বিপক্ষ দলের প্রচার-প্রচারণা তেমন দেখা যায়নি ,ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন মন্ত্রী ইমরান

- আপডেট সময় : ০৪:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :
এবারের নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদ। দলের সমর্থন নিয়ে ৭ম বারের মতো এমপি হওয়ার পথে। তবুও বসে নেই তিনি। ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে শুরু থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা, পথসভা ও জনসভা। এই নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জগোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের ১০ ভাগ মানুষও চিনেন না। তাদের প্রচার-প্রচারণাও তেমন দেখা যায়নি। তাই অনেকটা ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন ইমরান আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ইমরান আহমদের শেষ নির্বাচনি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকটা উৎসবের আমেজ দেখা যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিলে মিছিলেনেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হোন। কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী শেষ জনসভায় ইমরান আহমদ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কথা জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন- চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে।
নিরুত্তাপ নির্বাচনে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়েছে এই সমাবেশ। পাড়ুয়া থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের নেতৃত্বে প্রায় ৩ হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন। এছাড়া তেলিখাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদআলফুর নেতৃত্বেও কয়েক হাজার মানুষ মিছিল দিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হোন। এর বাহিরে টুকের বাজার, কোম্পানীগঞ্জ, কাঠালবাড়ী, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন, উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন ও দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হোন।
সিলেট-৪ আসনে বিএনপি, জামায়াত আর নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত এই দুই প্রার্থীর প্রতিবন্ধকতা অনেকটা কেটে গেছে।গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদ ছাড়া আছেন ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) ও তৃণমূলবিএনপির প্রার্থী মো.আবুল হোসেন।
যাদের ভোট ব্যাংক থাকা তো দূরের কথা, এলাকায় পরিচিতিও নেই। প্রথম দিকে দেখা না গেলেও নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে নাজিম উদ্দিনকামরান ও আবুল হোসেনের নামেমাত্র পোস্টার ও প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ৩ প্রার্থী গণসংযোগ চালালেও ইমরান আহমদ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের মিটিংয়ে জনসাধারণের তেমন উপস্থিতি ছিলো না। যার কারণে আর কোনো বাঁধাই নেই ইমরান আহমদের সামনে।