ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূস শায়েস্তাগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৫টি দোকান পুড়ে চাই কোটি টাকার ক্ষতি চুনারুঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা গোয়াইনঘাটে টাস্কফোর্সের অভিযান: ১৫ টি নৌকা, ১০ টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ জামায়াতে যোগ দেওয়া নেতাকে ব হি ষ্কা র করলো ছাত্রদল সিলেট ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তুষারের খুনি, মূল আসামি পারভেজকে ঢাকা গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার আল-আকসা মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনা ইসরাইলিদের হামাসের হামলায় ইসরাইলের ৬ সেনা হতাহত

মিসবাউল হত্যা মামলার আসামী রমজান মিয়ার যাবজ্জীবন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:

নগরীর শিবগঞ্জে সৈয়দ মিসবাউল হোসেন (৫৫) হত্যা মামলার আসামী মো. রমজান মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূরে আলম ভূইয়া আসামিকে এই দন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত রমজান কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি থানার কারপাশা গ্রামের উসমান মিয়ার পুত্র। বর্তমানে শাহপরান (রহ:) থানার খরাদিপাড়ার জাপানী বাসার সামনের কলোনির বাসিন্দা। আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতক থানার সৈয়দেরগাঁও গ্রামের বর্তমানে নগরীর শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মরহুম সৈয়দ মোস্তাক আহমদ ও মাহবুবা খাতুনের পুত্র সৈয়দ মিসবাউল হোসেন (৫৫) শিবগঞ্জের সিদ্দিকী কটন মিলের ম্যানেজার হিসেবে ৬ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রতিদিনের মতো মিলে যান। সেখানে অফিসের কাজ করতে ও হিসেব মিলাতে রাত হয়ে যায়। সেখানে আর কেউ ছিলেন না। বখাটে মো. রমজান মিয়া ঐদিন রাতে সিদ্দিকী কটন মিলের আশেপাশে ঘুরাফেরা করছিল। রাত পৌণে ১০টায় সুযোগ বুঝে কটন মিলে ঢুকে সৈয়দ মিসবাউল হোসেনকে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে আশপাশের লোকজন শব্দ শোনে ‘চোর চোর’ বলে শোর চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে মিল মালিকের ছেলে রেদোয়ান সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিসবাউলকে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি মিসবাউলের মা মাহবুবা খাতুন বাদী হয়ে শাহপরান (রহ:) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা,শাহপরান (রহ:) থানার উপ-পরিদর্শক নিরস্ত্র রাজীব কুমার রায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে গতকাল সকালে আসামির উপস্থিতিতে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালতের জজ নূরে আলম ভূইয়া মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিলেট জেলার এডিশনাল পিপি এডভোকেট জুবায়ের বখত জুবের। বাদি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট হোসেন আহমদ এবং আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আকমল খান।এদিকে, মরহুম সৈয়দ মিসবাউল হোসেন এর ছেলে সৈয়দ জাকারিয়া রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মিসবাউল হত্যা মামলার আসামী রমজান মিয়ার যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০১:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:

নগরীর শিবগঞ্জে সৈয়দ মিসবাউল হোসেন (৫৫) হত্যা মামলার আসামী মো. রমজান মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূরে আলম ভূইয়া আসামিকে এই দন্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত রমজান কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি থানার কারপাশা গ্রামের উসমান মিয়ার পুত্র। বর্তমানে শাহপরান (রহ:) থানার খরাদিপাড়ার জাপানী বাসার সামনের কলোনির বাসিন্দা। আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতক থানার সৈয়দেরগাঁও গ্রামের বর্তমানে নগরীর শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মরহুম সৈয়দ মোস্তাক আহমদ ও মাহবুবা খাতুনের পুত্র সৈয়দ মিসবাউল হোসেন (৫৫) শিবগঞ্জের সিদ্দিকী কটন মিলের ম্যানেজার হিসেবে ৬ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রতিদিনের মতো মিলে যান। সেখানে অফিসের কাজ করতে ও হিসেব মিলাতে রাত হয়ে যায়। সেখানে আর কেউ ছিলেন না। বখাটে মো. রমজান মিয়া ঐদিন রাতে সিদ্দিকী কটন মিলের আশেপাশে ঘুরাফেরা করছিল। রাত পৌণে ১০টায় সুযোগ বুঝে কটন মিলে ঢুকে সৈয়দ মিসবাউল হোসেনকে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে আশপাশের লোকজন শব্দ শোনে ‘চোর চোর’ বলে শোর চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে মিল মালিকের ছেলে রেদোয়ান সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মিসবাউলকে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি মিসবাউলের মা মাহবুবা খাতুন বাদী হয়ে শাহপরান (রহ:) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা,শাহপরান (রহ:) থানার উপ-পরিদর্শক নিরস্ত্র রাজীব কুমার রায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে গতকাল সকালে আসামির উপস্থিতিতে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালতের জজ নূরে আলম ভূইয়া মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিলেট জেলার এডিশনাল পিপি এডভোকেট জুবায়ের বখত জুবের। বাদি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট হোসেন আহমদ এবং আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আকমল খান।এদিকে, মরহুম সৈয়দ মিসবাউল হোসেন এর ছেলে সৈয়দ জাকারিয়া রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।