি বড় ভাইকে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার আশা জাগালেন। বড় ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার এমন বাস্তব প্রমাণ দিয়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছোট ছেলে আতাউল ইসলাম পলাশ।

আপন বড় ভাইকে বাঁচাতে পলাশ নিজের কিডনি দিয়েছেন।গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তারা দুই ভাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন।কথায় আছে ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন’। সত্যিই তাই। রক্তের বাঁধন এতটাই শক্তিশালী যে, নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্তের কাউকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে মানুষহাজার বার চেষ্টা করে। ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের এমন ভালোবাসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার তিন পুত্র সন্তান। মানিক মিয়া চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার হিসাবে কর্মরত।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মানিক মিয়ার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম সবুজ। এর মধ্যে হঠাৎ সবুজের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ফলে সাইফুল ইসলাম সবুজ সৌদি আরব থেকে চলে আসেন দেশে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর ডাক্তার সবুজের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান। এরপর থেকে ডায়ালাইসিস করেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরিবারের পক্ষে সবুজ এর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা মোটেও সম্ভব ছিল না। তাছাড়া, কিডনিই বা পাওয়া যাবে কোথায় ? এ নিয়ে ছিল ব্যাপক দুশ্চিন্তা। চিকিৎসকরা তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেন। এমন দুঃসংবাদে ভেঙে পড়ে পরিবারটি।

সেই সময় সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সবুজ এর আপন ছোট ভাই আতাউল ইসলাম পলাশ ভাইকে বাঁচাতে তার পাশে দাঁড়ান। স্বেচ্ছায় নিজের কিডনি বড় ভাইকে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।ফলে গতকাল শনিবার পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই দিন সকাল ৬টার দিকে তাদের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে দুই ভাই সুস্থ আছেন।সবুজের পিতা মানিক মিয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং অপারেশনের পর দুই ভাই সুস্থ আছে বলে জানান।চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, সবার সহযোগিতায় সবুজের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটি ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বড় ভাইকে বাঁচাতে ছোট ভাইয়ের কিডনি দান

আপডেট সময় : ০৬:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন,

মাধবপুর (হবিগঞ্জ)থেকে : হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছোট ভাই তার নিজের একটি কিডনি বড় ভাইকে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার আশা জাগালেন। বড় ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার এমন বাস্তব প্রমাণ দিয়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছোট ছেলে আতাউল ইসলাম পলাশ।

আপন বড় ভাইকে বাঁচাতে পলাশ নিজের কিডনি দিয়েছেন।গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা বারডেম হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার শেষে তারা দুই ভাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন।কথায় আছে ‘ভাই বড় ধন, রক্তের বাঁধন’। সত্যিই তাই। রক্তের বাঁধন এতটাই শক্তিশালী যে, নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্তের কাউকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে মানুষহাজার বার চেষ্টা করে। ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের এমন ভালোবাসা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মানিক মিয়ার তিন পুত্র সন্তান। মানিক মিয়া চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার হিসাবে কর্মরত।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মানিক মিয়ার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম সবুজ। এর মধ্যে হঠাৎ সবুজের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। ফলে সাইফুল ইসলাম সবুজ সৌদি আরব থেকে চলে আসেন দেশে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর ডাক্তার সবুজের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান। এরপর থেকে ডায়ালাইসিস করেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরিবারের পক্ষে সবুজ এর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা মোটেও সম্ভব ছিল না। তাছাড়া, কিডনিই বা পাওয়া যাবে কোথায় ? এ নিয়ে ছিল ব্যাপক দুশ্চিন্তা। চিকিৎসকরা তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেন। এমন দুঃসংবাদে ভেঙে পড়ে পরিবারটি।

সেই সময় সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সবুজ এর আপন ছোট ভাই আতাউল ইসলাম পলাশ ভাইকে বাঁচাতে তার পাশে দাঁড়ান। স্বেচ্ছায় নিজের কিডনি বড় ভাইকে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।ফলে গতকাল শনিবার পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই দিন সকাল ৬টার দিকে তাদের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে দুই ভাই সুস্থ আছেন।সবুজের পিতা মানিক মিয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং অপারেশনের পর দুই ভাই সুস্থ আছে বলে জানান।চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, সবার সহযোগিতায় সবুজের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটি ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।