ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ ফেরানোর আহ্বান ৩ প্রভাবশালী দেশের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল বিদেশে বসে আ.লীগের আন্দোলনের ডাক, যা বললেন জান্নাতুন নাঈম বিমসটেক সম্মেলন ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি,লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কিসমিস আটক বাহুবলের মিরপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৫ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ভারতকে হারাতে চায় হামজায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজমিরীগঞ্জে এবার শুরু নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

‘ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা’ আসছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক,

আগামী ৫ বছরের মধ্যে ‘ক্যানসার ও হৃদরোগের’ টিকা আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ টিকা আবিষ্কারের ফলে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার এবং অটোইমিউনের মতো রোগের টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গবেষকরা বলছেন, কোভিড টিকাকে এজন্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অল্প সময়ে কোভিডের টিকা বের হওয়ায় বিষয়টি গবেষণাকে গতি দিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম মডার্না বলছে- এ টিকা নিয়ে গবেষণাগুলো দারুণ আশা দেখাচ্ছে। মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ‘প্রায় সব ধরনের রোগ’র চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব আমরা। করোনার টিকা আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে ক্যানসারের টিকা তৈরি করছে।বার্টন বলেন, আমাদের কাছে টিকা থাকবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি কোটি মানুষের প্রাণ না বাঁচালেও লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে।

এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এ প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে বিজ্ঞপ্তির মতো এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

বার্টন বলেন, ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেখানে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। আমি মনে করি আমাদের কাছে বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ-ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘ক্যানসার ও হৃদরোগের টিকা’ আসছে

আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক,

আগামী ৫ বছরের মধ্যে ‘ক্যানসার ও হৃদরোগের’ টিকা আবিষ্কারের সুখবর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এ টিকা আবিষ্কারের ফলে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার এবং অটোইমিউনের মতো রোগের টিকা ২০৩০ সালের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গবেষকরা বলছেন, কোভিড টিকাকে এজন্য ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অল্প সময়ে কোভিডের টিকা বের হওয়ায় বিষয়টি গবেষণাকে গতি দিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম মডার্না বলছে- এ টিকা নিয়ে গবেষণাগুলো দারুণ আশা দেখাচ্ছে। মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. পল বার্টন বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ‘প্রায় সব ধরনের রোগ’র চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব আমরা। করোনার টিকা আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠানটি এখন বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে লক্ষ্য করে ক্যানসারের টিকা তৈরি করছে।বার্টন বলেন, আমাদের কাছে টিকা থাকবে এবং সেটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি কোটি মানুষের প্রাণ না বাঁচালেও লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে উপকৃত হবে।

এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্তকারী ভাইরাসের নির্দোষ স্পাইক প্রোটিনগুলোকে মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো শরীরে জিনগত নির্দেশনা দিয়ে থাকে। নির্দেশনাগুলো টিকা নেওয়া মানুষের শরীরে তখন স্পাইক প্রোটিন তৈরি শুরু করে। এ প্রোটিন বা অ্যান্টিজেনগুলো ক্ষতিকর সেলগুলোকে শনাক্ত করতে বিজ্ঞপ্তির মতো এক ধরনের বার্তা দেয়। এরা তখন শরীরে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে বলে দেয় কী করতে হবে এবং কাকে খুঁজতে হবে।

বার্টন বলেন, ক্যানসারের টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেখানে রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে ফেলবে। আমি মনে করি আমাদের কাছে বিরল রোগের জন্য এমআরএনএ-ভিত্তিক থেরাপি থাকবে। এখন থেকে ১০ বছর পর আমরা এমন একটি বিশ্বের কাছে চলে যাব, যেখানে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে পারবেন। তখন এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে ঠিক করা যাবে।