উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

- আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০২ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ : প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার ও উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগ দাবিতে প্রথম দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চবি শিক্ষক সমিতির নেতারা। সোমবার দুপুরে অর্ধশতাধিক শিক্ষক প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করে এ কর্মসূচি পালন করেন।এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে তাদের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন আইন বিভাগের ৯ শিক্ষক।
বক্তারা বলেন, চবি উপাচার্য অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রাতের আঁধারে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করে উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক সমর্থন হারিয়েছেন। এসময় পদত্যাগ না করা পর্যন্ত টানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। এর আগে রোববার আইন বিভাগের দুই পদে শিক্ষক নিয়োগ-বোর্ডে বাধা দেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। পরে উপাচার্য কার্যালয় থেকে সরে গিয়ে রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্য বাংলোর অফিসে ভাইভা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সোমবার বাংলা বিভাগে সাত শিক্ষক নিয়োগ-বোর্ডও বাতিলের দাবি করেন তারা। তাদের দাবি, পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে এ দুটি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে যা আইনের পরিপন্থি। তাছাড়া এ দুই বিভাগে ক্লাসলোড না থাকায় নতুন শিক্ষকের প্রয়োজন নেই।
এদিকে প্রশাসনপন্থি শিক্ষকরা বলছেন,সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনেই এ নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। এই প্রক্রিয়ায় পূর্বেও শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।বাংলা বিভাগের নিয়োগ-বোর্ড স্থগিত :সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা বিভাগের বিভিন্ন পদে ৭ শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা হওয়ার কথা ছিল।তবে অনিবার্য কারণ উল্লেখ করে বোর্ডটি স্থগিত করা হয়েছে।ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ এ তথ্য যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
আইন বিভাগের শিক্ষকদের মানববন্ধন :আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষক সমিতির হস্তক্ষেপকে অযাচিত উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকালে মানববন্ধন করেছেন আইন বিভাগের ৯ শিক্ষক। আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রকিবা নবী যুগান্তরকে বলেন,তারা বলছে আইন বিভাগে ক্লাসলোড নেই। এদিকে মাস্টার্সের সাতটা কোর্স আমরা শিক্ষকের অভাবে চালু করতে পারছি না।আরও কিছু কোর্স চালু করতে হবে।
পদত্যাগের দাবির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীন আখতার বলেন,আমাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন।তিনি যতক্ষণ অন্য কাউকে নিয়োগ না দেবেন,কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।রাষ্ট্রপতি যদি ওদের (শিক্ষক সমিতির) কাউকেও আনেন,সসম্মানে সিট ছেড়ে দেব।উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন,হঠাৎ করে আমার পদত্যাগ কেন দাবি করছে জানি না।৭৩-এর আইনের বিরুদ্ধে কাজ করেছি এমন কোনো কিছু তারা দেখেছেন কি না তাও জানি না।