ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সিলেটে রবিবার যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না বিপিজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটির নতুন সভাপতি পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বী বিশ্বনাথের ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের চারা বিতরণ করলেন- ইউএনও সিলেটে চোরাই পণ্যের বিশাল চালান আটক রাষ্ট্র যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে, তবে জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়বে-সাকি বলিউড নায়িকাদের রূপের রহস্য ফাঁস করলেন চিকিৎসক নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কানে যা বললেন বর্ষা বছরে রোনালদো পান সাড়ে তিন হাজার কোটি, উপার্জন কমেছে মেসির সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিততে হবে বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে জুনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্কের সাত রহস্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

বিয়ের পরে যত দিন গড়াতে থাকে, সম্পর্ক তত একঘেয়ে হতে থাকে।বাড়তে থাকে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ততা। একসময় সম্পর্কটা শ্রেফ অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে তা এড়ানোরও উপায় আছে।কিছু সাধারণ অভ্যাসেই সুন্দর রাখতে পারেন আপনার দাম্পত্য জীবন।ধরে রাখতে পারেন সম্পর্কের উষ্ণতা।তেমনি সাতটি অভ্যাসের কথা থাকছে আজকের আয়োজনে।

কথা বলুন
সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই সময়ে সেটা আরও বেশি দরকার। সেই সঙ্গে দরকার আপনি যে সঙ্গীর প্রতি মনোযোগী,সেটা বোঝানো। সে জন্য দুজনে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা কথা বলুন। মুখোমুখি। সময়টাতে দুজনেই অখণ্ড মনোযোগ দিন পরস্পরকে।

নিজের সীমাবদ্ধতার তালিকা করুন
মানুষ মাত্রেরই সীমাবদ্ধতা থাকবে। আপনি বা আপনার সঙ্গীও ব্যতিক্রম নন। দুজনে একত্রে বসে পরস্পরের সীমাবদ্ধতার তালিকা করুন।কার কোন স্বভাব অপরজনকে বিরক্ত করে,রাগিয়ে তোলে। যখনই কেউ তেমন কিছু করবেন, অন্যজন সেটা ধরিয়ে দিন।এভাবে পরস্পরকে সাহায্য করুন নিজেকে শোধরাতে।

ঝগড়ায় নিন বিরতি
সম্পর্কে মতানৈক্য হবেই। তা থেকে মাঝেমধ্যে উত্তাপও ছড়াবে। কিন্তু কুৎসিত ঝগড়ায় পরিণত হওয়ার আগেই বিরতি নিন। না, আচমকা কথা বন্ধ করে চলে যাবেন না।তাতে মনে হবে, আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন।বরং সঙ্গীকে জানিয়ে দিন,বিরতির পরে আবার এ নিয়ে কথা বলবেন। পরে দুজনেই মাথা ঠাণ্ডা করে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করুন।

পরস্পরের তারিফ করুন
আপনার সঙ্গীর ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করুন।দিনে অন্তত একবার।পরস্পর এই চর্চা করলে তা এক ইতিবাচক বৃত্ত তৈরি করবে।দুজনকেই মানসিক ও শারীরিকভাবে চাঙা রাখবে। আপনাদের ইতিবাচক প্রবৃত্তিগুলো বিকশিত হবে।আখেরে চাঙা থাকবে আপনাদের সম্পর্ক।

বানিয়ে ফেলুন বাকেট লিস্ট
মাঝে করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন কোথাও যাওয়া হয়নি। বাতিল হয়েছে অনেক পরিকল্পনা।দুজনে মিলে সেসবের তালিকা করে ফেলুন।তাতে রাখুন কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে চান।কোন কোন কনসার্ট বা প্রদর্শনীতে যেতে চান। কোন কোন সিনেমা বা মঞ্চনাটক দেখতে চান। না-করা কী কী করতে চান।

দূরে থেকেও কাছে থাকুন
এখনকার ব্যস্ত জীবনে দুজনকেই সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয় নিজেদের কাজ নিয়ে।একসঙ্গে থাকার সুযোগ হয় কম।আবার যাঁদের নানা প্রয়োজনে ভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়, তাঁদের জটিলতা আরও বেশি। সেটা দূর করতে নিন প্রযুক্তির সাহায্য।ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকুন সারাদিন। নিয়মিত কথা বলুন বা বার্তা দেওয়া–নেওয়া করুন।

নিয়মিত ‘ডেট’-এ যান
বিয়ের আগে নিয়মিত দুজনে ঘুরতে যেতেন।কোথাও খেতে, বা সিনেমা কি মঞ্চনাটক দেখতে,বা শ্রেফ ঘুরতে। ইংরেজিতে যাকে বলে ডেট-এ যাওয়া।তার জন্য দুজনেই তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতেন। বিয়ের পরও তা জারি রাখুন।পারলে প্রতি সপ্তাহে। নয়তো অন্তত মাসে একবার।এতে পরস্পরের সান্নিধ্যের প্রতি আপনাদের আকর্ষণও জারি থাকবে।

