ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

১৩ বছর আইনি লড়াই করে কারাগারে প্রেমিককে বিয়ে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:

জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী নবীনগর এলাকার বাসিন্দা কনে দুলভী বেগম।দুলভী সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্ত্রীর অধিকার দিতে অস্বীকার করেন আব্দুর রশিদ শহিদ।কয়েক বছর পর দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়েও করেন তিনি।স্ত্রীর অধিকার দিতে ২০১১ সালে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন দুলভী।১৩ বছর আইনি লড়াই করে প্রেমিককে কারাগারে বিয়ে করলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মোছা.দুলভী বেগমের।হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ কারাগারের জেল সুপারের কক্ষে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেনসহ কারা কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

দুলভী জানান, বাবা মারা যাবার পর মা সরলা বেগমসহ মামা বাবুল মিয়ার বাড়ি জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী এলাকার নবীনগরে চলে আসেন তারা।ওখানেই গ্রামের ছাইম উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।পরে গোপনে কাবিন ছাড়া বিয়েও করেন তারা।এরপর দুলভী গর্ভবতী হলে দুই মাসের মাথায় শহিদ মিয়া ইংল্যান্ডে চলে যান।এরপর থেকে দুলভী বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।দুলভী বেগম বলেন, ১৩ বছর পর সন্তানকে বাবার পরিচয় দিতে পেরে খুশি।

এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আব্দুর রশিদ শহিদের। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দুলভী ও আব্দুর রশিদ শহিদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজী।আব্দুর রশিদ শহিদের স্ত্রী সাজনা বেগমও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেন,জেল সুপার শফিউল আলম,অতিরিক্ত জেলা সুপার হুমায়ুন কবিরসহ দুইপক্ষের কয়েকজন স্বজনও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন।অতিরিক্ত জেল সুপার হুমায়ুন কবির বললেন,সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৩ বছর আইনি লড়াই করে কারাগারে প্রেমিককে বিয়ে

আপডেট সময় : ০২:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:

জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী নবীনগর এলাকার বাসিন্দা কনে দুলভী বেগম।দুলভী সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্ত্রীর অধিকার দিতে অস্বীকার করেন আব্দুর রশিদ শহিদ।কয়েক বছর পর দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়েও করেন তিনি।স্ত্রীর অধিকার দিতে ২০১১ সালে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন দুলভী।১৩ বছর আইনি লড়াই করে প্রেমিককে কারাগারে বিয়ে করলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মোছা.দুলভী বেগমের।হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ কারাগারের জেল সুপারের কক্ষে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেনসহ কারা কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

দুলভী জানান, বাবা মারা যাবার পর মা সরলা বেগমসহ মামা বাবুল মিয়ার বাড়ি জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী এলাকার নবীনগরে চলে আসেন তারা।ওখানেই গ্রামের ছাইম উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।পরে গোপনে কাবিন ছাড়া বিয়েও করেন তারা।এরপর দুলভী গর্ভবতী হলে দুই মাসের মাথায় শহিদ মিয়া ইংল্যান্ডে চলে যান।এরপর থেকে দুলভী বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি।দুলভী বেগম বলেন, ১৩ বছর পর সন্তানকে বাবার পরিচয় দিতে পেরে খুশি।

এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আব্দুর রশিদ শহিদের। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দুলভী ও আব্দুর রশিদ শহিদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজী।আব্দুর রশিদ শহিদের স্ত্রী সাজনা বেগমও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেন,জেল সুপার শফিউল আলম,অতিরিক্ত জেলা সুপার হুমায়ুন কবিরসহ দুইপক্ষের কয়েকজন স্বজনও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন।অতিরিক্ত জেল সুপার হুমায়ুন কবির বললেন,সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।