পশ্চিমতীরের ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলের পরিকল্পনা ইসরাইলের
- আপডেট সময় : ০৭:২২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
পশ্চিমতীরের সেবাস্তিয়া শহরে রোমান যুগের ঐতিহাসিক স্থাপনায় উড়ছে ফিলিস্তিনি পতাকা। ছবি: সংগৃহীত
ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিমতীরে রোমান যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের একটি নথিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমতীরে রোমান যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা দখলের কথা এমন এক সময় সামনে এলো যখন পশ্চিমতীরে লাগামহীন সহিংসতা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক মহল ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এছাড়া ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এসব হামলা প্রায়শই হচ্ছে কোনও বাধা ছাড়াই, আর অনেক ক্ষেত্রে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায়।
ইসরাইলের সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, তারা পশ্চিমতীরের সেবাস্তিয়া এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিতে চায়। সেবাস্তিয়া হচ্ছে রোমান যুগের একটি বড় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
বৈধ বসতি স্থাপনবিরোধী সংগঠন পিস নাও জানায়, পুরো স্থাপনাটি প্রায় ১ হাজার ৮০০ দুনাম (১৮০ হেক্টর বা ৪৫০ একর) এলাকায় বিস্তৃত। এটি অধিগ্রহণ করা হলে প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে এটিই হবে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় জমি দখল।
সংগঠনটি বলছে, ১২ নভেম্বর প্রকাশিত এক সরকারি আদেশে সেবাস্তিয়া এলাকার কোন কোন জমি দখল করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ জানায়, সম্ভাব্য এই দখলের লক্ষ্য হলো পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব জমি বাজেয়াপ্ত করে সেবাস্তিয়ার প্রত্নস্থলকে উন্নত করা।
ফিলিস্তিনিদের এ বিষয়ে আপত্তি জানানোর জন্য মাত্র ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। সেবাস্তিয়ার ধ্বংসাবশেষের নিচেই প্রাচীন সামারিয়া রাজ্যের রাজধানী ছিল বলে ধারণা করা হয়। খ্রিস্টান ও মুসলমান— উভয়ই বিশ্বাস করে যে জন দ্য ব্যাপটিস্টের সমাধিও এখানে আছে।
২০২৩ সালে ইসরাইল এ স্থানটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এখন সেখানে খননকাজ চলছে। পিস নাও এবং আরেকটি অধিকার সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, সরকার ইতোমধ্যে ৩ কোটি শেকেল (৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের বেশি) বরাদ্দ দিয়েছে।
এর আগে প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের দিক থেকে সবচেয়ে বড় যে জমি ইসরাইল দখল করেছিল, তা ছিল ২৮৬ দুনাম (৭০ একর)। সেটি ছিল পশ্চিম তীরের দক্ষিণে সুসিয়া গ্রামে।
