তথ্যসূত্র: ইনস্টাইল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্কের সাত রহস্য

আপডেট সময় : ০৬:২২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

বিয়ের পরে যত দিন গড়াতে থাকে, সম্পর্ক তত একঘেয়ে হতে থাকে।বাড়তে থাকে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ততা। একসময় সম্পর্কটা শ্রেফ অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে তা এড়ানোরও উপায় আছে।কিছু সাধারণ অভ্যাসেই সুন্দর রাখতে পারেন আপনার দাম্পত্য জীবন।ধরে রাখতে পারেন সম্পর্কের উষ্ণতা।তেমনি সাতটি অভ্যাসের কথা থাকছে আজকের আয়োজনে।

কথা বলুন
সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই সময়ে সেটা আরও বেশি দরকার। সেই সঙ্গে দরকার আপনি যে সঙ্গীর প্রতি মনোযোগী,সেটা বোঝানো। সে জন্য দুজনে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা কথা বলুন। মুখোমুখি। সময়টাতে দুজনেই অখণ্ড মনোযোগ দিন পরস্পরকে।

নিজের সীমাবদ্ধতার তালিকা করুন
মানুষ মাত্রেরই সীমাবদ্ধতা থাকবে। আপনি বা আপনার সঙ্গীও ব্যতিক্রম নন। দুজনে একত্রে বসে পরস্পরের সীমাবদ্ধতার তালিকা করুন।কার কোন স্বভাব অপরজনকে বিরক্ত করে,রাগিয়ে তোলে। যখনই কেউ তেমন কিছু করবেন, অন্যজন সেটা ধরিয়ে দিন।এভাবে পরস্পরকে সাহায্য করুন নিজেকে শোধরাতে।

ঝগড়ায় নিন বিরতি
সম্পর্কে মতানৈক্য হবেই। তা থেকে মাঝেমধ্যে উত্তাপও ছড়াবে। কিন্তু কুৎসিত ঝগড়ায় পরিণত হওয়ার আগেই বিরতি নিন। না, আচমকা কথা বন্ধ করে চলে যাবেন না।তাতে মনে হবে, আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন।বরং সঙ্গীকে জানিয়ে দিন,বিরতির পরে আবার এ নিয়ে কথা বলবেন। পরে দুজনেই মাথা ঠাণ্ডা করে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করুন।

পরস্পরের তারিফ করুন
আপনার সঙ্গীর ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করুন।দিনে অন্তত একবার।পরস্পর এই চর্চা করলে তা এক ইতিবাচক বৃত্ত তৈরি করবে।দুজনকেই মানসিক ও শারীরিকভাবে চাঙা রাখবে। আপনাদের ইতিবাচক প্রবৃত্তিগুলো বিকশিত হবে।আখেরে চাঙা থাকবে আপনাদের সম্পর্ক।

বানিয়ে ফেলুন বাকেট লিস্ট
মাঝে করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন কোথাও যাওয়া হয়নি। বাতিল হয়েছে অনেক পরিকল্পনা।দুজনে মিলে সেসবের তালিকা করে ফেলুন।তাতে রাখুন কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে চান।কোন কোন কনসার্ট বা প্রদর্শনীতে যেতে চান। কোন কোন সিনেমা বা মঞ্চনাটক দেখতে চান। না-করা কী কী করতে চান।

দূরে থেকেও কাছে থাকুন
এখনকার ব্যস্ত জীবনে দুজনকেই সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয় নিজেদের কাজ নিয়ে।একসঙ্গে থাকার সুযোগ হয় কম।আবার যাঁদের নানা প্রয়োজনে ভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়, তাঁদের জটিলতা আরও বেশি। সেটা দূর করতে নিন প্রযুক্তির সাহায্য।ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকুন সারাদিন। নিয়মিত কথা বলুন বা বার্তা দেওয়া–নেওয়া করুন।

নিয়মিত ‘ডেট’-এ যান
বিয়ের আগে নিয়মিত দুজনে ঘুরতে যেতেন।কোথাও খেতে, বা সিনেমা কি মঞ্চনাটক দেখতে,বা শ্রেফ ঘুরতে। ইংরেজিতে যাকে বলে ডেট-এ যাওয়া।তার জন্য দুজনেই তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতেন। বিয়ের পরও তা জারি রাখুন।পারলে প্রতি সপ্তাহে। নয়তো অন্তত মাসে একবার।এতে পরস্পরের সান্নিধ্যের প্রতি আপনাদের আকর্ষণও জারি থাকবে।

তথ্যসূত্র: ইনস্টাইল