ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল হাসপাতাল’সিলেট ওসমানী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বৃহত্তর সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কোটি কোটি মানুষের সরকারী স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা। প্রতিদিনই নানা রোগ-বালাই নিয়ে হাসপাতালটিতে আসেন হাজার-হাজার রোগী। হাসপাতালে রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যুক্ত হলো ডিজিটাল পদ্ধতি।

রোগীদের ভোগান্তি কমাতে অটোমেশিনের আওতায় এলো এই হাসপাতাল। এখন থেকে অনলাইন রোগী নিবন্ধন হবে।এর মধ্যে দিয়ে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ওসমানীই প্রথম ‘ডিজিটাল হাসপাতাল’ হিসেবে রূপ নিলো।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

এসময় তিনি বলেন, এই জিডিটাল স্বাস্থ্যসেবা চালুর মাধ্যমে রোগীরা এখন সহজে সেবা নিতে পারবেন। তাদের পুরোনো সকল তথ্য চিকিৎসকরা এক ক্লিকে পেয়ে যাবেন। এটা দেখবাল করার দায়িত্ব ওসমানী হাসপাতালের। আশাকরি ধাপে ধাপে আমরা পুরো দেশের সকল সরকারী হাসপাতালে এই সেবা চালু করবো।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক মধুসূদন চন্দ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

জানা গেছে,  সিলেটকে স্মার্ট সিটি করতে ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’নামে প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এই প্রকল্পের আওতায়  ওসমানী হাসপাতালে ‘হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন সিস্টেম’  চালু করা হয়। এর মাধ্যমে হাসপাতালে আগত সকল রোগীর ই-হেলথ রেকর্ড থাকবে। রোগীর সকল তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষিত হবে। এ কাজে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অটোমেশনের আওতায় শুধুমাত্র রোগীদের তথ্য নয়; ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টও করা হবে। এতে অনিয়ম অনেকাংশে কমে আসবে। এছাড়া টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমও চালু হবে। যার মাধ্যমে ফোনে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন যে কেউ।

সিলেট বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ওসমানী হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৯০০। তবে প্রতিদিন এই হাসপাতালে গড়ে ১৫ থেকে ১৬ শত রোগী ভর্তি থাকেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন আরও প্রায় দুই হাজার রোগী। অভিযোগ আছে নানা অব্যবস্থাপনায় সেবা থেকে বঞ্চিত হন রোগীরা। বিশেষ করে নার্স, আয়া এমনকি সিকিউরিটি গার্ডের দ্বারাও হয়রানীর শিকার হতে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। এতে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তবে এবার হাসপাতালটিতে যুক্ত হওয়া ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা চালু হওয়ায় খুশি রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী সিলেটভিউকে বলেন, এখন থেকে রোগী একবার চিকিৎসা নিলে তার যাবতীয় তথ্য আমাদের ডাটাবেজে রেকর্ড থাকবে। ফলে চিকিৎসকের পক্ষে সঠিক সেবা প্রদান সহজতর হবে। রোগীরাও উপকৃত হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল হাসপাতাল’সিলেট ওসমানী

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বৃহত্তর সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কোটি কোটি মানুষের সরকারী স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা। প্রতিদিনই নানা রোগ-বালাই নিয়ে হাসপাতালটিতে আসেন হাজার-হাজার রোগী। হাসপাতালে রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যুক্ত হলো ডিজিটাল পদ্ধতি।

রোগীদের ভোগান্তি কমাতে অটোমেশিনের আওতায় এলো এই হাসপাতাল। এখন থেকে অনলাইন রোগী নিবন্ধন হবে।এর মধ্যে দিয়ে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ওসমানীই প্রথম ‘ডিজিটাল হাসপাতাল’ হিসেবে রূপ নিলো।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

এসময় তিনি বলেন, এই জিডিটাল স্বাস্থ্যসেবা চালুর মাধ্যমে রোগীরা এখন সহজে সেবা নিতে পারবেন। তাদের পুরোনো সকল তথ্য চিকিৎসকরা এক ক্লিকে পেয়ে যাবেন। এটা দেখবাল করার দায়িত্ব ওসমানী হাসপাতালের। আশাকরি ধাপে ধাপে আমরা পুরো দেশের সকল সরকারী হাসপাতালে এই সেবা চালু করবো।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আঞ্চলিক পরিচালক মধুসূদন চন্দ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

জানা গেছে,  সিলেটকে স্মার্ট সিটি করতে ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’নামে প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এই প্রকল্পের আওতায়  ওসমানী হাসপাতালে ‘হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন সিস্টেম’  চালু করা হয়। এর মাধ্যমে হাসপাতালে আগত সকল রোগীর ই-হেলথ রেকর্ড থাকবে। রোগীর সকল তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষিত হবে। এ কাজে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অটোমেশনের আওতায় শুধুমাত্র রোগীদের তথ্য নয়; ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টও করা হবে। এতে অনিয়ম অনেকাংশে কমে আসবে। এছাড়া টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমও চালু হবে। যার মাধ্যমে ফোনে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারবেন যে কেউ।

সিলেট বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ওসমানী হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৯০০। তবে প্রতিদিন এই হাসপাতালে গড়ে ১৫ থেকে ১৬ শত রোগী ভর্তি থাকেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন আরও প্রায় দুই হাজার রোগী। অভিযোগ আছে নানা অব্যবস্থাপনায় সেবা থেকে বঞ্চিত হন রোগীরা। বিশেষ করে নার্স, আয়া এমনকি সিকিউরিটি গার্ডের দ্বারাও হয়রানীর শিকার হতে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের। এতে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তবে এবার হাসপাতালটিতে যুক্ত হওয়া ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা চালু হওয়ায় খুশি রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী সিলেটভিউকে বলেন, এখন থেকে রোগী একবার চিকিৎসা নিলে তার যাবতীয় তথ্য আমাদের ডাটাবেজে রেকর্ড থাকবে। ফলে চিকিৎসকের পক্ষে সঠিক সেবা প্রদান সহজতর হবে। রোগীরাও উপকৃত হবেন।